ইনুর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ প্রমাণ দিতে পারেনি: আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী
- আপডেট সময় : ১০:২৯:১৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫
- / ৫৭ বার পড়া হয়েছে
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনের সময় আওয়ামী লীগ সরকার বা ১৪ দল কোনো ধরনের অন্যায়ের আশ্রয় নেয়নি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলার আসামি হাসানুল হক ইনুর আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনসুরুল হক চৌধুরী। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, “রাষ্ট্রপক্ষ ইনুর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনেছে, তার কোনোটিই প্রমাণ করতে পারেনি। সুপিরিয়র কমান্ড রেসপনসিবিলিটি বা কমপ্লিসিটি-দুই ক্ষেত্রেই তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন ব্যর্থ হয়েছে।”
তিনি জানান, জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের সময়কার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ইনুর মধ্যকার অডিও কথোপকথনে স্পষ্ট উল্লেখ আছে-“কারফিউ হবে, কিন্তু কোনো গুলি হবে না। আইনজীবী বলেন, “সেই আলাপ থেকে বোঝা যায়, সরকার আন্দোলন দমন করতে সহিংসতার আশ্রয় নেয়নি। বরং শেখ হাসিনা নির্দেশ দেন, কেউ যদি সহিংসতায় জড়ায়, তাকে গ্রেপ্তার করে টেলিভিশনে দেখানো হবে, পরে ছেড়ে দেওয়া হবে।”
মনসুরুল হক চৌধুরী আরও বলেন, “ট্রাইব্যুনালে আমি দেখিয়েছি, ইনু আন্দোলনকারীদের ঘরে ফেরার আহ্বান জানানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন যাতে কোনো সহিংসতা না ঘটে। এতে স্পষ্ট হয়, ইনু বা ১৪ দল গণঅভ্যুত্থান দমনে কোনো বেআইনি পন্থা নেয়নি। রাষ্ট্রপক্ষ ইনুর বিরুদ্ধে দুটি অভিযোগ এনেছে-একটি সুপিরিয়র কমান্ড রেসপনসিবিলিটি এবং অন্যটি কমপ্লিসিটি (সম্পৃক্ততা)। তবে এই দুটি অভিযোগের কোনোটি প্রমাণে রাষ্ট্রপক্ষ যথাযথ তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করতে পারেনি বলে দাবি করেন ইনুর আইনজীবী।
এর আগে ২৩ অক্টোবর ইনুর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। মঙ্গলবার আসামিপক্ষের শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল আগামী ২ নভেম্বর এ বিষয়ে আদেশের দিন ধার্য করেছেন।























