ঢাকা ০৬:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ঢাকাইয়া রূপে আসছে ‘দেবদাস’, বুবলী–আজাদ জুটি নিয়ে জাহিদ হোসেনের নতুন আয়োজন কুমিল্লায় বিএনপির উদ্যোগে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন মোরেলগঞ্জে বিষখালী নদীর সেতুর সংযোগ সড়ক ভেঙে যান চলাচল বন্ধ শাল্লায় ‘বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ পালিত দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারই আমাদের মূল লক্ষ্য- সেলিমুজ্জামান সেলিম কেন্দুয়ায় জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত জিয়া ছিলেন সকল রাজনৈতিক সংগঠনের অভিন্ন চরিত্র: ইবি উপাচার্য মোরেলগঞ্জে ঐতিহাসিক ৭ই নভেম্বর উপলক্ষে বিএনপির বর্ণাঢ্য র‌্যালি বগুড়ায় জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অপ প্রচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবেঃ কর্নেল লুৎফর

পিরোজপুর-১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ৭ জন, জামায়াতের একক প্রার্থী মাসুদ সাইদী

পিরোজপুর প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১১:৫৬:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ নভেম্বর ২০২৫
  • / ৩৩ বার পড়া হয়েছে
  • পিরোজপুর-১ আসনে জামায়াতে ইসলামীর একক প্রার্থী ঘোষণার পরপরই জোরদার নির্বাচনি প্রস্তুতির বিপরীতে বিএনপিতে রয়েছে দ্বিধাবিভক্তি। আর এই সুযোগ নিয়ে জয় নিশ্চিত করতে মরিয়া জামায়াত নেতারা। প্রায় ২ মাস আগে থেকে প্রার্থী চূড়ান্ত করে চলছে তাদের কৌশলী প্রচারণা। অপরদিকে, বিএনপিতে চলছে মনোনয়ন দ্বন্দ্ব-সংঘাত আর কাদা ছোড়াছুড়ি।

পিরোজপুর জেলায় ০৩ টি সাংসদীয় আসন রয়েছে। এই জেলায় ৭ টি উপজেলা মিলে গঠিত হয়েছে তিনটি সংসদীয় আসন। পিরোজপুর ০১ আসনসদর, নাজিরপুর ও ইন্দুরকানী উপজেলা নিয়ে গঠিত। এই আসনে মোট ভোটার: ৩ লাখ ৮৭ হাজার ৪৬৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার: ১ লাখ ৯৫ হাজার ৯৬৬ জন, নারী ভোটার: ১ লাখ ৯১ হাজার ৪৯৭ জন। পিরোজপুর – ০১ আসনে মোট ১৬৭ টি ভোট কেন্দ্র রয়েছে। স্বাধীনতা পরবর্তী অধিকাংশ সংসদ নির্বাচনে এ আসনে আওয়ামী লীগ জয় লাভ করেছে। ১৯৯৬ সালে দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সুধাংশু শেখর হালদারকে হারিয়ে ব্যক্তি ইমেজকে কাজে লাগিয়ে প্রথম বারের মত এমপি হন জামায়াতে প্রয়াত নায়েবে আমীর মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাইদী। ২০০১ সালে বিএনপি নেতৃত্বে চারদলীয় জোট প্রার্থী হিসেবে এই আসনে আবারও জয় পেয়েছিলেন মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাইদী। এরপর ২০০৮ সালেও মনোনয়ন পান মাওলানা সাইদী এবং ২০১৮ সালেও মনোনয়ন পান তাঁর ছেলে শামীম সাইদী। যদিও এ আসনে বিএনপি ১৯৯৬ সালের একতরফা নির্বাচন ছাড়া কখনও জয়ী হতে পারেনি। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিএনপি জামায়াত আলাদা নির্বাচন করার কারণে জামায়াতের একক প্রার্থী হিসেবে দলটির সাবেক নায়েবে আমীর মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাইদীর ছেলে ও ইন্দুরকানী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাসুদ সাইদী।

