ঢাকা ০৬:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ঢাকাইয়া রূপে আসছে ‘দেবদাস’, বুবলী–আজাদ জুটি নিয়ে জাহিদ হোসেনের নতুন আয়োজন কুমিল্লায় বিএনপির উদ্যোগে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন মোরেলগঞ্জে বিষখালী নদীর সেতুর সংযোগ সড়ক ভেঙে যান চলাচল বন্ধ শাল্লায় ‘বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ পালিত দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারই আমাদের মূল লক্ষ্য- সেলিমুজ্জামান সেলিম কেন্দুয়ায় জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত জিয়া ছিলেন সকল রাজনৈতিক সংগঠনের অভিন্ন চরিত্র: ইবি উপাচার্য মোরেলগঞ্জে ঐতিহাসিক ৭ই নভেম্বর উপলক্ষে বিএনপির বর্ণাঢ্য র‌্যালি বগুড়ায় জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অপ প্রচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবেঃ কর্নেল লুৎফর
প্রভাবশালী মহলে জবর দখল

আদালতের নির্দেশে ৩৭ বছর পর জায়গা নিজ দখলে পেলো মানসিক দুই প্রতিবন্ধী যুবক

দেলোয়ার হোসেন রশিদী চট্টগ্রাম দক্ষিণ
  • আপডেট সময় : ০৫:৪৪:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫
  • / ৪৮ বার পড়া হয়েছে

লোহাগাড়া উপজেলার পুটিবিলায় দীর্ঘ ৩৭বছর পর আদালতের মাধ্যমে বেদখলকৃত সম্পত্তি ফিরে পেয়েছে এক অসহায় পরিবার।

গতকাল বুধবার দুপুরে লোহাগাড়া সহকারী জজ আদালত, সাতকানিয়া চৌকি, চট্টগ্রামের মাধ্যমে ভূমি সার্ভে করে ভুক্তভোগী পরিবারকে সম্পত্তি বুঝিয়ে দেয়া হয়।আদালতে দীর্ঘ ৩৭ বছর মামলা চালিয়ে গত ২৮ অক্টোবর কাগজ মূলে প্রকৃত মালিককে জায়গা বুঝিয়ে দিতে নির্দেশ প্রদান করেন লোহাগাড়া সহকারী জজ আদালত, সাতকানিয়া চৌকি চট্টগ্রাম এর সিনিয়র সহকারী জজ লোকমান হাকিম।
আদালতের রায় অনুযায়ী বুধবার ভূমি সার্ভে করে লাল নিশানা টাঙিয়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।

আদালতের নির্দেশে সরেজমিনে উপস্থিত হয়ে দখল মুক্ত করার কার্যক্রম পরিচালনা করেন সহকারী জজ আদালত সাতকানিয়া চৌকি চট্টগ্রাম এর নাজির আকাশ কান্তি নাথ, সার্ভেয়ার অভি দাশ, থানা পুলিশ সদস্য ও স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন।

সহকারি জজ আদালতের নাজির আকাশ কান্তি নাথ বলেন, তারা আদালতের রায় বাস্তবায়ন করেছেন। কারও কোনো অভিযোগ থাকলে তারা আদালতের শরণাপন্ন হতে পারেন।
তিনি আরো বলেন, লোহাগাড়া উপজেলার পুটিবিলা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড নাথ পাড়ার বাসিন্দা ভুক্তভোগী নারায়ন কুমার নাথ বাদী হয়ে ১৯৮৮ সালে লোহাগাড়া সহকারী জজ আদালতে, সাতকানিয়া চৌকি, চট্টগ্রামে একটি মামলা দায়ের করেন। নারায়ন কুমার নাথের মৃত্যুর পর মামলা পরিচালনা করেন তারই পুত্র ভবতোষ, মনতোষ ও ভাতিজা সাগর দাশ। দীর্ঘদিন মামলা চলে আসার পর ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে সহকারি জজ মামলাটির রায় ঘোষণা ও ডিগ্রি জারি করেন। এতে বাদীপক্ষ ২ কানি ৩গন্ডা সম্পত্তি ফিরে পান।

পরে জবরদখল উচ্ছেদ করে ঢোল বাজিয়ে ও লাল পতাকা দিয়ে সীমানা নির্ধারণ করে জনসম্মুখে জায়গার মালিক কে জায়গা বুঝিয়ে দেওয়া হয়। দীর্ঘ বছর পরে হলেও নিজেদের জায়গা ফিরে পেয়ে আনন্দিত ও বিজ্ঞ আদালতের প্রতি কৃতজতা প্রকাশ করেন ভুক্তভোগী পরিবার।

