মামুন হোসেন ,পাবনা
পাবনা প্রতিনিধি পাবনায় জিলা স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষার্থী শিমুল মালিথা হত্যার বিচার দাবিতে বিক্ষোভ করেছে সহপাঠি ও স্কুলের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে জিলা স্কুলের প্রাঙ্গণ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের আব্দুল হামিদ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশে মিলিত হয়। এ সময় নিহতের বিচার দাবিতে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন স্কুল শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও স্বজনরা।
বক্তব্যে তারা বলেন, স্কুলের এসএসসি ২০২২ ব্যাচের মেধাবী শিক্ষার্থী শিমুল শান্ত ও বিনয়ী স্বভাবের কারণে স্কুল ও এলাকায় প্রশংসিত ছিলো। গত ৬ ডিসেম্বর রাতে চরঘোষপুর এলাকায় ওয়াজ মাহফিলে দুই পক্ষের দ্বন্দ্ব থামাতে গেলে তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে বখাটেরা। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ তিনজনকে আটক করলেও মুলহোতারা এখনো প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বিক্ষোভকারীরা হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও দ্রুত বিচার আইনে তাদের বিচারের দাবি জানান।
শিমুলের সহপাঠী জামিউল ইসলাম সোহান বলেন, শিমুলের সাথে কারো বিরোধ ছিলো না। বিনা কারণে তাকে নৃশংস ভাবে হত্যা করা হয়েছে। আহত অবস্থায় তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে, সেখানে তাকে কোন চিকিৎসা না দিয়েই রাজশাহীতে রেফার্ড করা হয়েছে। রক্তক্ষরণ বন্ধে প্রাথমিক ব্যবস্থা নিলেও তাকে বাঁচানো যেতো। ঘটনার পর হত্যাকারীরা প্রকাশ্যে ঘুরছে। তাদেরকে অবিলম্বে গ্রেফতার না করা হলে, আমরা বড় ধরণের কর্মসূচি গ্রহণে বাধ্য হবো।
শিমুলের বাবা শাহীন মালিথা বলেন, আমার ছেলে কোন ঝামেলায় কখনোই জড়ায় নি। কোনদিন তাকে নিয়ে কোন অভিযোগ বা নালিশ আসেনি। আমার সেই সোনার টুকরো ছেলেকে মেরে ফেলা হলো। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন অভিভাবক বলেন, বর্তমানে পাবনায় আইনশৃংখলা পরিস্থিতি অত্যন্ত নাজুক হয়ে পড়েছে। কিশোর গ্যাংয়ের বিরোধে একের পর এক হত্যাকান্ড ঘটছে। তারা সব সময় ছুরি চাকু নিয়ে ঘুরছে, মারামারি করছে। জেলা স্কুলেও কয়েকবার শিক্ষার্থীদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এদের বিরুদ্ধে আইনশৃংখলা বাহিনীরও তেমন তৎপরতা চোখে পড়ছে না।
এদিকে, শিমুল হত্যার ঘটনায় তার বাবা শাহীন মালিথা বাদী হয়ে বকুল সরদার, আকাশ সরদার, মোমিন সরদারসহ ৩০ জন নামীয় ও অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে রবিবার রাতে সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুস সালাম জানান, নিহত শিমুলের বাবা শাহীন মালিথার লিখিত এজাহার মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। খলিল, মিঠু ও শান্ত নামের তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর আসামীদের গ্রেফতারেও অভিযান চলছে।
ওসি আরো বলেন, শীত মৌসুম শুরু হতেই পাবনা জেলার পাড়ায় পাড়ায় ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন হচ্ছে। রাতভর চলা এসব মাহফিলের আশেপাশে মেলার আদলে নানা জিনিসের দোকান বসানো রীতিতে পরিণত হয়েছে। মাহফিল বা যেকোন অনুষ্ঠান আয়োজনে আইনশৃংখলা বাহিনীকে অবহিত করার বিধান থাকলেও তা কেউই মানছেন না। নিজেরাও নিরপত্তায় কোন ব্যবস্থা রাখছেন না। ফলে গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্বসহ অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে। এ বিষয়ে আয়োজকদের সচেতন হবার আহবানও জানিয়েছে জেলা পুলিশ।
আরো পড়ুন-
দৈনিক প্রলয়/এমএআর
জমিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক টেস্ট অধিনায়ক এবং প্রথম পূর্ণকালীন কোচ বব সিম্পসন। ৮৯ বছর বয়সে সিডনিতে…
ইসরায়েল গাজার উত্তরাঞ্চল থেকে অধিবাসীদের দক্ষিণে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। শনিবার (১৬ আগস্ট) ইসরায়েলি…
অধিদপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) মো. আবু তালেব আর নেই। রোববার (১৭ আগস্ট) ভোরে হঠাৎ অসুস্থ…
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় যুবদলকর্মী আবদুল কাইয়ুম আহাদ হত্যা মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি এ…
মনোযোগ ফেরাতে বিদেশি কূটনীতিক ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগীদের ব্রিফ করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। রোববার (১৭ আগস্ট)…
বিদেশে বাংলাদেশের সব কূটনৈতিক মিশন, কনস্যুলেট, কূটনীতিকদের অফিস ও বাসভবন থেকে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ছবি…
This website uses cookies.