মনিকগঞ্জ সংবাদদাতা
নিজেই দেখছেন রোগী, করছেন ভাঙ্গা স্থানে প্লাস্টার ও বকশিস বানিজ্য।ডাক্তারের সহকারী সুমন যেন এখন নিজেই বড় ডাক্তার।মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের অর্থপেডিক্স বিভাগের ডাক্তার শহীদুল আজমের সহকারী সুমনের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আগত রোগীদের।
অনুসন্ধানে জানা যায়,মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আউটডোরে ২১৫ নাম্বার কক্ষের পাশে অর্থোপেডিক্স বিভাগের রোগী অর্থাৎ
যাদের প্লাস্টার করা প্রয়োজন তাদের সাথে সরাসরি কথা বলছেন ডাঃ শহীদুল আজমের সহকারী সুমন এবং নিজেই পরামর্শ দিচ্ছেন এক্সরে করার।পরবর্তীতে হাসপাতালে প্লাস্টার করার জন্য প্লাস্টার অফ প্যাডিস ও রোল ব্যান্ডেজ নেই বলে কাউকে বাহিরে থেকে কিনে আনতে বলেন আবার কারও থেকে এগুলা কেনার জন্য সরাসরি ১২০০-২০০০ টাকা নিচ্ছেন। অন্যদিকে যারা বাহিরে থেকে কিনে আনছে তাদের থেকে নিচ্ছেন প্লাস্টার ভেদে ৫০০-১০০০-২০০০ টাকা বকশিস।
ভুক্তভোগী রোগীর স্বজন সুমন বলেন,আমার ভাইয়ের হাত প্লাস্টার করার জন্য গেলে সুমন ভাই আমাদের এক্সরে করতে বলেন এর পর তিনি কিছু ওষুধ লিখে দেন।আমাকে বলেন ব্যান্ডেজসহ কিছু জিনিসের সাপ্লাই হাসপাতালে নেই,বাহিরে থেকে কিনে আনতে হবে।আপনি আমাকে ১৫০০ টাকা দেন আমার কাছে সব কিছু আছে আমি প্লাস্টার করে দিচ্ছি।এরপর সুমন ভাই কে অনুরোধ করে ১২০০ টাকা দিয়েছি।
আরেক ভুক্তভোগী রোগীর পিতা নুরুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালে নাকি ব্যান্ডেজ কাপড় এর সাপ্লাই নাই তাই আমার ছেলের হাতে প্লাস্টারের জন্য আমি সব কিছু বাহিরে কিনে দিয়েছি এবং কিছু ওষুধ লিখে দিয়েছে সেগুলোও কিনে দিয়েছি। এরপরও সুমন আমার কাছ থেকে ২১০০ টাকা চেয়েছিলেন আমি ৬০০ টাকা দিয়েছি।তাদের ব্যাবহার খুব খারাপ। পাশের এক ডাক্তার ম্যাডাম আমার পরিচিত ওনাকে টাকার বিষয়টি বললে সুমন আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন আপনার কাজ আমি করব না। বাহিরে গিয়ে দেখেন এই কাজ করাতে ১০-১২ হাজার টাকা লাগে।পরে আমি অনেক অনুরোধ করে ৬০০ টাকা দিয়ে ব্যান্ডেজ করিয়েছি।
এবিষয়ে অর্থপেডিক্স বিভাগের ডাক্তার শহীদুল আজমের সহকারী সুমন বলেন, হাসপাতালে ব্যান্ডেজ এর সাপ্লাই নেই।তাই আমি সবাই কে বাহিরে থেকে কিনে আনতে বলি।আমার কাছে অনেক সময় বেচে যাওয়া ব্যান্ডেজ থাকে ওইগুলা দিয়ে রোগী কে ব্যান্ডেজ করে দেই।এগুলো বাহিরে থেকে কিনে আনতে গেলে ১২-১৪ শত টাকা খরচ হয়।আমি কিছু ওষুধ লিখে দিয়েছিলাম ব্যান্ডেজ সহ যার দাম ১২-১৪০০ টাকা এজন্যই টাকা নিয়েছি।
অর্থপেডিক্স বিভাগের ডাক্তার শহীদুল আজম বলেন,বিষয়টি আমি দেখবো যদি কোন ব্যত্যয় ঘটে তাহলে যথাযথ ব্যাবস্থা গ্রহণের জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট সুপারিশ করব।
এবিষয়ে হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. বাহাউদ্দিন দৈনিক প্রলয়’র প্রতিবেদক কে বলেন, বিষয়টি আপনার কাছ থেকে জানলাম খোজ নিয়ে দেখবো, যদি কোন অনিয়ম হয়ে থাকে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের গুণগত পরিবর্তনের কারিগর বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা…
গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গীতে ১৫ রাউন্ড তাজা গুলিসহ একটি বিদেশী রিভলবার উদ্ধার করেছে টঙ্গী পূর্ব থানা…
নিজস্ব সংবাদদাতা ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের বীরমপুর ভাটিপাড়া এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সূয্যত…
এফ এম সিফাত হাসান, শেরপুর হাসপাতালে অসুস্থ মানুষ যায় ভালো চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ হওয়ার জন্য।…
নুর মোহাম্মদ (রোকন), ভ্রাম্যমাণ এই দৃশ্য কোনো কল্পনা নয়, একেবারেই বাস্তব। কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার থানাহাট…
সুমন ভট্টাচার্য, ময়মনসিংহ যানজট নিরসনে ফুটপাত দখলমুক্ত করতে দেড়শ দোকান উচ্ছেদ। ময়মনসিংহ নগরীর স্টেশন রোডে…
This website uses cookies.