গাজীপুরে ডেভিল হান্ট অভিযানে আ.লীগ কর্মী ও  পুলিশের  সোর্স  আসাদ গ্রেফতার

মোঃ আনোয়ার হোসেন

ডেভিল হান্ট অভিযানে গাজীপুর মহানগর ২৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের অনুসারী ও সদর থানার পুলিশের সোর্স আসাদকে গ্রেফতার করেছে সদর থানার পুলিশ। সে আওয়ামী পন্থী পুলিশের সাবেক ওসি সৈয়দ রাফিউল করিমের নেতৃত্বে এসআই বাইজিদ, আবু সাইদ, রুহুল মিলে একটি গ্রুপ তৈরী করে চাঁদাবাজি করার অভিযোগ পুরানো।

জানা যায়, ১৭ বছর আগ থেকেই সৈরাচার সরকারের আমলে সদর থানার বিভিন্ন ওয়ার্ডে বিএনপির নেতা কর্মীদের নিকট মোটা অংকের টাকা দাবি করে না পেলে গ্রেফতার করে বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় আসামী করত। সদর থানার মাদক ব্যবসা হতে মাসিক টাকা উঠিয়ে নিজেরা ভাগ বাটোয়ারা করে নিত। শুধু তাই নয় অটেরিস্কা চুরির ব্যাবসা করেছে বিগত ১৭বছর। তার শ্বশুর বাড়ি ছোট দেওড়া হওয়া ধীরাশ্রম, ভারারুল, কাজীবাড়ী, সামান্তপুর এলাকার সকল আওয়ামী সন্ত্রাসী বাহিনীর সাথে সুসম্পর্ক ছিল। এর মধ্যে পলাশ, ব্লাক শাহীন, রিপন লস্করের সাথে গভীর সম্পর্ক ছিল।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপি’র এক নেতা জানান, গাজীপুর সদর থানা বিএনপি সহ-সভাপতি, মহানগর বিএনপির সাবেক সহ প্রকাশনা সম্পাদক সাবেক জি এস মোঃ মোস্তফা নীনাকে ২০১৫ সালে পুলিশের বিশেষ অভিযানে এস আই জিয়াকে দিয়ে গ্রেফতার করিয়া তার পরিবারের নিকট হতে ০১ লাখ টাকা নিয়েছিল রিমান্ডে নির্যাতন করবে না এই শর্তে। ২০২৩ সালের নভেম্বর/ডিসেম্বর মাসে কয়েকবার বিএনপির নেতা মোস্তফার বাড়িতে পুলিশি অভিযান চালিয়েছিল। ২০২৩ সালের ১লা ডিসেম্বর নীনা মোস্তফার বাড়ি সহ আশে পাশের সকল বাড়িতে আওয়ামী দোসর গুপ্তচর আসাদ, এস আই রুহুলের নেতৃত্ব তল্লাশির নামে ব্যাপক তান্ডব চালিয়েছিল, পরিবারের সকল সদস্যের সাথে প্রচন্ড খারাপ আচরণ করেছিল এবং ধরতে পারলে মেরে ফেলবে বলে হুমকি প্রদান করে। পরে তার শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে শ্যালক গাজীপুর মহানগর যুবদলের সাবেক সহ সাধারণ সম্পাদক ও ২৬নং বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী রাশেদ সারোয়ারকে গ্রেফতার করে। ছেড়ে দেওয়ার কথা বলে ২ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে সালনা এলাকায় গাড়ি পুড়ানো মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করেছিল।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সাবেক সদর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার ফাহিম আসজাদ, সাবেক ওসি সৈয়দ রাফিউল করিম রাফির নেতৃত্বে বিএনপি-জামাতের নেতা- কর্মী ও সাধারণ ছাত্রদের গ্রেফতার করানো জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিল এবং আওয়ামী সন্ত্রাসী বাহিনীর সাথে বিভিন্ন মহড়ায় সরাসরি অংশ গ্রহণ করে এবং অসংখ্য ছাত্রদের উপর অমানবিক নির্যাতন চালায় ও গ্রেফতার করিয়েছিল। তাই ৫ই আগষ্টে শত শত ছাত্র জনতা শিববাড়ি এলাকায় আসাদকে গণধোলাই দিয়েছিল।

আরো পড়ুন-

• গজারিয়ায় দুই ভাইয়ের ত্রাসের রাজত্ব : অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন পুলিশ সদস্য সোলাইমান
• তিস্তা মেগা প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে কুড়িগ্রামে সংবাদ সম্মেলন
• আওয়ামী লীগের জায়গা বাংলাদেশের মাটিতে হবে না : আমান উল্লাহ আমান

পুলিশ জানায়, সাবেক মন্ত্রী মোজাম্মেলের বাড়িতে শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনায় সরাসরি জড়িত থাকার অপরাধে জিএমপি’র অপরাধ উত্তর বিভাগের ডিসি রিয়াজ উদ্দিনের দিকনির্দেশনায় সদর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার দ্বীন-ই-আলমের নেতৃত্বে এসআই ইয়াসিন আরাফাত, এসআই কামরুলসহ সঙ্গীয় ফোর্স গুপ্তচর আসাদকে গ্রেফতার করে। আসাদের অপকর্মের বিষয়ে অধিকতর তদন্ত হচ্ছে।

এবিষয়ে সদর থানার এসআই মোঃ উজ্জ্বল মিয়া জানান, ডেভিল হান্ট অভিযানে গ্রেফতার সদর থানার পুলিশের এক গুপ্তচর আসাদকে গ্রেফতার করে বিধি মোতাবেক আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।