বেনাপোল সংবাদদাতা
যশোরর শার্শা উপজেলা বেনাপোল গত দুই বছর ধরে বিদেশি ফলের দাম অনেক বাড়তি। দাম বাড়তে থাকায় আনার আপেল, মাল্টা ও কমলার মতো ফল খাওয়া কমিয়ে দিয়েছেন ক্রেতারা। ভিটামিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ফল। মানুষের শরীরে ভিটামিনের জোগান দেয় দেশি-বিদেশি ফলমূল। একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের জন্য প্রতিদিন ১০০ গ্রাম ফল খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসক এবং পুষ্টিবিদরা। অথচ অত্যধিক দামের কারণে সাধারণ মানুষ ফল থেকে ন্যূনতম পুষ্টি গ্রহণ করতে পারছেন না।
এতে ধারাবাহিকভাবে ফল আমদানি কমেছে। দেশের মানুষ বিদেশি ফল খাওয়া কমিয়ে দিলেও এই বাবদ ক্রেতাদের খরচ বেড়েছে। ইতোমধ্যে আবারও বেড়েছে ফলের দাম। এখন সর্বনিম্ন ৩০০ টাকার কমে মিলছে না। যে কারণে উপজেলা বেনাপোল শার্শা নাভারণ বাগআচড়া ফলের দোকানগুলো অনেকটাই ক্রেতাশূন্য।
ফল ব্যবসায়ীরা বলছেন, মূলত তিন কারণে বিদেশি এসব ফলের দাম বেড়েছে, মূলত ২০২২ সালের জুন-জুলাই থেকে। এর মধ্যে রয়েছে- আমদানি শুল্ক বৃদ্ধি, ডলার সংকট এবং ডলারের মূল্য বৃদ্ধি। এসব কারণে দাম বেড়েছে। সেইসঙ্গে বাজারে ক্রেতা কমেছে। অনেকে ফল খাওয়া কমিয়েছেন। চাহিদা কমে গেছে। পাশাপাশি ফল আমদানি কমেছে অন্তত ৫০ শতাংশ।
ফলের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, বিদেশ থেকে ৩৮ ধরনের ফল আমদানি করা হয়। এর মধ্যে আমদানির ৯৫ শতাংশই আপেল, মাল্টা, কমলা, আঙুর ও আনার। বাকি ৫ শতাংশ ফলের মধ্যে রয়েছে নাশপাতি, কিনুই, কতবেল, অ্যাভোকাডো, রাম্বুটান ও কিউই ইত্যাদি।
বেনাপোল ও উপজেলা বাজারের খুচরা ফল বিক্রেতা বিল্লাল হোসেন জানান, ‘বিদেশি ফলের দাম এখন অনেক বেশি। যে কারনে নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। আগে কেউ রোগী দেখতে কিংবা বেড়াতে গেলে স্বজনের জন্য ফল নিয়ে যেতেন। এখন দাম বেশি হওয়ায় ফল নেওয়ার পরিমাণ কমে গেছে। বর্তমানে খুচরায় প্রতি কেজি আঙুর ৫০০, আপেল ৩২০-৩৫০,কমলা ৩৫০, মাল্টা ৩০০ খেজুর ৫০০-১১০০ এবং আনার বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ টাকায়। এই দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে।
বেনাপোল ফল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো: পিংকি খান দৈনিক প্রলয়কে বলেন, ‘দাম বৃদ্ধির কারণে বিদেশি ফল এখন সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। যে কারণে বিক্রিও অনেক কমেছে।
বেনাপোল ফল পট্টি ঘুরে দেখা হয় ক্রেতা জাহানারা বেগমের সাথে। তিনি জানান, আমার আব্বা খুবই অসুস্থ, চিকিৎসকরা বলছে ফল খাওয়াইতে ফলে অনেক পুষ্টি আছে। কিন্তু যে দাম কিনার মত সামর্থ্য আমার নাই। তাই অল্প অল্প করে কিনে নিয়ে যাচ্ছি।
উপজেলা কৃষিবিদরা বলছেন, দেশে এখন ফলের উৎপাদন বাড়ছে। বিদেশি অনেক ফলেরও আবাদ হচ্ছে এদেশে । অনেকে বিদেশি বাদ দিয়ে দেশি ফল দিয়ে চাহিদা মেটাচ্ছ।
বেনাপোল উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরে বিদেশি ফল আমদানি হয়েছে ৫ লাখ ৬ হাজার মেট্রিক টন এবং ২০২২-২৩ অর্থবছরে আমদানি হয়েছে ৩ লাখ ৭৮ হাজার মেট্রিক টন। চীন, থাইল্যান্ড, ভুটান, মিসর, ব্রাজিল, তিউনিসিয়া, পর্তুগাল, নিউজিল্যান্ড, আফগানিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ফ্রান্স থেকে বাংলাদেশে ফল আমদানি করা হয়।
রাজবাড়ী সংবাদদাতা অচল খাল সচল করে জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে রাজবাড়ীতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ কৃষক…
সুমন ভট্টাচার্য, ময়মনসিংহ ময়মনসিংহ জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (১৭ আগস্ট)…
পূর্বধলা সংবাদদাতা নেত্রকোনা সদরে দায়িত্বরত বিকাশ কর্মী রিজন তালুকদারের হত্যার প্রতিবাদে পূর্বধলায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।…
জাফর আহমেদ, কুড়িগ্রাম সংবাদদাতা কুড়িগ্রামে রৌমারী উপজেলার রৌমারী সদর ইউনিয়নের কালোর ও জিঞ্জিরাম নদী দ্বারা…
কক্সবাজারে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়া সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী আপাতত আশঙ্কামুক্ত। তবে…
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় আজ মোট ৬ হাজার ৫০৬ কোটি ৫০ লাখ…
This website uses cookies.