শাহজাহান আলী মনন, সৈয়দপুর
বিয়ের মাত্র ১৬ দিনের মাথায় লাশ হলো বিউটি পার্লার কর্মী মুক্তা (২২)। পুলিশ স্বামীর বাড়ির নিজ ঘর থেকে তার লাশ উদ্ধার ও ঘাতক স্বামী রানা (২৫) কে আটক করেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে রোববার (৫ জানুয়ারি) সকালে নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের কাজীপাড়া মরহুম পৌর কমিশনার আব্দুল লতিফ রোড এলাকায়। নিহত গৃহবধূ মুক্তা সৈয়দপুর শহরের কুন্দল পশ্চিম পাড়ার জাহেদা বেগমের মেয়ে। আর রানা শহরের কাজীপাড়ার বাবলুর ছেলে।
জানা যায়, সৈয়দপুর প্লাজা সুপার মার্কেটের গ্রীণ বিউটি পার্লারের মেকাপকর্মী মুক্তা পরিবারের সিদ্ধান্তে বিয়ে করেছিল রানা (২৫) কে। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই স্বামী রানা শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে মুক্তার ওপর।
জানতে পারে রানা ও তার ভাই রনি (২৭) মাদক বিক্রেতা ও মাদকসেবী। এর প্রতিবাদ করায় মূলতঃ বিরোধ সৃষ্টি হয় স্বামী স্ত্রীর মধ্যে। অতিরিক্ত নির্যাতনের কারণে মুক্তা ৫ দিন পরই মায়ের বাড়িতে চলে যায় এবং এতদিন সেখানেই ছিল।
পরিবারের লোকজন জানায়, গত শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) উভয় পরিবারের সমঝোতায় ফিরে আসে স্বামীর বাড়িতে। ম্ক্তুা যেতে রাজি না থাকলেও মা ও নানা জামাল উদ্দিনের অনুরোধে রাজি হয় যেতে।
ওইদিন ভালো ভাবে কাটলেও শনিবার দিবাগত রাতে আবারও নির্যাতন শুরু করে রানা। এতে মুক্তার শ্বাশুড়ি রুমি বেগম (ঝিলপি) বউমাকে নিজের ঘরে এনে রাখে। কিন্তু রাত আনুমানিক ৩ টার দিকে রানা অনেকটা জোর করেই মুক্তাকে নিজ ঘরে নিয়ে আসে।
ঝিলপি জানান, ভোর রাতের দিকে ছেলে রানা আমার ঘরের দরজায় নক করে বলে আমি তোর বউকে বালিশ চাপা দিয়ে মেরে ফেলেছি। এখন তোদের সবাইকে পুলিশ ধরে নিয়ে যাবে। এতে আমরা তাৎক্ষণিক ছেলের ঘরে গিয়ে দেখি মুক্তার নিথর দেহ বিছানায় পড়ে আছে।
এমতাবস্থায় ছেলেকে কৌশলে তার ঘরে ঠেলে দিয়ে বাহির থেকে ঘরের দরজায় তালা লাগিয়ে দেই। পরে পুলিশ কে খবর দিলে সকাল ৬ টায় পুলিশ এসে সুরতহাল তদন্ত করে লাশ উদ্ধার করে এবং রানাকে আটক করে নিয়ে যায়।
মৃত মুক্তার মা জাহেদা বেগম বলেন, ওরা আমার মেয়েকে নিয়ে গিয়ে মেরে ফেলেছে। স্বামী হারিয়ে অনেক কষ্টে মেয়েকে মানুষ করেছি। অত্যন্ত আশা নিয়ে তাকে বিয়ে দিলাম। অথচ মাত ১৬ দিনেই তার লাশ মিললো স্বামীর বাড়ি থেকে। আমি এই হত্যার বিচার চাই।
সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ফইম উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে এবং স্বামী রানা কে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। মৃত গৃহবধূ মুক্তার বড় ভাই সাইদুল ইসলাম বাদী হয়ে ৪ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। আসামীরা হলেন, স্বামী রানা, ভাসুর রনী, শ্বাশুড়ি রুমি বেগম (ঝিলপি) ও রানার চাচা।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। সঠিক কারণ জানতে লাশ ময়না তদন্তের জন্য নীলফামারী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে এবং স্বামী রানা কে গ্রেফতার করা হয়েছে।
কর্মকর্তাকে চাকরিতে পুনর্বহাল করার নির্দেশ দিয়ে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেছে। এই রায় আপিল বিভাগের ১৭…
রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে ঝিনাইদহ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুল…
আন্দোলনের অন্যতম সৈনিক, কবি ও রবীন্দ্রবিশেষজ্ঞ আহমদ রফিক গুরুতর অসুস্থ হয়ে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি…
মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদসহ ১৮ পুলিশ কর্মকর্তাকে বিনা…
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে ইনক্লুসিভ তথা অন্তর্ভুক্তিমূলক প্যানেল ঘোষণা করেছে…
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি মাছ রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য…
This website uses cookies.