ঢাকা ০৭:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ঢাকাইয়া রূপে আসছে ‘দেবদাস’, বুবলী–আজাদ জুটি নিয়ে জাহিদ হোসেনের নতুন আয়োজন কুমিল্লায় বিএনপির উদ্যোগে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন মোরেলগঞ্জে বিষখালী নদীর সেতুর সংযোগ সড়ক ভেঙে যান চলাচল বন্ধ শাল্লায় ‘বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ পালিত দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারই আমাদের মূল লক্ষ্য- সেলিমুজ্জামান সেলিম কেন্দুয়ায় জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত জিয়া ছিলেন সকল রাজনৈতিক সংগঠনের অভিন্ন চরিত্র: ইবি উপাচার্য মোরেলগঞ্জে ঐতিহাসিক ৭ই নভেম্বর উপলক্ষে বিএনপির বর্ণাঢ্য র‌্যালি বগুড়ায় জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অপ প্রচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবেঃ কর্নেল লুৎফর

সুবর্ণচরে পিস্তলসহ চাঁন্দা ডাকাত গ্রেপ্তার, এলাকাবাসীর মুখে স্বস্তির হাসি

নোয়াখালী, প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৩:৫২:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫
  • / ৫০ বার পড়া হয়েছে

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের কুখ্যাত চাঁন মিয়া ওরফে চাঁন্দা ডাকাত (৩৮) অবশেষে র‍্যাবের হাতে ধরা পড়েছে। তার কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, একটি গুলি ও একটি মোটরসাইকেল। সোমবার (২৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় চরওয়াপদা ইউনিয়নের আল আমিন বাজার এলাকা থেকে র‍্যাব-১১, সিপিসি-৩ নোয়াখালী ক্যাম্পের একটি টিম অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।

র‍্যাব জানায়, চাঁন্দা ডাকাত দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় জনগণের উপর ভয়ভীতি, চাঁদাবাজি, লুটপাট ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। ৫ আগস্টের পর থেকে তার দৌরাত্ম্য আরও বেড়ে যায়। অস্ত্রের মহড়া, খামারের গরু-মহিষ লুট, মাছের ঘের দখল, এমনকি কৃষকদের ধান পর্যন্ত লুট করা ছিল তার দলের নিয়মিত কর্মকাণ্ড। চাঁন্দা ডাকাত মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের চর আলাউদ্দিন গ্রামের আব্দুল বাতেনের ছেলে। তিনি স্থানীয় যুবদল নেতা মো. দিদারের ভাই বলেও জানা গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর মোহাম্মদপুর ইউনিয়নে তিনটি সন্ত্রাসী বাহিনী সক্রিয় হয়—চাঁন্দা ডাকাত বাহিনী, ফারুক বাহিনী এবং মাদককারবারি তোতলা বাহিনী। প্রথম দুটি বাহিনী এলাকায় লুটপাট, হামলা ও অস্ত্রের মহড়ায় যুক্ত, আর তোতলা বাহিনী নদীপথে সন্দ্বীপ থেকে মাদক আনায় জড়িত।
এক সময়ের শান্ত ইউনিয়ন এখন রীতিমতো আতঙ্কের জনপদে পরিণত হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. আলাউদ্দিন বলেন, “চাঁন্দা ডাকাত আর ফারুক মাঝি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন চৌধুরীর খামার থেকে ২০টি মহিষ, ২৬টি গরু, কয়েকটি প্রজেক্টের মাছ ও ফসল লুট করেছে। কেউ প্রতিবাদ করলে অস্ত্র দেখিয়ে ভয় দেখানো হতো।”

র‍্যাবের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার ও সহকারী পুলিশ সুপার মিঠুন কুমার কুণ্ডু বলেন, “গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে চাঁন্দা ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে চরজব্বর ও হাতিয়া থানায় হত্যাচেষ্টা ও অন্যান্য অপরাধে একাধিক মামলা রয়েছে। উদ্ধার করা অস্ত্র ও গুলির বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলছে।” অন্যদিকে অভিযুক্তের ভাই ও স্থানীয় যুবদল নেতা মো. দিদার দাবি করেছেন, “আমার ভাই নির্দোষ। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তাকে ফাঁসানো হয়েছে।”

