মাদ্রাসায় উপস্থিত না হয়েও হাজিরা খাতায় নিয়মিত সাক্ষর ভারপ্রাপ্ত সুপারের
- আপডেট সময় : ১০:১১:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫
- / ২০৪ বার পড়া হয়েছে
কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার মাটিয়াল আল মোজাদ্দেদিয়া দ্বীনি দাখিল মাদ্রাসায় প্রশাসনিক অনিয়মের চিত্র প্রকট হয়ে উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার মো. আইয়ুব আলী দীর্ঘদিন ধরে প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত থেকেও হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর দিচ্ছেন এবং নিয়মিত বেতন-ভাতা গ্রহণ করছেন।
দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই তিনি নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের সুশৃঙ্খল পরিবেশ নষ্ট করেছেন বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুর ১টা ২০ মিনিটে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাদ্রাসার পিয়ন মাহফুজার রহমান শ্রেণিকক্ষ ও অফিস কক্ষে তালা দিচ্ছেন।
এ সময় সহকারী শিক্ষক আবু হোসেন বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন। স্থানীয়রা জানান, মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার আইয়ুব আলী দীর্ঘদিন যাবত উপস্থিত থাকেন না এবং প্রায় প্রতিদিন দুপুরের আগেই শিক্ষকরা ছুটি দিয়ে মাদ্রাসা বন্ধ করে চলে যান। নিয়মিত না আসলেও তিনি হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করছেন এবং সরকারি বেতন তুলছেন—এ নিয়ে এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সরেজমিনে হাজিরা খাতায় দেখা যায়, সুপার আইয়ুব আলীর স্বাক্ষর রয়েছে, অথচ সেদিন তিনি মাদ্রাসায় উপস্থিত ছিলেন না।
উপস্থিত তিনজন সহ শিক্ষকও স্বীকার করেন যে, সুপার বেশ কয়েকদিন যাবত মাদ্রাসায় আসছেন না। এলাকাবাসী জানান, দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই তিনি মাদ্রাসার অভ্যন্তরীণ কার্যক্রমে স্বেচ্ছাচারিতা শুরু করেন। কমিটি গঠন, আর্থিক লেনদেন ও উপস্থিতি সংক্রান্ত নানা অনিয়মের কারণে শিক্ষক ও স্থানীয়দের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। এর আগেও তার অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিবাদে এলাকাবাসী মানববন্ধন করেছেন। এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত সুপার আইয়ুব আলীর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ বিষয় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবু সাঈদ মো. আব্দুল ওয়াহিদ বলেন, তিনি কেন মাদ্রাসায় উপস্থিত থাকেন না এবং অফিস সময়ের আগে ছুটি দেওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। এ বিষয়ে তাকে শোকজ করা হবে। জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উলিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নয়ন কুমার সাহা বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের অনিয়ম কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। অভিযোগ প্রমাণিত হলে যথাযথ প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




















