ঢাকা ০৭:০১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ঢাকাইয়া রূপে আসছে ‘দেবদাস’, বুবলী–আজাদ জুটি নিয়ে জাহিদ হোসেনের নতুন আয়োজন কুমিল্লায় বিএনপির উদ্যোগে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন মোরেলগঞ্জে বিষখালী নদীর সেতুর সংযোগ সড়ক ভেঙে যান চলাচল বন্ধ শাল্লায় ‘বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ পালিত দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারই আমাদের মূল লক্ষ্য- সেলিমুজ্জামান সেলিম কেন্দুয়ায় জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত জিয়া ছিলেন সকল রাজনৈতিক সংগঠনের অভিন্ন চরিত্র: ইবি উপাচার্য মোরেলগঞ্জে ঐতিহাসিক ৭ই নভেম্বর উপলক্ষে বিএনপির বর্ণাঢ্য র‌্যালি বগুড়ায় জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অপ প্রচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবেঃ কর্নেল লুৎফর

লাইসেন্স ছাড়াই ১২ বছর ধরে ড্রেজার ব্যবসা, শেখপুর যেন বালু বাণিজ্যের স্বর্গরাজ্য

শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১২:০০:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ নভেম্বর ২০২৫
  • / ৩৮ বার পড়া হয়েছে

মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার শেখপুর নদীতে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন, সংরক্ষণ ও পরিবহনের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা প্রশাসন নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করলেও প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় বালু উত্তোলনকারীরা বহাল তবিয়তে তাদের কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শেখপুর নদীর বেশকিছু স্থানে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে ড্রেজার ঘাট। এসব ড্রেজারের মাধ্যমে প্রতিদিন শত শত ঘনফুট বালু উত্তোলন করে ট্রলার ও ট্রাকে করে বিভিন্ন এলাকা ও নির্মাণাধীন প্রকল্পে সরবরাহ করা হচ্ছে।

স্থানীয়দের দাবি, এ অবৈধ বালু উত্তোলন ও বাণিজ্যের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জড়িত রয়েছে এলাকার কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি। তাদের মধ্যে মোঃ তনাই মোল্লা নামে এক ব্যক্তির নাম বারবার উঠে আসে। অভিযোগ রয়েছে, তিনি প্রায় দশ থেকে বারো বছর ধরে কোন প্রকার সরকারি লাইসেন্স ছাড়া ড্রেজার পরিচালনা করে আসছেন।

তনাই মোল্লার কাছে বালু উত্তোলনের লাইসেন্স আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বিরক্তি প্রকাশ করে বলেন, “অনুমতি কার কাছে থেকে নিবো? বড় বড় সাংবাদিকরাও আমার কাছে আসে, চা খায়। আপনারা মনে করলে মামলা করেন।”

তিনি আরি বলেন আমি ১২ বছর হলো ড্রেজার ব্যবসায় করি, আমার নদী খননের জন্য কাটার ড্রেজার যেটা ওটা চলে মাদারীপুরের মধ্যে, আর মাদারীপুরের সাংবাদিকরাও জানে। শেখপুর নদীতে আনলোড হয় মাত্র।

এ বিষয়ে জানতে শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)-র সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “আমি বর্তমানে সরকারি প্রশিক্ষণে রয়েছি। এই বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) দেখছেন।”

পরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) (এসিল্যান্ড)-এর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোনে সাড়া দেননি।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রশাসনের অভিযান মাঝে মধ্যে হলেও অভিযান শেষে পরিস্থিতি আবার আগের মতো হয়ে যায়। এ কারণে তারা টেকসই ও নিয়মিত তদারকি ব্যবস্থা চালুর দাবি জানিয়েছেন।

বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ অনুযায়ী লাইসেন্স ছাড়া নদী থেকে বালু উত্তোলন দণ্ডনীয় অপরাধ।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

লাইসেন্স ছাড়াই ১২ বছর ধরে ড্রেজার ব্যবসা, শেখপুর যেন বালু বাণিজ্যের স্বর্গরাজ্য

আপডেট সময় : ১২:০০:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ নভেম্বর ২০২৫

মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার শেখপুর নদীতে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন, সংরক্ষণ ও পরিবহনের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা প্রশাসন নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করলেও প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় বালু উত্তোলনকারীরা বহাল তবিয়তে তাদের কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শেখপুর নদীর বেশকিছু স্থানে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে ড্রেজার ঘাট। এসব ড্রেজারের মাধ্যমে প্রতিদিন শত শত ঘনফুট বালু উত্তোলন করে ট্রলার ও ট্রাকে করে বিভিন্ন এলাকা ও নির্মাণাধীন প্রকল্পে সরবরাহ করা হচ্ছে।

স্থানীয়দের দাবি, এ অবৈধ বালু উত্তোলন ও বাণিজ্যের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জড়িত রয়েছে এলাকার কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি। তাদের মধ্যে মোঃ তনাই মোল্লা নামে এক ব্যক্তির নাম বারবার উঠে আসে। অভিযোগ রয়েছে, তিনি প্রায় দশ থেকে বারো বছর ধরে কোন প্রকার সরকারি লাইসেন্স ছাড়া ড্রেজার পরিচালনা করে আসছেন।

তনাই মোল্লার কাছে বালু উত্তোলনের লাইসেন্স আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বিরক্তি প্রকাশ করে বলেন, “অনুমতি কার কাছে থেকে নিবো? বড় বড় সাংবাদিকরাও আমার কাছে আসে, চা খায়। আপনারা মনে করলে মামলা করেন।”

তিনি আরি বলেন আমি ১২ বছর হলো ড্রেজার ব্যবসায় করি, আমার নদী খননের জন্য কাটার ড্রেজার যেটা ওটা চলে মাদারীপুরের মধ্যে, আর মাদারীপুরের সাংবাদিকরাও জানে। শেখপুর নদীতে আনলোড হয় মাত্র।

এ বিষয়ে জানতে শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)-র সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “আমি বর্তমানে সরকারি প্রশিক্ষণে রয়েছি। এই বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) দেখছেন।”

পরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) (এসিল্যান্ড)-এর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোনে সাড়া দেননি।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রশাসনের অভিযান মাঝে মধ্যে হলেও অভিযান শেষে পরিস্থিতি আবার আগের মতো হয়ে যায়। এ কারণে তারা টেকসই ও নিয়মিত তদারকি ব্যবস্থা চালুর দাবি জানিয়েছেন।

বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ অনুযায়ী লাইসেন্স ছাড়া নদী থেকে বালু উত্তোলন দণ্ডনীয় অপরাধ।