মনির হোসেন, বেনাপোল প্রতিনিধি
প্রায় দুই মাস ধরে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। ছাত্র আন্দোলনের কারণে গত ৪ আগস্ট থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এখনই আন্তঃদেশীয় ট্রেন চালাতে চায় না ভারত। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের এক চিঠির বিপরীতে ভারত এ অনীহার কথা জানায় বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০১৭ সাল থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ‘বন্ধন এক্সপ্রেস (খুলনা -কলিকাতা)’ চলাচল করতো। ছাত্র আন্দোলনের কারণে ৪ আগস্ট থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ভারতের দিক থেকে ট্রেন চলাচলের জন্য নিরাপদ মনে হচ্ছে না। যদিও পণ্যবাহী ট্রেন চলাচলের অনুমতি রয়েছে। আবার যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হলে বন্ধ থাকা ভিসার প্রক্রিয়া চালু করতে হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বেনাপোল বন্দর দিয়ে রেল ও সড়কপথে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য ট্রেনে সচল থাকে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ১৯ জুলাই সড়কপথে যাতায়াত এবং পণ্য পরিবহন সীমিত পরিসরে চলমান থাকলেও রেলপথে যাত্রী, পণ্য পরিবহন একেবারেই বন্ধ হয়ে যায়।
২৫ জুলাই থেকে সড়কপথে শুরু হয়েছে আমদানি-রপ্তানি ও যাত্রী চলাচল।
এরপর গত ১৯ আগস্ট দুপুরে বাংলাদেশ রেলওয়ের পরিচালন বিভাগের এক চিঠির বিপরীতে পণ্যবাহী ট্রেন চালুর বিষয়ে অনুমতি দেয় ভারত। ওই রাতে পণ্যবাহী ট্রেন চলাচলে অনাপত্তি পায় বাংলাদেশ। তারই প্রেক্ষিতে গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকে পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হলেও যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু করতে বাংলাদেশের রেল কর্তৃপক্ষ ভারতের রেল মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানালেও সাড়া মিলছে না।
রেলপথ মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, ভারতীয় রেলওয়ে বোর্ডের সঙ্গে আলাদা করে যোগাযোগ হয়েছে। এতে দেশটির রেলওয়ে ট্রেন চালাতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। কিন্তু তারা এখনই যাত্রীবাহী ট্রেন চালাতে চাচ্ছে না। মূলত নিরাপত্তা ঝুঁকির কথা বলা হচ্ছে।
গ্রিন লাইন পরিবহনের বেনাপোল কাউন্টারের ব্যবস্থাপক রবীন বলেন, ঢাকা-কলকাতা সড়কপথে মৈত্রী যাত্রীবাহী বাস সার্ভিস চলছে। নিয়মিতভাবে এসব বাস ছেড়ে যাচ্ছে। এক বাসে সরাসরি কলকাতা যাওয়া যাচ্ছে।
বেনাপোল ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং (সিঅ্যান্ডএফ) এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি মফিজুর রহমান সজলএর সঙ্গে কথা হয়। তিনি জানান,প্রায় দুই মাস হতে যাচ্ছে রেলপথে যাত্রী পরিবহন বন্ধ আছে। যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন ব্যবসায়ী ও যাত্রীরা।
তিনি আরো বলেন “রেলসেবা বাতিলের বিষয়টি অবশ্যই দুই দেশের মানুষকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। বন্ধন এক্সপ্রেস খুলনা-কলকাতার মধ্যে ট্রেন সবচেয়ে আরামদায়ক ও সাশ্রয়ী বাহন হিসেবে জায়গা ধরে রেখেছে এবং এটি জনপ্রিয়তা পেয়েছে।”
বেনাপোল আন্তর্জাতিক রেল স্টেশন সুপারিনটেনডেন্ট (মাস্টার) মো. সাইদুজ্জামান দৈনিক প্রলয়কে বলেন, বেনাপোল বন্দর দিয়ে রেলরুটে যাত্রী পরিবহন করে ‘বন্ধন এক্সপ্রেস (’খুলনা- কলিকাতা)। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিরাপত্তাজনিত কারণে গত ১৯ জুলাই দুই দেশের মধ্যে রেলপথে যাত্রী যাতায়াত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিল।
তবে দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি কেটে যাওয়ায় দেশের অভ্যন্তরে রেলসেবা শুরু হয়েছে পুরোদমে। এখন আন্তর্জাতিক রুটে সেবা চালুর জন্য ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানালেও এখন পর্যন্ত সাড়া মেলেনি।#
যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ক্ষেত্রে বিশ্বের ১২ টি দেশের নাগরিকদের ওপর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেওয়া ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা…
৪ জুন বাংলাদেশ-ভুটান ম্যাচটা মাঠে গড়িয়েছে। তবে সে ম্যাচের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বারেবারে। সে…
অভিবাসন বিরোধী তল্লাশির জেরে আবারও উত্তাল হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলস শহর। বিক্ষুব্ধরা গাড়িতে আগুন…
যুক্তরাজ্যের সিটি মিনিস্টারের পদ থেকে পদত্যাগ করা টিউলিপ সিদ্দিক বাংলাদেশের অর্ন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড.…
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসনিয়ন্ত্রিত গাজা উপত্যকায় আজ ঈদের দ্বিতীয় দিন। গাজা সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, এদিন…
কয়েকটি বিভাগে টানা পাঁচদিন বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। শনিবার সংস্থাটির দেওয়া…
This website uses cookies.