ঢাকা ০৫:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ঢাকাইয়া রূপে আসছে ‘দেবদাস’, বুবলী–আজাদ জুটি নিয়ে জাহিদ হোসেনের নতুন আয়োজন কুমিল্লায় বিএনপির উদ্যোগে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন মোরেলগঞ্জে বিষখালী নদীর সেতুর সংযোগ সড়ক ভেঙে যান চলাচল বন্ধ শাল্লায় ‘বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ পালিত দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারই আমাদের মূল লক্ষ্য- সেলিমুজ্জামান সেলিম কেন্দুয়ায় জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত জিয়া ছিলেন সকল রাজনৈতিক সংগঠনের অভিন্ন চরিত্র: ইবি উপাচার্য মোরেলগঞ্জে ঐতিহাসিক ৭ই নভেম্বর উপলক্ষে বিএনপির বর্ণাঢ্য র‌্যালি বগুড়ায় জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অপ প্রচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবেঃ কর্নেল লুৎফর
গাজীপুর থেকে পঞ্চগড় ‘অপহরণ’ নয়, ছিল পরিকল্পিত পালানো

অপহরণের নাটক সাজানোর কথা স্বীকার করলেন মুফতি মহিব্বুল্লাহ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১০:২৭:৪০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫
  • / ৪৬ বার পড়া হয়েছে

গাজীপুরের টঙ্গীর আলোচিত মুফতি মহিব্বুল্লাহ মিয়াজী স্বীকার করেছেন, তিনি নিজেই ‘অপহরণের নাটক’ সাজিয়েছিলেন। সোমবার রাতে ফেসবুক লাইভে এসে তিনি বলেন
“আমি নিজের ভুল বুঝতে পেরেছি। কেউ আমাকে অপহরণ করেনি, সবটা আমার পরিকল্পিত কাজ ছিল।”

২২ অক্টোবর সকালে টঙ্গীর শিলমুন এলাকার একটি সিএনজি ফিলিং স্টেশনের সামনে থেকে নিখোঁজ হন মুফতি মহিব্বুল্লাহ। পরদিন (২৩ অক্টোবর) পঞ্চগড়ের হেলিপ্যাড বাজার এলাকায় তাকে শিকলবাঁধা ও বিবস্ত্র অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তখন তিনি দাবি করেছিলেন, পাঁচজন ব্যক্তি একটি অ্যাম্বুল্যান্সে করে তাকে তুলে নিয়ে যায়, নির্যাতন চালায় এবং মরার জন্য ফেলে রেখে যায়। ঘটনাটি মুহূর্তেই ভাইরাল হয়, সামাজিক ও ধর্মীয় মহলে তীব্র আলোচনার জন্ম দেয়।

পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তে দেখা যায়, সিসিটিভি ফুটেজে মুফতিকে একা ও স্বাভাবিকভাবে হাঁটতে দেখা গেছে, জোরপূর্বক তুলে নেওয়ার কোনো চিহ্ন নেই। মোবাইল ফোনের ট্র্যাকিংয়েও প্রমাণ মেলে, তিনি নিজেই গাজীপুর থেকে ঢাকায়, সেখান থেকে দিনাজপুর ও পরে পঞ্চগড়ে গিয়েছিলেন।

লাইভে মুফতি মহিব্বুল্লাহ বলেন, “কিছু মানসিক চাপ, ভয় আর ভুল বোঝাবুঝির কারণে এমন কাজ করেছি। এটা আমার বড় ভুল।” তিনি অনুতপ্ত হয়ে সমাজের কাছে ক্ষমা চান এবং বলেন, “আমি কারো দ্বারা প্ররোচিত ছিলাম না, নিজের ভুলেই করেছি।”

টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি জানান, “মুফতির স্বীকারোক্তির পর ঘটনাটি ‘ভুয়া অপহরণ মামলা’ হিসেবে তদন্ত চলছে। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঘটনাটি প্রকাশ পাওয়ার পর সামাজিক মাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়।
অনেকে মন্তব্য করেছেন, এমন মঞ্চস্থ ঘটনা সাধারণ মানুষের মধ্যে ধর্মীয় নেতাদের প্রতি আস্থাকে ক্ষুণ্ন করে। অন্যদিকে কেউ কেউ বলেছেন, তার মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া উচিত।