অন্যদিকে, পিরোজপুর – ০১ আসনে বিএনপি ও শরিক জোটের মনোনয়ন প্রত্যাশীর সংখ্যা অন্তত সাতজন। তাঁরা হলেন, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের পরিচালক ও সাংবাদিক নেতা হাফিজ আল আসাদ সাঈদ খান, পিরোজপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম খান, জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এলিজা জামান, পিরোজপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাইদুল ইসলাম কিসমত ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মো. আলাউদ্দিন খান ও বিএনপি জোটের ১২ দলীয় জোট প্রধান ও জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার। এছাড়াও বিএনপির আরও অনেক প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে।
এ বিষয়ে পিরোজপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমি ১৯৭৭ সাল থেকে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ২০১৪ সালে বিএনপির পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাচন অংশগ্রহণ করি। ওই সময় আমি জেলে থাকা অবস্থায় জনগণ আমাকে নির্বাচিত করে। তিনি আরও বলেন, নাজিরপুর একটি হিন্দু এলাকা। এখান থেকে আমার পূর্বে কোন বিএনপির জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়নি। উপজেলা নির্বাচনের মতো জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দল আমাকে যোগ্য মনে করলে আমি এই আসনটিতে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করতে পারবো।
নির্বাচনের বিষয়ে জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য অধ্য¶ আলমগীর হোসেন বলেন, আমি দীর্ঘদিন বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আমি দলের বিভিন্ন সময়ে নেতৃত্ব দিয়েছি। এছাড়াও আমি একজন শি¶ক হিসেবে এলাকার মানুষ আমাকে তাদের পাশ পায়। আমাকে মনোনয়ন দিলে আমি এই আসনটি বিএনপিকে উপহার দিতে পারবো।
মনোনয়ন প্রত্যাশী জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের পরিচালক সাংবাদিক হাফিজ আল আসাদ সাঈদ খান বলেন, আমরা সবাই ধানের শীষে ভোট চাচ্ছি। যাকে দল থেকে মনোনয়ন দেওয়া হবে আমরা সবাই তার পক্ষে কাজ করবো।
আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী মাসুদ সাইদী বলেন, এই জনপদের মানুষ দল ও মত নির্বিশেষে বারবার তাদের নির্বাচিত করেছে। তিনি আশা করেন, আগামী নির্বাচনেও জনগণ তাদের উপর আস্থা রাখবেন।

নিজের প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে পিরোজপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইদুল ইসলাম কিসমত বলেন, আমি ২০১৮ সালে নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন ফরম কিনেছিলাম। যদিও ওই নির্বাচনে এই আসনটি জোটের প্রার্থীকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। ইতিমধ্যেই আমি বিএনপির গুলশান অফিসে সাক্ষাৎকার দিয়েছি। দল যাকে মনোনয়ন দিবে, তার পক্ষে আমি সহ বিএনপি সবাই কাজ করবে।

আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) পিরোজপুর জেলা শাখার সভাপতি মুনিরুজ্জামান নাসিম আলী বলেন, বিএনপি যদি এই আসনে যোগ্য প্রার্থী দিতে পারে তাহলে বিএনপির জামায়াতের মধ্যে একটি প্রতিদ্বন্দ্বীতামুলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে পিরোজপুর জেলা নির্বাচন অফিসার মো. আব্দুল মান্নান বলেন, পিরোজপুর জেলার ৩ টি সংসদীয় আসনে ৪১৮ টি কেন্দ্র রয়েছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই শেষ করেছি। “

