ভুয়া সমন্বয়ক পরিচয়ে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা আটক ২
- আপডেট সময় : ০৯:০১:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫
- / ৬৮ বার পড়া হয়েছে
শরীয়তপুরের জাজিরা থানায় ডিউটি অফিসারের কক্ষে প্রবেশ করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয়ে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় একটি চাঞ্চল্যকর মামলা দায়ের করা হয়েছে। সরকারি কাজে বাধা প্রদান, আসামি’কে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা এবং কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের মারধরের অভিযোগে মোট ৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ১৫-২০ জনকে আসামি করে মামলাটি রুজু করা হয়।
সোমবার (২৭ অক্টোবর ২০২৫) সন্ধ্যায় জাজিরা থানার এএসআই (নিরস্ত্র) মোঃ আতাউর রহমান বাদী হয়ে মামলা’টি দায়ের করেন। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের একটি পোস্টকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। ওই ঘটনার জের ধরে অভিযুক্তরা সরকারি ব্যবহৃত অস্ত্র ও ওয়াকি টকি প্রদর্শন করে স্থানীয়দের মধ্যে ভয় ভীতি ও আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয়।
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, পরবর্তীতে তারা জাজিরা থানার ডিউটি অফিসারের কক্ষে প্রবেশ করে একজন আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। পুলিশ সদস্যরা বাধা দিলে তাদের ওপর হামলা চালানো হয় এবং কয়েকজনকে মারধর করে আহত করা হয়।
মামলায় সাতজন কে আসামি করা হয়। আসামিরা হলেন ১. ইমরান মাদবর (২০), পিতা মালেক মাদবর, সাং ডুবিসায়বর মাদবর কান্দি ২. নির্জন মাদবর (২৩), পিতা মাইনউদ্দিন মাদবর, সাং রামকৃষ্ণপুর ৩. স্বপনীল মাদবর (২৪), পিতা দবির মাদবর, সাং রামকৃষ্ণপুর ৪. রিয়াদ মোল্যা (২১), পিতা আঃ রব মোল্যা, সাং দক্ষিণ ডুবলদিয়া ৫. রিহাদ মোল্যা (২০), পিতা জসিম মোল্যা ৬. বাধন মাদবর (২২), বড় কান্দি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, পিতা বিল্লাল মাদবর ৭.রাহাত মাদবর (২৩), পিতা রাজু মাদবর, সাং ডুবিসায়বর
এ ছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১৫-২০ জনকে মামলার আসামি করা হয়েছে। মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছেন সাব-ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) মোঃ মালমগীর হোসেন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার পরপরই অভিযান চালিয়ে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
এ বিষয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শরীয়তপুরের সাবেক আহবায়ক ইমরান আল নাজির বলেন, বিষয়টি শুনে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম, সেখানে গিয়ে দেখেছি যারা পরিচয় দিয়েছে তারা কোন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা নয়। তারা অপরাধ করেছে তাদের কঠিন শাস্তি হওয়া দরকার। এবিষয়ে শরীয়তপুর পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম জানান, “সরকারি কাজে বাধা ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দোষীদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।”




















