ঢাকা ০৭:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ঢাকাইয়া রূপে আসছে ‘দেবদাস’, বুবলী–আজাদ জুটি নিয়ে জাহিদ হোসেনের নতুন আয়োজন কুমিল্লায় বিএনপির উদ্যোগে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন মোরেলগঞ্জে বিষখালী নদীর সেতুর সংযোগ সড়ক ভেঙে যান চলাচল বন্ধ শাল্লায় ‘বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ পালিত দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারই আমাদের মূল লক্ষ্য- সেলিমুজ্জামান সেলিম কেন্দুয়ায় জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত জিয়া ছিলেন সকল রাজনৈতিক সংগঠনের অভিন্ন চরিত্র: ইবি উপাচার্য মোরেলগঞ্জে ঐতিহাসিক ৭ই নভেম্বর উপলক্ষে বিএনপির বর্ণাঢ্য র‌্যালি বগুড়ায় জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অপ প্রচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবেঃ কর্নেল লুৎফর

পটুয়াখালীতে দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত নজরুলের ঝুঁকি নিয়ে মাছ চাষ

বায়োজিদ মিয়া, পটুযাখালী
  • আপডেট সময় : ০৯:৩২:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ নভেম্বর ২০২৫
  • / ৩২ বার পড়া হয়েছে

 

পটুয়াখালীর সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের বাদুরা গ্রামের মাছ চাষি গাজী নজরুল ইসলাম একের পর এক প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও হাল ছাড়েননি। সিডর, আইলা, বুলবুলি ও বিভিন্ন ঝড়ুজলোচ্ছ্বাসে বহুবার মাছ ভেসে গিয়ে লাখ লাখ টাকা ক্ষতি হলেও আবারো ঝুঁকি নিয়ে নতুন করে চাষ শুরু করেছেন তিনি। ২০০৪ সালে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে নজরুল এলাকার ৩০-৪০ জন বেকার যুবককে সঙ্গে নিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব বাদুরা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি গড়ে তোলেন। পরে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ২৬.১১ একর বদ্ধ জলাশয় লীজ নিয়ে রুই, কাতলা, মৃগেলসহ বিভিন্ন জাতের মাছ চাষ শুরু করেন। কিন্তু সিডরের প্লাবনে প্রথম দফায় লাখ টাকার মাছ ভেসে যায়। ২০১১ সালে আবার জমি বিক্রি ও লোন করে একই জলাশয় লীজ নেন তিনি। যশোরের হ্যাচারি থেকে রেণু এনে পোনা উৎপাদন করে মাছ চাষে লাভের মুখ দেখলেও ঘূর্ণিঝড় বুলবুলসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে পুনরায় প্রায় ২০ লাখ টাকার মতো ক্ষতির মুখে পড়েন। এর মধ্যেও হাল ছাড়েননি নজরুল। সম্প্রতি কৃষি ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংক থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে এবং কিছু জমি বিক্রি করে আবারও যশোর থেকে বিভিন্ন জাতের সাড়ে সাত মন পোনা এনে জলাশয়ের তিনটি গ্যাফে অবমুক্ত করেছেন তিনি। নজরুল বলেন, “এ বছর যদি বন্যা বা ঘূর্ণিঝড় না হয়, তাহলে উৎপাদিত মাছ বিক্রি করে ক্ষতি পুষিয়ে লাভ করতে পারব বলে আশা করি। তিনি জানান, লীজ নেওয়া ২৬.১১ একর জলাশয়কে ৯টি গ্যাফে ভাগ করে ৬টি গ্যাফ এলাকায় যুবকদের চাষের সুযোগ দিয়েছেন, যা তার জন্য গর্বের বিষয়। পরিবার নিয়েও সন্তুষ্ট নজরুল। কঠিন সময়ের মধ্যেও চার সন্তানকে পড়ালেখা করাতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। মেয়ে সুইটি, পটুয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী, বাবাকে নিয়মিত উৎসাহ দেন বলেও জানান নজরুল গাজী।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

পটুয়াখালীতে দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত নজরুলের ঝুঁকি নিয়ে মাছ চাষ

আপডেট সময় : ০৯:৩২:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ নভেম্বর ২০২৫

 

পটুয়াখালীর সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের বাদুরা গ্রামের মাছ চাষি গাজী নজরুল ইসলাম একের পর এক প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও হাল ছাড়েননি। সিডর, আইলা, বুলবুলি ও বিভিন্ন ঝড়ুজলোচ্ছ্বাসে বহুবার মাছ ভেসে গিয়ে লাখ লাখ টাকা ক্ষতি হলেও আবারো ঝুঁকি নিয়ে নতুন করে চাষ শুরু করেছেন তিনি। ২০০৪ সালে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে নজরুল এলাকার ৩০-৪০ জন বেকার যুবককে সঙ্গে নিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব বাদুরা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি গড়ে তোলেন। পরে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ২৬.১১ একর বদ্ধ জলাশয় লীজ নিয়ে রুই, কাতলা, মৃগেলসহ বিভিন্ন জাতের মাছ চাষ শুরু করেন। কিন্তু সিডরের প্লাবনে প্রথম দফায় লাখ টাকার মাছ ভেসে যায়। ২০১১ সালে আবার জমি বিক্রি ও লোন করে একই জলাশয় লীজ নেন তিনি। যশোরের হ্যাচারি থেকে রেণু এনে পোনা উৎপাদন করে মাছ চাষে লাভের মুখ দেখলেও ঘূর্ণিঝড় বুলবুলসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে পুনরায় প্রায় ২০ লাখ টাকার মতো ক্ষতির মুখে পড়েন। এর মধ্যেও হাল ছাড়েননি নজরুল। সম্প্রতি কৃষি ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংক থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে এবং কিছু জমি বিক্রি করে আবারও যশোর থেকে বিভিন্ন জাতের সাড়ে সাত মন পোনা এনে জলাশয়ের তিনটি গ্যাফে অবমুক্ত করেছেন তিনি। নজরুল বলেন, “এ বছর যদি বন্যা বা ঘূর্ণিঝড় না হয়, তাহলে উৎপাদিত মাছ বিক্রি করে ক্ষতি পুষিয়ে লাভ করতে পারব বলে আশা করি। তিনি জানান, লীজ নেওয়া ২৬.১১ একর জলাশয়কে ৯টি গ্যাফে ভাগ করে ৬টি গ্যাফ এলাকায় যুবকদের চাষের সুযোগ দিয়েছেন, যা তার জন্য গর্বের বিষয়। পরিবার নিয়েও সন্তুষ্ট নজরুল। কঠিন সময়ের মধ্যেও চার সন্তানকে পড়ালেখা করাতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। মেয়ে সুইটি, পটুয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী, বাবাকে নিয়মিত উৎসাহ দেন বলেও জানান নজরুল গাজী।