ছবি সংগৃহীত
প্রলয় ডেস্ক
রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্য নিয়ে দায়িত্বে বসতে না বসতেই শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের বড় এক মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে তৈরি পোশাকসহ শিল্পখাতের শ্রমিক অসন্তোষ।
বেতন-ভাতাসহ বিভিন্ন দাবিতে কাজ বন্ধ করে প্রায় প্রতিদিনই রাস্তায় নেমে পড়ছেন বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। সাভারের আশুলিয়া ও গাজীপুরের শিল্পাঞ্চলে প্রতিদিনই বন্ধ থাকছে শতাধিক কারখানা। কিছু কিছু কারখানা থেকে আসছে ভাঙচুরের খবরও।
সবশেষ আজ বৃহস্পতিবারও (১২ সেপ্টেম্বর) আশুলিয়ায় ২১৯টি কারখানা বন্ধ থাকার খবর পাওয়া গেছে। এ অবস্থায় দেশের অর্থনীতিকে বাঁচাতে শ্রমিক, মালিক ও সরকারের সম্মিলিত উদ্যোগে বন্ধ পোশাক কারখানাগুলো দ্রুত চালু করার আহ্বান জানিয়েছেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মতিঝিলে চেম্বার ভবনে সংগঠনটির প্রশাসক হিসেবে যোগ দিয়ে এ আহ্বান জানান তিনি।
হাফিজুর রহমান বলেন, শ্রমিক অসন্তোষের কারণে অনেক পোশাক কারখানা বন্ধ রয়েছে। দেশের অর্থনীতিকে টিকিয়ে রাখতে হলে বন্ধ এসব পোশাক কারখানা দ্রুত চালু করতে হবে। আর এজন্য প্রয়োজন শ্রমিক, মালিক ও সরকারের সম্মিলিত উদ্যোগ।
এ সময় ব্যবসায়ীরা নবনিযুক্ত প্রশাসকের কাছে অভিযোগ করেন, এফবিসিসিআই পর্ষদে সব সময় সরকারের এজেন্ট নিযুক্ত হতেন। তারা সুযোগ-সুবিধা নিতেন। সাধারণ পরিষদে প্রায় দুই হাজার এবং চেম্বার গ্রুপে ৪০০ সদস্য আছেন। জেনারেল বোর্ডের সদস্যরা তাদের সুবিধা-অসুবিধা দেখতেন না। বড় ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন সুবিধা পেতেন, আর ছোট ব্যবসায়ীরা বঞ্চিত থাকতেন।
সাধারণ পরিষদের সরাসরি ভোটে প্রেসিডেন্ট ও পরিচালক নির্বাচনের দাবি জানিয়ে অটো ডিরেক্টরপ্রথা বাতিলসহ বৈষম্যমূলক সব বিষয়ে সংস্কার দাবি করেন ব্যবসায়ীরা। জবাবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য ভোটাভুটির মধ্যদিয়ে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে এফবিসিসিআইয়ের দায়িত্ব তুলে দিতে তার দায়বদ্ধতার কথা জানান প্রশাসক। তিনি বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা দেশের অর্থনীতির প্রাণ। আমার চেষ্টা থাকবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করার। এজন্য সবার সহযোগিতা চাই, দ্রুত যেন নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে দায়িত্বভার তুলে দিতে পারি।’
এদিকে শ্রমিক অসন্তোষ ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতির জন্য আশুলিয়ার শিল্পাঞ্চলে বন্ধ থাকা ২১৯টি কারখানার মধ্যে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ আছে ৮৬টি কারখানা। অথচ গতকাল বুধবারই (১১ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও বিজিএমইএ নেতাদের আহ্বানের পর সিদ্ধান্ত হয়েছিল, খুলে দেওয়া হবে সব কারখানা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রায় ৪০ লাখ শ্রমিক সরাসরি নিয়োজিত আছেন দেশের তৈরি পোশাক শিল্পে। পরোক্ষভাবে উপকারভোগী আছেন কমপক্ষে দুই কোটি মানুষ। এ শিল্প বিপদে পড়লে বিপদে পড়বে বিশাল জনগোষ্ঠী, চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশের অর্থনীতি।
রাজবাড়ী সংবাদদাতা অচল খাল সচল করে জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে রাজবাড়ীতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ কৃষক…
সুমন ভট্টাচার্য, ময়মনসিংহ ময়মনসিংহ জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (১৭ আগস্ট)…
পূর্বধলা সংবাদদাতা নেত্রকোনা সদরে দায়িত্বরত বিকাশ কর্মী রিজন তালুকদারের হত্যার প্রতিবাদে পূর্বধলায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।…
জাফর আহমেদ, কুড়িগ্রাম সংবাদদাতা কুড়িগ্রামে রৌমারী উপজেলার রৌমারী সদর ইউনিয়নের কালোর ও জিঞ্জিরাম নদী দ্বারা…
কক্সবাজারে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়া সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী আপাতত আশঙ্কামুক্ত। তবে…
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় আজ মোট ৬ হাজার ৫০৬ কোটি ৫০ লাখ…
This website uses cookies.