জুলাই সনদে আইনি ভিত্তি প্রদান ও সংস্কার-পরিপন্থী মনোভাব পরিহারের আহ্বান ছাত্রশিবিরের
- আপডেট সময় : ০৯:৪০:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১ নভেম্বর ২০২৫
- / ২১ বার পড়া হয়েছে
সম্প্রতি জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সকল রাজনৈতিক দলের সাথে দীর্ঘ আলোচনার মাধ্যমে ‘জুলাই সনদ’ প্রণয়ন করেছে, যা ফ্যাসিবাদ মুক্ত নতুন বাংলাদেশ তৈরির প্রাথমিক অগ্রযাত্রা। এটি শুধু রাজনৈতিক দলসমূহের মতামতের সমষ্টি নয়, একটি জাতির ন্যূনতম ঐকমত্যের দলিলও বটে। তাই সনদটির আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করতে সংস্কারবিরোধী মনোভাব পরিহার করার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবির। কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম ৩১ অক্টোবর এক যৌথ বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ভিত্তিতে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের মূল দায়িত্ব ছিল জুলাই গণহত্যার বিচার, জুলাই শহীদ পরিবারের পুনর্বাসন, আহতদের সুচিকিৎসা, বিদ্যমান রাষ্ট্রীয় কাঠামো ও ব্যবস্থাগুলোর মৌলিক সংস্কার এবং এর ওপর ভিত্তি করে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করা। কিন্তু আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি— একদিকে সরকার তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি দেখাতে পারেনি, অন্যদিকে কিছু রাজনৈতিক দল শুরু থেকেই সংস্কার প্রক্রিয়ার মৌলিক সংস্কার ইস্যুতে আপত্তি (নোট অব ডিসেন্ট) জানিয়ে বাধা সৃষ্টি করছে।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, “কোনো দলীয় অবস্থানকে অগ্রাধিকার না দিয়ে সরকারের দায়িত্ব গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন করা। তাই অতিসত্বর জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতে আদেশ জারি করে দ্রুত গণভোটের ব্যবস্থা করার আহ্বান জানাচ্ছি। দীর্ঘ ২০ বছর ধরে ভোটাধিকার বঞ্চিত জনগণের জন্য আসন্ন জাতীয় নির্বাচন যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি নতুন বাংলাদেশ গঠনে জুলাই সনদও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। একই দিনে গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন একটি অবাস্তব চিন্তা। আমরা জাতীয় নির্বাচনের আগেই গণভোট আয়োজনের দাবি জানাচ্ছি। সেইসাথে আমরা সকল পক্ষকে সংস্কারপরিপন্থী মনোভাব পরিহার করার আহ্বান জানাচ্ছি।”