স্হানীয়রা জানান, নারায়ন কুমার নাথের দুইছেলে ভবতোষ ও মনতোষ মানসিক প্রতিবন্ধী তাই তাদের অসহায় পেয়ে সম্পত্তি এত বছর জোর করে দখলে রেখেছিল কয়েকটি পরিবার। গ্রামবাসিদের সহযোগিতায় আজ আদালতের কাছে অসহায় পরিবারটি ন্যায় বিচার পেয়েছে। তারা এতে অত্যন্ত আনন্দিত।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

প্রভাবশালী মহলে জবর দখল

আদালতের নির্দেশে ৩৭ বছর পর জায়গা নিজ দখলে পেলো মানসিক দুই প্রতিবন্ধী যুবক

আপডেট সময় : ০৫:৪৪:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫

লোহাগাড়া উপজেলার পুটিবিলায় দীর্ঘ ৩৭বছর পর আদালতের মাধ্যমে বেদখলকৃত সম্পত্তি ফিরে পেয়েছে এক অসহায় পরিবার।

গতকাল বুধবার দুপুরে লোহাগাড়া সহকারী জজ আদালত, সাতকানিয়া চৌকি, চট্টগ্রামের মাধ্যমে ভূমি সার্ভে করে ভুক্তভোগী পরিবারকে সম্পত্তি বুঝিয়ে দেয়া হয়।আদালতে দীর্ঘ ৩৭ বছর মামলা চালিয়ে গত ২৮ অক্টোবর কাগজ মূলে প্রকৃত মালিককে জায়গা বুঝিয়ে দিতে নির্দেশ প্রদান করেন লোহাগাড়া সহকারী জজ আদালত, সাতকানিয়া চৌকি চট্টগ্রাম এর সিনিয়র সহকারী জজ লোকমান হাকিম।
আদালতের রায় অনুযায়ী বুধবার ভূমি সার্ভে করে লাল নিশানা টাঙিয়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।

আদালতের নির্দেশে সরেজমিনে উপস্থিত হয়ে দখল মুক্ত করার কার্যক্রম পরিচালনা করেন সহকারী জজ আদালত সাতকানিয়া চৌকি চট্টগ্রাম এর নাজির আকাশ কান্তি নাথ, সার্ভেয়ার অভি দাশ, থানা পুলিশ সদস্য ও স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন।

সহকারি জজ আদালতের নাজির আকাশ কান্তি নাথ বলেন, তারা আদালতের রায় বাস্তবায়ন করেছেন। কারও কোনো অভিযোগ থাকলে তারা আদালতের শরণাপন্ন হতে পারেন।
তিনি আরো বলেন, লোহাগাড়া উপজেলার পুটিবিলা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড নাথ পাড়ার বাসিন্দা ভুক্তভোগী নারায়ন কুমার নাথ বাদী হয়ে ১৯৮৮ সালে লোহাগাড়া সহকারী জজ আদালতে, সাতকানিয়া চৌকি, চট্টগ্রামে একটি মামলা দায়ের করেন। নারায়ন কুমার নাথের মৃত্যুর পর মামলা পরিচালনা করেন তারই পুত্র ভবতোষ, মনতোষ ও ভাতিজা সাগর দাশ। দীর্ঘদিন মামলা চলে আসার পর ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে সহকারি জজ মামলাটির রায় ঘোষণা ও ডিগ্রি জারি করেন। এতে বাদীপক্ষ ২ কানি ৩গন্ডা সম্পত্তি ফিরে পান।

পরে জবরদখল উচ্ছেদ করে ঢোল বাজিয়ে ও লাল পতাকা দিয়ে সীমানা নির্ধারণ করে জনসম্মুখে জায়গার মালিক কে জায়গা বুঝিয়ে দেওয়া হয়। দীর্ঘ বছর পরে হলেও নিজেদের জায়গা ফিরে পেয়ে আনন্দিত ও বিজ্ঞ আদালতের প্রতি কৃতজতা প্রকাশ করেন ভুক্তভোগী পরিবার।

স্হানীয়রা জানান, নারায়ন কুমার নাথের দুইছেলে ভবতোষ ও মনতোষ মানসিক প্রতিবন্ধী তাই তাদের অসহায় পেয়ে সম্পত্তি এত বছর জোর করে দখলে রেখেছিল কয়েকটি পরিবার। গ্রামবাসিদের সহযোগিতায় আজ আদালতের কাছে অসহায় পরিবারটি ন্যায় বিচার পেয়েছে। তারা এতে অত্যন্ত আনন্দিত।