হুমায়ূন কবির, হালুয়াঘাট
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক নূরে আলম জনির বিরুদ্ধে, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, চোরাকারবারী ও ভাড়াটিয়া গুণ্ডা হিসাবে বাড়ি ঘর ভাঙচুর সহ বিভিন্ন অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ছাত্র-জনতার আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী সরকারের পতনের পর থেকেই ছাত্রনেতা জনিসহ তার গুন্ডাবাহিনী নিয়ে লুটপাট, চাঁদাবাজি, বালু মহাল দখল, সীমান্তের চোরাকারবারীসহ বিভিন্ন অপরাধের সাথে সরাসরি জড়িয়ে পড়ে। তার দাপটে সংগঠনের অন্যান্য নেতাকর্মীরাও মুখ খুলতে সাহস পায় নি। তার বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি লিখিত অভিযোগ থানায় দায়ের করা হয়েছে। তবে হালুয়াঘাট পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক থাকায় তার বিরুদ্ধে আইনি কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে বলে মন্তব্য করেন বিএনপি’র একাংশের অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
সম্প্রতি একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল নেতা জনির বিভিন্ন অপকর্ম নিয়ে নতুন করে ফের আলোচনা সমালোচনার সৃষ্টি হয় এবং বেরিয়ে আসে তার আসল চরিত্র । গত ১৭ এপ্রিল সন্ধ্যায়, হালুয়াঘাট উত্তর বাজারের মোহাম্মদ আলীর পুত্র নাহিদ হাসান উজ্জল হালুয়াঘাট মধ্য বাজারে গোবিন্দ জুয়েলার্সের দোকানে অবস্থানকালীন সময়ে তাকে পথরোধ করে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। এবং তার কাছ থেকে ২ লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নেয় জনি ও তার সহযোগীরা। এ ঘটনায় নাহিদ হাসান উজ্জ্বল বাদী হয়ে হালুয়াঘাট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এই ঘটনায় বিএনপির একাংশের অন্যান্য নেতা কর্মীরা জনির উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ধাওয়া করলে সে জীবন বাঁচাতে হালুয়াঘাট থানায় আশ্রয় নেন। এ বিষয়ে নাহিদ হাসান উজ্জ্বল জানান, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমার উপর অতর্কিত হামলা চালায় এবং আমাকে রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। আমি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।
এদিকে হালুয়াঘাট ব্যবসায়ী উন্নয়ন সমিতির সভাপতি নাদিম আহমেদ জানান, ছাত্রদল নেতা জনি তার সহযোগীদের নিয়ে গড়ে তুলেছে সন্ত্রাসী বাহিনী। গত ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসের ১৯ তারিখ বিকেলে নাদিম আহমেদের বাড়িঘর ও ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুরসহ টাকা পয়সা সোনা-গহনা এবং ঘরের মালামাল ফ্রি স্টাইলে লুটপাট করে তারা। সেই সাথে বিল্লাল হোসেন নামে এক বিএনপি নেতার মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।
এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করেও কোন বিচার পাইনি বলে জানান ভুক্তভোগী নাদিম আহমেদ সহ তার পরিবারের লোকজন। পূর্বে কয়েকটি চাঁদাবাজির মধ্যে সুস্পষ্ট উল্লেখযোগ্য নগদ অর্থসহ ব্যাংক চেক এর মাধ্যমে চাঁদাবাজির ঘটনা প্রকাশ পেয়েছে। যা বিএনপির অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দদের সুনাম ক্ষুন্ন হয়েছে।
বেশ কিছুদিন আগে উপজেলার গোবরাকুড়া এলাকার শাহ আলম নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট এর মাধ্যমে পঞ্চাশ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়, যার আইডি নং-৩০৬৪০০৭। এরপরেও এক লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকার চেক লিখে নেন পৌর ছাত্রদল নেতা নূরে আলম জনি। উল্লেখ্য শাহ আলমের ভাগিনা রিফাত ছাত্রলীগ করতো। তখন পুলিশের ভয় দেখিয়ে আটকে রাখে তাকে। তার কাছে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করলেও শেষে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে তাকে নগদ পঞ্চাশ হাজার টাকা দেওয়া হয়। পরে জোরপূর্বক আরো ১ লাখ ৪০ হাজার টাকার চেক লিখে নেন বলে জানান ভুক্তভোগী শাহ আলম। শাহ আলম আরো বলেন, নুর আলম জনির উশৃংখল আচরণে আমরা খুবই মর্মাহত। তার আচরণে মনে হচ্ছিল আমার বাড়িঘর লিখে দিয়ে হালুয়াঘাট থেকে চলে যাই। এই ঘটনা বিএনপির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের লোকজন অবগত আছেন। তারা বলছিলেন আপোষ মীমাংসার মাধ্যমে আমার টাকা আর চেক ফেরত দিবেন। তবে আজ পর্যন্তও এটা নিয়ে মাথা ঘামায়নি কেউ । আমরা অসহায় নিরীহ মানুষ, বিষয়টি বিএনপি’র উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে সুদৃষ্টি কামনা করছি।
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপি’র আহবায়ক এনায়েত উল্লাহ কালাম বলেন, জনির উচ্ছৃংল আচরণে উদ্বুদ্ধ পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য মৌখিকভাবে সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত করতে বলা হয়েছে। এ সকল বিষয়ে বিএনপি’র যুগ্ন মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালে প্রিন্স সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নিবেন বলেও তিনি জানান।
গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গীতে ১৫ রাউন্ড তাজা গুলিসহ একটি বিদেশী রিভলবার উদ্ধার করেছে টঙ্গী পূর্ব থানা…
নিজস্ব সংবাদদাতা ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের বীরমপুর ভাটিপাড়া এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সূয্যত…
এফ এম সিফাত হাসান, শেরপুর হাসপাতালে অসুস্থ মানুষ যায় ভালো চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ হওয়ার জন্য।…
নুর মোহাম্মদ (রোকন), ভ্রাম্যমাণ এই দৃশ্য কোনো কল্পনা নয়, একেবারেই বাস্তব। কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার থানাহাট…
সুমন ভট্টাচার্য, ময়মনসিংহ যানজট নিরসনে ফুটপাত দখলমুক্ত করতে দেড়শ দোকান উচ্ছেদ। ময়মনসিংহ নগরীর স্টেশন রোডে…
রাজবাড়ী সংবাদদাতা অচল খাল সচল করে জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে রাজবাড়ীতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ কৃষক…
This website uses cookies.