বিএনপি জোটের প্রার্থী হিসেবে জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর)-এর সভাপতি, আসনের সাবেক সাংসদ ও সাবেক মন্ত্রী মোস্তফা জামাল হায়দারের প্রার্থী হওয়ায় গুঞ্জন রয়েছে। বয়সের ভারে ন্যুব্জ জামাল হায়দার সেক্ষেত্রে   কতোটা সফল হবেন এ নিয়ে প্রশ্ন আছে। অন্যান্য রাজনৈতিক দলসমূহের নির্বাচনী প্রস্তুতি থাকলেও সক্রিয়ভাবে প্রচার-প্রচারণায় এখনো কেউ মাঠে নামেনি। তবে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এবং গণঅধিকার পরিষদের প্রার্থী চূড়ান্ত হয়ে আছে। কেন্দ্রের নির্দেশ পেলেই তারা মাঠে নামবেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

পিরোজপুর-১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ৭ জন, জামায়াতের একক প্রার্থী মাসুদ সাইদী

আপডেট সময় : ১১:৫৬:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ নভেম্বর ২০২৫
  • পিরোজপুর-১ আসনে জামায়াতে ইসলামীর একক প্রার্থী ঘোষণার পরপরই জোরদার নির্বাচনি প্রস্তুতির বিপরীতে বিএনপিতে রয়েছে দ্বিধাবিভক্তি। আর এই সুযোগ নিয়ে জয় নিশ্চিত করতে মরিয়া জামায়াত নেতারা। প্রায় ২ মাস আগে থেকে প্রার্থী চূড়ান্ত করে চলছে তাদের কৌশলী প্রচারণা। অপরদিকে, বিএনপিতে চলছে মনোনয়ন দ্বন্দ্ব-সংঘাত আর কাদা ছোড়াছুড়ি।

পিরোজপুর জেলায় ০৩ টি সাংসদীয় আসন রয়েছে। এই জেলায় ৭ টি উপজেলা মিলে গঠিত হয়েছে তিনটি সংসদীয় আসন। পিরোজপুর ০১ আসনসদর, নাজিরপুর ও ইন্দুরকানী উপজেলা নিয়ে গঠিত। এই আসনে মোট ভোটার: ৩ লাখ ৮৭ হাজার ৪৬৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার: ১ লাখ ৯৫ হাজার ৯৬৬ জন, নারী ভোটার: ১ লাখ ৯১ হাজার ৪৯৭ জন। পিরোজপুর – ০১ আসনে মোট ১৬৭ টি ভোট কেন্দ্র রয়েছে। স্বাধীনতা পরবর্তী অধিকাংশ সংসদ নির্বাচনে এ আসনে আওয়ামী লীগ জয় লাভ করেছে। ১৯৯৬ সালে দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সুধাংশু শেখর হালদারকে হারিয়ে ব্যক্তি ইমেজকে কাজে লাগিয়ে প্রথম বারের মত এমপি হন জামায়াতে প্রয়াত নায়েবে আমীর মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাইদী। ২০০১ সালে বিএনপি নেতৃত্বে চারদলীয় জোট প্রার্থী হিসেবে এই আসনে আবারও জয় পেয়েছিলেন মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাইদী। এরপর ২০০৮ সালেও মনোনয়ন পান মাওলানা সাইদী এবং ২০১৮ সালেও মনোনয়ন পান তাঁর ছেলে শামীম সাইদী। যদিও এ আসনে বিএনপি ১৯৯৬ সালের একতরফা নির্বাচন ছাড়া কখনও জয়ী হতে পারেনি। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিএনপি জামায়াত আলাদা নির্বাচন করার কারণে জামায়াতের একক প্রার্থী হিসেবে দলটির সাবেক নায়েবে আমীর মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাইদীর ছেলে ও ইন্দুরকানী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাসুদ সাইদী।

