বেঙ্গল শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের সমাপ্তি দিনে তারকাময় সন্ধ্যা

বর্ণাঢ্য আয়োজনের মাধ্যমে শেষ হলো বেঙ্গল শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল ২০২৫। ২৫ মে, রবিবার, কলকাতার সত্যজিৎ রায় টেলিভিশন অ্যান্ড ফিল্ম ইনস্টিটিউটের প্রিভিউ অডিটোরিয়ামে বিকেল পাঁচটায় অনুষ্ঠিত হয় উৎসবের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান।

তিন দিনের এই ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল শুরু হয়েছিল ২৩ মে। সমাপনী দিনে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন টলিউডের দুই জনপ্রিয় তারকা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। তাঁদের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য, অভিনেত্রী রায়, সিরিয়াল ‘জগদ্ধাত্রী’ খ্যাত প্রেমা, অভিনেত্রী পিংকি ভট্টাচার্য প্রমুখ।

এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ফেস্টিভ্যালের চিফ পেট্রন ড. রাজীব শীল, উদ্যোক্তা প্রীতম সরকার, উৎসব পরিচালক নূপুর রায় এবং টুডে স্টোরির কর্ণধার বিপ্লব চক্রবর্তী।

প্রত্যেক অতিথিকে উত্তরীয় পরিয়ে এবং স্মারক দিয়ে সম্মানিত করা হয়। পাশাপাশি একটি মোবাইল কোম্পানির পক্ষ থেকে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় বিশেষ উপহার। এই মঞ্চ থেকেই অভিনেতা প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জির মাধ্যমে একটি নতুন ওয়েব পেজ উদ্বোধন করেন ড. রাজীব শীল।

এই উৎসবে মোট ৫০টি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র মনোনীত হয়। তার মধ্যে ২১টি ফিল্ম প্রদর্শিত হয় এবং সেখান থেকে আটটি শর্ট ফিল্ম বাছাই করে নির্মাতাদের পরবর্তী প্রজেক্টের জন্য সুবিধা প্রদান করা হয়। তিনটি সেরা চলচ্চিত্রের নির্মাতাদের হাতে নগদ অর্থসহ পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় প্রয়াত অভিনেতা মনোজ মিত্র, পরিচালক দেবকী কুমার বোস এবং দেব কুমার বোস-এর স্মৃতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করে।

সকল মনোনীত নির্মাতাদেরও উত্তরীয় ও স্মারক দিয়ে মঞ্চে সম্মানিত করা হয়।

অনুষ্ঠানে অভিনেতা প্রসেনজিৎ বলেন, “স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের মধ্যেও রয়েছে গভীর গল্প বলার ক্ষমতা। নতুন প্রজন্মের এই চেষ্টাকে আমরা সাধুবাদ জানাই।”
ঋতুপর্ণা বলেন, “বড় ছবির বাইরে এমন উৎসব আমাদের চলচ্চিত্র জগতকে আরও শক্তিশালী করে। নতুন পরিচালকদের পাশে আমরা সবসময় আছি।”

ড. রাজীব শীল, প্রীতম সরকার ও নূপুর রায় বলেন, “এই ফেস্টিভ্যাল সফল করার পিছনে সকল অংশগ্রহণকারী, দর্শক, মিডিয়া ও সহযোগীদের অবদান অনস্বীকার্য। আগামী বছর আরও বড় আকারে উৎসব করার প্রতিশ্রুতি রইল।”

নতুন পরিচালক ও নির্মাতাদের জন্য বেঙ্গল শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল হয়ে উঠেছে এক উজ্জ্বল প্ল্যাটফর্ম। বাংলা চলচ্চিত্র জগতে এই উৎসব নতুন আলো ছড়াবে বলেই প্রত্যাশা।

প্রলয়/তাসনিম তুবা