জুলাই বিরোধী ভূমিকায় শিক্ষক বহিষ্কার, প্রত্যাহার দাবিতে মানববন্ধন
- আপডেট সময় : ০৯:৪১:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ নভেম্বর ২০২৫
- / ২১ বার পড়া হয়েছে
জুলাই গণঅভ্যুত্থান বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) মার্কেটিং এবং হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের দুই শিক্ষকের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিভাগের শিক্ষার্থীরা। বরখাস্ত হওয়া শিক্ষকরা হলেন— মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মাজেদুল হক এবং হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. শহীদুল ইসলাম। রবিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে পৃথক ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করেন দুই বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানান তারা। এসময় শিক্ষার্থীদের হাতে “শিক্ষকের সম্মান ফিরিয়ে দাও; আমার শিক্ষক বহিষ্কার, এটা কি সংস্কার; আমার শিক্ষককে ক্লাসে চাই, সাময়িক বরখাস্ত বাতিল চাই; শিক্ষক ছাড়া ক্লাসে বসবো না, নিরপেক্ষ তদন্ত চাই, মিথ্যার বিরুদ্ধে স্বচ্ছতা চাই,৪ আগস্ট স্যার ক্যাম্পাসে ছিলেন না” ইত্যাদি প্লে কার্ড দেখা যায়। শিক্ষার্থীরা বলেন, তদন্ত পক্ষপাতদুষ্ট হয়েছে তাই শাস্তির পুনর্বিবেচনা করতে হবে। কোন অপরাধের ওপর ভিত্তি করে শাস্তি দেওয়া হয়েছে তা উন্মুক্ত করতে হবে। স্যারকে বহিষ্কার করলে বিভাগ সেশন জটে পড়বে, তাছাড়া আওয়ামী লীগ তখন বৈধ ছিল। তাই অনতিবিলম্বে অযৌক্তিক বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করতে হবে। তারা আরো বলেন, শুনেছি স্যারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। কি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে? স্যারের অপরাধটা কি? আমরা সেটাই জানতে চাচ্ছি। প্রশাসন যদি আমাদের তার অপরাধ সম্পর্কে বলতে পারে যে তিনি কোনো প্রকার গুম বা খুনে জড়িত ছিলেন অথবা তিনি কোন শিক্ষার্থীকে আন্দোলনে যেতে বাধা দিয়েছেন তাহলে আমরা এই মুহূর্তে আমাদের আন্দোলন প্রত্যাহার করব এবং স্যারকে যদি কোন প্রকার শাস্তি দেওয়া হয় আমরা সেটাকে সমর্থন করব। উল্লেখ্য, গতবছরে জুলাই আন্দোলনবিরোধী অবস্থান নেওয়া ১৯ শিক্ষক ও ১১ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত এবং নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত ৩৩ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার ও তাদের সনদ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৭১তম সিন্ডিকেট সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।




















