চিড়িয়াখানাকে শুধু রাজস্ব বা বিনোদনের মানদণ্ড ভাবা ঠিক নয়: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
- আপডেট সময় : ০৯:৩০:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ নভেম্বর ২০২৫
- / ২৭ বার পড়া হয়েছে
জাতীয় চিড়িয়াখানায় প্রাণীদের প্রতি যথাযথ মানবিক আচরণ নিশ্চিত করা হচ্ছে না উল্লেখ করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, “চিড়িয়াখানাকে কেবল রাজস্ব বা বিনোদনের কেন্দ্র হিসেবে দেখলে চলবে না—এটি দেশের বিশেষ পরিচয়ের প্রতীক হিসেবে গড়ে উঠতে পারে। রোববার সকালে রাজধানীর ফার্মগেটের বাংলাদেশ তুলা উন্নয়ন বোর্ডের হলরুমে ‘বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানার বর্তমান অবস্থা ও উন্নয়ন পরিকল্পনা’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। কর্মশালার আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। উপদেষ্টা বলেন, বহু বছরের জটিলতা ও দুরবস্থার সমাধান কোনো একক ব্যক্তি বা পদাধিকারীর পক্ষে সম্ভব নয়। এ জন্য অধিদপ্তর, চিড়িয়াখানার কর্মকর্তা, গবেষক ও সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নিয়ে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে। চিড়িয়াখানার উন্নয়নের জন্য সব শ্রেণির অভিজ্ঞ ব্যক্তিকে নিয়ে একটি কার্যকর কমিটি গঠন করা হবে বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, প্রাণীদের সংরক্ষণ কেবল চিড়িয়াখানার ভেতরেই সীমাবদ্ধ রাখা ঠিক নয়। উপযুক্ত প্রাকৃতিক পরিবেশে কিছু প্রাণী পুনর্বাসনের সুযোগ আছে কি না, তা বিবেচনা করা প্রয়োজন। স্বাভাবিক মৃত্যুর সময় ঘনিয়ে আসা প্রাণীদের রাখা বা স্থানান্তর নিয়েও সিদ্ধান্ত নিতে হবে। গবেষণার ক্ষেত্রে তিনি বলেন, “গবেষণার জন্য প্রাণী বাইরে যাবে না। গবেষকদের চিড়িয়াখানায় এসে গবেষণা করতে হবে। কর্মশালায় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবু সুফিয়ান সভাপতিত্ব করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের। তিনি বলেন, আমাদের বড় সংকট হলো পর্যাপ্ত জনবলের অভাব। ফলে প্রাণীদের সঠিকভাবে রাখা যাচ্ছে না। কর্মশালার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের চেষ্টা করা হবে। স্বাগত বক্তব্য দেন অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মো. বয়জার রহমান। মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় চিড়িয়াখানার পরিচালক ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম তালুকদার। আলোচনা করেন চিড়িয়াখানার সাবেক কিউরেটর ডা. এ বি এম শহীদ উল্লাহ, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেডিয়ার তৌহিদুর রহমান প্রমুখ।




