দীর্ঘদিনের ভয়ভীতির রাজত্বের অবসান ঘটায় মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের মানুষ এখন কিছুটা স্বস্তিতে। স্থানীয়রা বলছেন, র‍্যাবের এ অভিযানের পর হয়তো এলাকা আবার আগের মতো শান্ত হয়ে উঠবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

সুবর্ণচরে পিস্তলসহ চাঁন্দা ডাকাত গ্রেপ্তার, এলাকাবাসীর মুখে স্বস্তির হাসি

আপডেট সময় : ০৩:৫২:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের কুখ্যাত চাঁন মিয়া ওরফে চাঁন্দা ডাকাত (৩৮) অবশেষে র‍্যাবের হাতে ধরা পড়েছে। তার কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, একটি গুলি ও একটি মোটরসাইকেল। সোমবার (২৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় চরওয়াপদা ইউনিয়নের আল আমিন বাজার এলাকা থেকে র‍্যাব-১১, সিপিসি-৩ নোয়াখালী ক্যাম্পের একটি টিম অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।

র‍্যাব জানায়, চাঁন্দা ডাকাত দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় জনগণের উপর ভয়ভীতি, চাঁদাবাজি, লুটপাট ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। ৫ আগস্টের পর থেকে তার দৌরাত্ম্য আরও বেড়ে যায়। অস্ত্রের মহড়া, খামারের গরু-মহিষ লুট, মাছের ঘের দখল, এমনকি কৃষকদের ধান পর্যন্ত লুট করা ছিল তার দলের নিয়মিত কর্মকাণ্ড। চাঁন্দা ডাকাত মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের চর আলাউদ্দিন গ্রামের আব্দুল বাতেনের ছেলে। তিনি স্থানীয় যুবদল নেতা মো. দিদারের ভাই বলেও জানা গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর মোহাম্মদপুর ইউনিয়নে তিনটি সন্ত্রাসী বাহিনী সক্রিয় হয়—চাঁন্দা ডাকাত বাহিনী, ফারুক বাহিনী এবং মাদককারবারি তোতলা বাহিনী। প্রথম দুটি বাহিনী এলাকায় লুটপাট, হামলা ও অস্ত্রের মহড়ায় যুক্ত, আর তোতলা বাহিনী নদীপথে সন্দ্বীপ থেকে মাদক আনায় জড়িত।
এক সময়ের শান্ত ইউনিয়ন এখন রীতিমতো আতঙ্কের জনপদে পরিণত হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. আলাউদ্দিন বলেন, “চাঁন্দা ডাকাত আর ফারুক মাঝি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন চৌধুরীর খামার থেকে ২০টি মহিষ, ২৬টি গরু, কয়েকটি প্রজেক্টের মাছ ও ফসল লুট করেছে। কেউ প্রতিবাদ করলে অস্ত্র দেখিয়ে ভয় দেখানো হতো।”

র‍্যাবের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার ও সহকারী পুলিশ সুপার মিঠুন কুমার কুণ্ডু বলেন, “গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে চাঁন্দা ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে চরজব্বর ও হাতিয়া থানায় হত্যাচেষ্টা ও অন্যান্য অপরাধে একাধিক মামলা রয়েছে। উদ্ধার করা অস্ত্র ও গুলির বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলছে।” অন্যদিকে অভিযুক্তের ভাই ও স্থানীয় যুবদল নেতা মো. দিদার দাবি করেছেন, “আমার ভাই নির্দোষ। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তাকে ফাঁসানো হয়েছে।”

দীর্ঘদিনের ভয়ভীতির রাজত্বের অবসান ঘটায় মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের মানুষ এখন কিছুটা স্বস্তিতে। স্থানীয়রা বলছেন, র‍্যাবের এ অভিযানের পর হয়তো এলাকা আবার আগের মতো শান্ত হয়ে উঠবে।