ঢাকা ০৬:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ঢাকাইয়া রূপে আসছে ‘দেবদাস’, বুবলী–আজাদ জুটি নিয়ে জাহিদ হোসেনের নতুন আয়োজন কুমিল্লায় বিএনপির উদ্যোগে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন মোরেলগঞ্জে বিষখালী নদীর সেতুর সংযোগ সড়ক ভেঙে যান চলাচল বন্ধ শাল্লায় ‘বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ পালিত দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারই আমাদের মূল লক্ষ্য- সেলিমুজ্জামান সেলিম কেন্দুয়ায় জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত জিয়া ছিলেন সকল রাজনৈতিক সংগঠনের অভিন্ন চরিত্র: ইবি উপাচার্য মোরেলগঞ্জে ঐতিহাসিক ৭ই নভেম্বর উপলক্ষে বিএনপির বর্ণাঢ্য র‌্যালি বগুড়ায় জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অপ প্রচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবেঃ কর্নেল লুৎফর

পার্বত্য নেতা বীরেন্দ্র কিশোর রোয়াজা স্মরণে ৪০ বছর

বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৪:৪৮:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ নভেম্বর ২০২৫
  • / ৫৪ বার পড়া হয়েছে

রবিার (২ নভেম্বর) পার্বত্য চট্রগ্রামের অধিকারহারা জুম্মো জনগণের অধিকার আদায়ের আন্দোলনের অগ্রদূত, শিক্ষানুরাগী ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি বীরেন্দ্র কিশোর রোয়াজার ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৮৫ সালের এই দিনে তিনি পরলোকগমন করেন।

১৯১৩ সালে খাগড়াছড়ির ঠাকুরছড়া গ্রামে জন্ম নেওয়া বি.কে. রোয়াজা বাংলাদেশের ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর প্রথম গ্রাজুয়েট হিসেবে পরিচিত। শিক্ষকতা দিয়ে কর্মজীবন শুরু করলেও তিনি দ্রুতই হয়ে ওঠেন পার্বত্য চট্টগ্রামের শিক্ষাবিস্তার, প্রশাসনিক উন্নয়ন ও জনকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডের অগ্রদূত। তাঁর নেতৃত্বে খাগড়াছড়ি এম.ই. স্কুল উন্নীত হয়ে হাই স্কুলে পরিণত হয় এবং তিনি ঠাকুরছড়ায় একটি হাই স্কুল প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।

ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতিতে সক্রিয় রোয়াজা ১৯৫৪ সালে পূর্ববঙ্গ আইনসভায় পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হন। আদিবাসী জনগণের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় তিনি প্রথম সারির কণ্ঠ হয়ে ওঠেন। ১৯৭২ সালে মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার আহ্বানে তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি গঠনে নেতৃত্ব দেন এবং প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নির্বাচিত হন।

ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমলে একাধিকবার রাজনৈতিক কারণে গ্রেপ্তার হওয়া বি.কে. রোয়াজা আজও পাহাড়ি জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণ, স্বকীয়তা ও অধিকার আন্দোলনের অনুপ্রেরণার প্রতীক। তাঁর চার দশক আগের প্রয়াণ দিবসে পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষ শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছে এই কিংবদন্তি নেতাকে।

নিউজটি শেয়ার করুন

পার্বত্য নেতা বীরেন্দ্র কিশোর রোয়াজা স্মরণে ৪০ বছর

আপডেট সময় : ০৪:৪৮:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ নভেম্বর ২০২৫

রবিার (২ নভেম্বর) পার্বত্য চট্রগ্রামের অধিকারহারা জুম্মো জনগণের অধিকার আদায়ের আন্দোলনের অগ্রদূত, শিক্ষানুরাগী ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি বীরেন্দ্র কিশোর রোয়াজার ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৮৫ সালের এই দিনে তিনি পরলোকগমন করেন।

১৯১৩ সালে খাগড়াছড়ির ঠাকুরছড়া গ্রামে জন্ম নেওয়া বি.কে. রোয়াজা বাংলাদেশের ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর প্রথম গ্রাজুয়েট হিসেবে পরিচিত। শিক্ষকতা দিয়ে কর্মজীবন শুরু করলেও তিনি দ্রুতই হয়ে ওঠেন পার্বত্য চট্টগ্রামের শিক্ষাবিস্তার, প্রশাসনিক উন্নয়ন ও জনকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডের অগ্রদূত। তাঁর নেতৃত্বে খাগড়াছড়ি এম.ই. স্কুল উন্নীত হয়ে হাই স্কুলে পরিণত হয় এবং তিনি ঠাকুরছড়ায় একটি হাই স্কুল প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।

ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতিতে সক্রিয় রোয়াজা ১৯৫৪ সালে পূর্ববঙ্গ আইনসভায় পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হন। আদিবাসী জনগণের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় তিনি প্রথম সারির কণ্ঠ হয়ে ওঠেন। ১৯৭২ সালে মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার আহ্বানে তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি গঠনে নেতৃত্ব দেন এবং প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নির্বাচিত হন।

ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমলে একাধিকবার রাজনৈতিক কারণে গ্রেপ্তার হওয়া বি.কে. রোয়াজা আজও পাহাড়ি জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণ, স্বকীয়তা ও অধিকার আন্দোলনের অনুপ্রেরণার প্রতীক। তাঁর চার দশক আগের প্রয়াণ দিবসে পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষ শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছে এই কিংবদন্তি নেতাকে।