কলমাকান্দা সংবাদদাতা
আজ ৭ ডিসেম্বর। নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলা পাক হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে বীর মুক্তিযোদ্ধারা জীবনবাজি রেখে যুদ্ধ করে পাক হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে কলমাকান্দাকে হানাদারমুক্ত করেছিলেন। এরমধ্যেই পূর্ণ হয়েছে হানাদার মুক্তের ৫৩ বছর।
দিবসটি উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা জাতীয়তাবাদী দলের পক্ষ থেকে পুস্পস্তবক অর্পণ করে শহিদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়া হয়েছে। তবে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের পক্ষে উপজেলা প্রশাসন থেকে দেওয়া হয়নি কোন শ্রদ্ধাঞ্জলি। এছাড়া কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে প্রেসক্লাব সভাপতি ও সেক্রেটারিকে অনুষ্ঠানের শুরুর মুহূর্তে অবিহিত করায় উপজেলা প্রশাসনের কর্মসূচি বয়কট করেছে কলমাকান্দায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার গণমাধ্যমকর্মী।
এ বিষয়ে কলমাকান্দা প্রেসক্লাবের সভাপতি শেখ শামীম বয়কটের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমাকে কর্মসূচিতে যাওয়ার জন্য মুঠোফোনে অনুষ্ঠান শুরুর ১০ মিনিট আগে জানান ইউএনও ফাইযুল ওয়াসীমা নাহাত। যা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দায়সারা ভাবে জানানোর সামিল বলে মনে করছি।
তিনি আরও জানান, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদে ভারপ্রাপ্ত কমান্ডারের দায়িত্বে আছেন ইউএনও।দুঃখের বিষয় হচ্ছে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড পক্ষ থেকে মুক্ত দিবসে শহিদ মিনারে কোন পুস্পস্তবক অর্পণের মতো শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়নি। বিগত বছরগুলোতে হানাদার মুক্ত দিবসে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়েছে।
কলমাকান্দা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের দুইবারের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার দায়িত্বপালনকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল জব্বারের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রতিবছর ইউএনও’র আয়োজনে মুক্ত দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, শ্রদ্ধাঞ্জলি, র্যালী ও আলোচনা সভা এসব কর্মসূচি পালন করা হতো। তবে এবছর তা হয়নি।
এ ব্যাপারে ইউএনও ফাইযুল ওয়াসীমা নাহাত জানান, “দিবসটিকে ঘিরে র্যালি ও আলোচনা সভা করা হয়েছে।” রাষ্ট্রের পক্ষে ও পদাধিকার বলে আপনি (ইউএনও) উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার শহিদ বেদিতে শ্রদ্ধাঞ্জলী দেওয়া হয়নি এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “আসলে এখানে কিভাবে করা হয় আমার জানা নেই। পুস্পস্তবক অর্পণ করা নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে কথা বলেছিলাম তারা আলোচনা সভা করতে বলেছে। আমি ফুল দেয়ার কথা বললে মুক্তিযোদ্ধারা বললেন প্রয়োজন নেই।” আ.লীগের লোকজনসহ আত্মীয় স্বজন আপনার কার্যালয়ে যাতায়াত করেন প্রতিবেদকের এমন প্রশ্নে ইউএনও বলেন, “আমি তো তাদেরকে চিনিই না।”
জেলা প্রশাসক বনানি বিশ্বাসকে ব্যাপারটি অবগত করা হলে তিনি বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবশ্যই ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি দিবে এটাই নিয়ম। আত্মীয়-স্বজন বাসায় আসতেই পারে। তবে অফিসে যাতায়াতের বিষয়টি অবগত করে ভালো করেছেন। গণমাধ্যমকর্মীদের অনুষ্ঠান বয়কটের বিষয়ে ডিসি বলেন, অনুষ্ঠান বয়কট করা যাবে না। ইউএনও’র সাথে কথা বলছি।
এর কিছুক্ষণ পর ইউএনও’র সাথে কথা বলে জেলা প্রশাসক মহোদয় প্রতিবেদককে জানান, এরআগে কলমাকান্দাতে এধরনের কোন প্রোগ্রাম হয় নাই। গতকাল মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে ইউএনও’র মিটিং করেছে। তারা ইউএনও’কে ফুল দিতে মানা করেছেন। সবাই আলোচনা করে ফুল দেওয়ার মতামত দিলে সেটা অবশ্যই ইউএনও পালন করতেন।
গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গীতে ১৫ রাউন্ড তাজা গুলিসহ একটি বিদেশী রিভলবার উদ্ধার করেছে টঙ্গী পূর্ব থানা…
নিজস্ব সংবাদদাতা ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের বীরমপুর ভাটিপাড়া এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সূয্যত…
এফ এম সিফাত হাসান, শেরপুর হাসপাতালে অসুস্থ মানুষ যায় ভালো চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ হওয়ার জন্য।…
নুর মোহাম্মদ (রোকন), ভ্রাম্যমাণ এই দৃশ্য কোনো কল্পনা নয়, একেবারেই বাস্তব। কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার থানাহাট…
সুমন ভট্টাচার্য, ময়মনসিংহ যানজট নিরসনে ফুটপাত দখলমুক্ত করতে দেড়শ দোকান উচ্ছেদ। ময়মনসিংহ নগরীর স্টেশন রোডে…
রাজবাড়ী সংবাদদাতা অচল খাল সচল করে জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে রাজবাড়ীতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ কৃষক…
This website uses cookies.