ছবি অনলাইন সংগৃহীত
প্রলয় ডেস্ক
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় রাজাকার স্লোগান নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা-সমালোচনা হয়। এবার সে স্লোগানের পূর্ণাঙ্গ ব্যাখ্যা দিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক এবং অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্ট দেন তিনি।
স্লোগাননামা নামে ওই পোস্টে নাহিদ লিখেন, ‘তুমি কে? আমি কে? রাজাকার রাজাকার’ এটি জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সবচেয়ে শক্তিশালী ও সাহসী স্লোগান ছিল। আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে যে বিভাজনের রাজনীতি ছিল তা এই স্লোগানের মাধ্যমে সম্পূর্ণ অকেজো হয়ে গিয়েছিল সেই রাতে। আওয়ামী লীগের ন্যারেটিভ সেই রাতেই ভেঙে গিয়েছিল। অস্ত্র ও বুলেটের মাধ্যমে আরও কয়েকটা দিন টিকে থাকার প্রাণপণ চেষ্টা ছিল কেবল।
‘ইতিহাস তো একরোখা কোনো বিষয় না। ‘তুই রাজাকার, তুই রাজাকার’; ‘আমি নই, তুমি নই; রাজাকার, রাজাকার’ স্লোগানও সেই রাতে বহুবার দেয়া হয়েছে। আন্দোলনে বহুস্রোত ও কণ্ঠস্বর এসে মিলেছে৷ সবাই সব সময় এক বক্তব্য ধারণ করেছে এ রকম নয়। বাস্তবতা ও প্রেক্ষাপট অনুযায়ীও বক্তব্য-কর্মকৌশল বদল হয়েছে বহুবার। ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’ স্লোগানও হয়েছে।
‘স্মার্ট বাংলাদেশে’র পক্ষেও বহু গুণগান গাওয়া হয়েছে এক সময়। ১৮ সালেও হাসিনা ও মুজিবের ছবি বুকে নিয়ে আন্দোলন হয়েছে। পরে বুকে রাজাকার লিখে সেই আন্দোলন গতি পেয়েছে। একটা আন্দোলনে অনেক ডাইমেনশন থাকে এবং বহু পরস্পরবিরোধী ঘটনাও একসঙ্গে ঘটতে পারে। এই সামগ্রিকতাকে ধারণ করেই প্রকৃত ইতিহাস রচিত হয়’, উল্লেখ করেন তিনি।
নাহিদ লিখেন, রাজাকার ইস্যুটিকে পরিকল্পিতভাবে প্রাসঙ্গিক করা হয়েছিল এবং শিক্ষার্থীদের রাজাকার ট্যাগ দিয়ে আন্দোলনকে নিষ্ঠুরভাবে দমন করার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছিল এবং তার ফলশ্রুতিতেই পরদিন মিছিলে হামলা করা হয়। আর এ আন্দোলনে যেহেতু নারী শিক্ষার্থীরা ছিল মূল শক্তি তাই মেয়েদের ওপর নির্মমভাবে আক্রমণ করা হয়। তারপরের ঘটনা সবাই জানেন। ফ্যাসিস্টদের শেষ রক্ষা হয়নি।
তিনি বলেন, ১৫ তারিখ সকালে আমাকে বহু মিডিয়া ফেস করতে হয়েছে রাজাকার স্লোগানের ব্যাখ্যা নিয়ে। আমার ব্যাখ্যাটি ছিল অনেকটা এরকম ‘রাজাকার শব্দের কোনো প্রাসঙ্গিকতা এই আন্দোলনে ছিল না।
প্রধানমন্ত্রী নিজেই রাজাকার ইস্যুর অবতারণা করেছেন এবং শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারদের রাজাকার আখ্যা দিয়ে অপমান করেছেন। প্রতি উত্তরে শিক্ষার্থীরা নিজেদেরকে ‘রাজাকার’ বলে প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যকে বিদ্রুপ করেছে, ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। শিক্ষার্থীদের কোনো প্রকার ট্যাগ দিয়ে এই আন্দোলনকে দমন করা যাবে না। মূলত আন্দোলনকে দমন করার জন্যই রাজাকার ইস্যুকে সামনে আনা হয়েছে। শেখ হাসিনাকে এ বক্তব্য অবশ্যই প্রত্যাহার করতে হবে।’
গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গীতে ১৫ রাউন্ড তাজা গুলিসহ একটি বিদেশী রিভলবার উদ্ধার করেছে টঙ্গী পূর্ব থানা…
নিজস্ব সংবাদদাতা ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের বীরমপুর ভাটিপাড়া এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সূয্যত…
এফ এম সিফাত হাসান, শেরপুর হাসপাতালে অসুস্থ মানুষ যায় ভালো চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ হওয়ার জন্য।…
নুর মোহাম্মদ (রোকন), ভ্রাম্যমাণ এই দৃশ্য কোনো কল্পনা নয়, একেবারেই বাস্তব। কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার থানাহাট…
সুমন ভট্টাচার্য, ময়মনসিংহ যানজট নিরসনে ফুটপাত দখলমুক্ত করতে দেড়শ দোকান উচ্ছেদ। ময়মনসিংহ নগরীর স্টেশন রোডে…
রাজবাড়ী সংবাদদাতা অচল খাল সচল করে জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে রাজবাড়ীতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ কৃষক…
This website uses cookies.