অন্যদিকে, পিরোজপুর – ০১ আসনে বিএনপি ও শরিক জোটের মনোনয়ন প্রত্যাশীর সংখ্যা অন্তত সাতজন। তাঁরা হলেন, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের পরিচালক ও সাংবাদিক নেতা হাফিজ আল আসাদ সাঈদ খান, পিরোজপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম খান, জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এলিজা জামান, পিরোজপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাইদুল ইসলাম কিসমত ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মো. আলাউদ্দিন খান ও বিএনপি জোটের ১২ দলীয় জোট প্রধান ও জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার। এছাড়াও বিএনপির আরও অনেক প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে।
এ বিষয়ে পিরোজপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমি ১৯৭৭ সাল থেকে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ২০১৪ সালে বিএনপির পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাচন অংশগ্রহণ করি। ওই সময় আমি জেলে থাকা অবস্থায় জনগণ আমাকে নির্বাচিত করে। তিনি আরও বলেন, নাজিরপুর একটি হিন্দু এলাকা। এখান থেকে আমার পূর্বে কোন বিএনপির জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়নি। উপজেলা নির্বাচনের মতো জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দল আমাকে যোগ্য মনে করলে আমি এই আসনটিতে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করতে পারবো।
নির্বাচনের বিষয়ে জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য অধ্য¶ আলমগীর হোসেন বলেন, আমি দীর্ঘদিন বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আমি দলের বিভিন্ন সময়ে নেতৃত্ব দিয়েছি। এছাড়াও আমি একজন শি¶ক হিসেবে এলাকার মানুষ আমাকে তাদের পাশ পায়। আমাকে মনোনয়ন দিলে আমি এই আসনটি বিএনপিকে উপহার দিতে পারবো।
মনোনয়ন প্রত্যাশী জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের পরিচালক সাংবাদিক হাফিজ আল আসাদ সাঈদ খান বলেন, আমরা সবাই ধানের শীষে ভোট চাচ্ছি। যাকে দল থেকে মনোনয়ন দেওয়া হবে আমরা সবাই তার পক্ষে কাজ করবো।
আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী মাসুদ সাইদী বলেন, এই জনপদের মানুষ দল ও মত নির্বিশেষে বারবার তাদের নির্বাচিত করেছে। তিনি আশা করেন, আগামী নির্বাচনেও জনগণ তাদের উপর আস্থা রাখবেন।

নিজের প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে পিরোজপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইদুল ইসলাম কিসমত বলেন, আমি ২০১৮ সালে নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন ফরম কিনেছিলাম। যদিও ওই নির্বাচনে এই আসনটি জোটের প্রার্থীকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। ইতিমধ্যেই আমি বিএনপির গুলশান অফিসে সাক্ষাৎকার দিয়েছি। দল যাকে মনোনয়ন দিবে, তার পক্ষে আমি সহ বিএনপি সবাই কাজ করবে।

আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) পিরোজপুর জেলা শাখার সভাপতি মুনিরুজ্জামান নাসিম আলী বলেন, বিএনপি যদি এই আসনে যোগ্য প্রার্থী দিতে পারে তাহলে বিএনপির জামায়াতের মধ্যে একটি প্রতিদ্বন্দ্বীতামুলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে পিরোজপুর জেলা নির্বাচন অফিসার মো. আব্দুল মান্নান বলেন, পিরোজপুর জেলার ৩ টি সংসদীয় আসনে ৪১৮ টি কেন্দ্র রয়েছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই শেষ করেছি। “

বিএনপি জোটের প্রার্থী হিসেবে জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর)-এর সভাপতি, আসনের সাবেক সাংসদ ও সাবেক মন্ত্রী মোস্তফা জামাল হায়দারের প্রার্থী হওয়ায় গুঞ্জন রয়েছে। বয়সের ভারে ন্যুব্জ জামাল হায়দার সেক্ষেত্রে   কতোটা সফল হবেন এ নিয়ে প্রশ্ন আছে। অন্যান্য রাজনৈতিক দলসমূহের নির্বাচনী প্রস্তুতি থাকলেও সক্রিয়ভাবে প্রচার-প্রচারণায় এখনো কেউ মাঠে নামেনি। তবে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এবং গণঅধিকার পরিষদের প্রার্থী চূড়ান্ত হয়ে আছে। কেন্দ্রের নির্দেশ পেলেই তারা মাঠে নামবেন।