মুফতি মহিব্বুল্লাহ টঙ্গীর একটি মসজিদের খতিব ও জনপ্রিয় ধর্মীয় বক্তা ছিলেন। অপহরণের অভিযোগ প্রকাশের পরই ধর্মীয় মহলে গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে ‘ধর্মবিরোধী চক্র’ তাকে অপহরণ করেছে। এখন তার নিজের স্বীকারোক্তি সেই সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

গাজীপুর থেকে পঞ্চগড় ‘অপহরণ’ নয়, ছিল পরিকল্পিত পালানো

অপহরণের নাটক সাজানোর কথা স্বীকার করলেন মুফতি মহিব্বুল্লাহ

আপডেট সময় : ১০:২৭:৪০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫

গাজীপুরের টঙ্গীর আলোচিত মুফতি মহিব্বুল্লাহ মিয়াজী স্বীকার করেছেন, তিনি নিজেই ‘অপহরণের নাটক’ সাজিয়েছিলেন। সোমবার রাতে ফেসবুক লাইভে এসে তিনি বলেন
“আমি নিজের ভুল বুঝতে পেরেছি। কেউ আমাকে অপহরণ করেনি, সবটা আমার পরিকল্পিত কাজ ছিল।”

২২ অক্টোবর সকালে টঙ্গীর শিলমুন এলাকার একটি সিএনজি ফিলিং স্টেশনের সামনে থেকে নিখোঁজ হন মুফতি মহিব্বুল্লাহ। পরদিন (২৩ অক্টোবর) পঞ্চগড়ের হেলিপ্যাড বাজার এলাকায় তাকে শিকলবাঁধা ও বিবস্ত্র অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তখন তিনি দাবি করেছিলেন, পাঁচজন ব্যক্তি একটি অ্যাম্বুল্যান্সে করে তাকে তুলে নিয়ে যায়, নির্যাতন চালায় এবং মরার জন্য ফেলে রেখে যায়। ঘটনাটি মুহূর্তেই ভাইরাল হয়, সামাজিক ও ধর্মীয় মহলে তীব্র আলোচনার জন্ম দেয়।

পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তে দেখা যায়, সিসিটিভি ফুটেজে মুফতিকে একা ও স্বাভাবিকভাবে হাঁটতে দেখা গেছে, জোরপূর্বক তুলে নেওয়ার কোনো চিহ্ন নেই। মোবাইল ফোনের ট্র্যাকিংয়েও প্রমাণ মেলে, তিনি নিজেই গাজীপুর থেকে ঢাকায়, সেখান থেকে দিনাজপুর ও পরে পঞ্চগড়ে গিয়েছিলেন।

লাইভে মুফতি মহিব্বুল্লাহ বলেন, “কিছু মানসিক চাপ, ভয় আর ভুল বোঝাবুঝির কারণে এমন কাজ করেছি। এটা আমার বড় ভুল।” তিনি অনুতপ্ত হয়ে সমাজের কাছে ক্ষমা চান এবং বলেন, “আমি কারো দ্বারা প্ররোচিত ছিলাম না, নিজের ভুলেই করেছি।”

টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি জানান, “মুফতির স্বীকারোক্তির পর ঘটনাটি ‘ভুয়া অপহরণ মামলা’ হিসেবে তদন্ত চলছে। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঘটনাটি প্রকাশ পাওয়ার পর সামাজিক মাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়।
অনেকে মন্তব্য করেছেন, এমন মঞ্চস্থ ঘটনা সাধারণ মানুষের মধ্যে ধর্মীয় নেতাদের প্রতি আস্থাকে ক্ষুণ্ন করে। অন্যদিকে কেউ কেউ বলেছেন, তার মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া উচিত।

মুফতি মহিব্বুল্লাহ টঙ্গীর একটি মসজিদের খতিব ও জনপ্রিয় ধর্মীয় বক্তা ছিলেন। অপহরণের অভিযোগ প্রকাশের পরই ধর্মীয় মহলে গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে ‘ধর্মবিরোধী চক্র’ তাকে অপহরণ করেছে। এখন তার নিজের স্বীকারোক্তি সেই সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়েছে।