পাকিস্তান আইএসপিআর-এর ডিজি ও সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী বলেছেন, ‘যারা মসজিদে বোমা ফেলে, নিরীহ মানুষ হত্যা করে— তাদের ইসলাম বা খাইবার পাখতুনখোয়ার গৌরবময় ঐতিহ্যের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই। এরা ভারতের অনুসারী, সন্ত্রাসী’।
একই সঙ্গে চরমপন্থি মতাদর্শের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘যখন খারিজি (সন্ত্রাসী) নেতারা বলেন— শরীয়াহ নাকি অমুসলিমদের সাহায্য নিতে অনুমতি দেয়— আসলে তারা এটা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। ইসলাম কখনো সত্য ও মিথ্যার সহাবস্থানে বিশ্বাস করে না। ইসলাম ও এই খারিজিরা একসঙ্গে চলতে পারে না’।
আহমেদ শরীফ আরও বলেন, ‘তোমরা ভারতের কাছে সাহায্য চাও —এটা সেই দেশ, যারা কাশ্মীরি নারীদের মর্যাদা লঙ্ঘন করে। তোমাদের লজ্জা হওয়া উচিত’।
রোববার এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। খবর সামা টিভি।
ভারত হামলা চালিয়ে আজাদ কাশ্মীরের বহু সংখ্যক মসজিদ-মাদ্রাসা ও ধর্মীয় স্থাপনা ধ্বংস করে দেয়। তবে পাকিস্তান কোনো বেসামরিক স্থাপনায় হামলা চালায়নি।
এ বিষয়ে আহমেদ শরীফ জোর দিয়ে বলেন, পাকিস্তান কখনোই বেসামরিক অবকাঠামো লক্ষ্য করে আঘাত করেনি। তার ভাষায়, ‘আমাদের বাহিনী কি কোনো মন্দির, জনবসতি বা বেসামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা করেছে? না। আমরা শান্তিপ্রিয়, শান্তিকেই অগ্রাধিকার দেই’।
এরপরই তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘যদি ভারত আবার সেই একই ভুল করে, তাহলে আমাদের জবাব আরও কঠোর হবে’।
আঞ্চলিক সন্ত্রাসবাদ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে পাক আইএসপিআর ডিজি দাবি করেন, ‘পাকিস্তানে প্রতিটি সন্ত্রাসী হামলার পেছনে ভারতের চেহারা স্পষ্ট’।
পাকিস্তান জাতির ঐক্য, শক্তি ও শান্তির প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে ভারতকে ‘কঠোর হুঁশিয়ারি’ দিয়ে দেশটির লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী বলেন, ভারত যদি ভবিষ্যতে কোনো ধরনের ‘দুঃসাহসিকতা’ থেকে বিরত না থাকে তাহলে কঠোর জবাব দেওয়া হবে।
পাকিস্তান আইএসপিআর-এর ডিজি বলেন, ‘ভারত ভেবেছিল, তারা আঘাত করবে আর পাকিস্তান চুপ থাকবে। কিন্তু আল্লাহর ইচ্ছায় পুরো জাতি ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়িয়েছে। পাকিস্তান এক লৌহদৃঢ় প্রাচীরের মতো দাঁড়িয়েছিল এবং ভারতের কৌশলের একের পর এক ত্রুটি উন্মোচন করেছিল’।
দেশের ভেতরে বিভাজনের ধারণা নাকচ করে দিয়ে আহমেদ শরীফ চৌধুরী বলেন, ‘তারা মনে করেছিল পাকিস্তানের জনগণ ও সেনাবাহিনী বিভক্ত— কিন্তু এটা ভুল ধরণা, পাকিস্তান কখনোই বিভক্ত নয়। এই জাতি ও সেনাবাহিনী সবসময়ই একত্রিত ছিল’।
ভারতের আগ্রাসনের জবাবে পাকিস্তানের পরিকল্পিত প্রতিক্রিয়ার বিবরণ দিতে গিয়ে সেনাবাহিনীর মুখপাত্র বলেন, ‘আমাদের নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, ভারতের ২৬টি স্থানে জবাব দেওয়া হবে’।
একটি বিশেষ ঘটনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মুজাফফরাবাদে যখন সাত বছর বয়সি ইর্তিজা ভারতীয় ব্রিগেড সদর দপ্তরের নির্দেশে গোলাবর্ষণে শহিদ হয়, তখন আমরা ওই ব্রিগেড সদর দপ্তর ধ্বংস করে দেই’।
ভারতের বিমান হামলার প্রসঙ্গ টেনে আহমেদ শরীফ বলেন, ‘৬ ও ৭ তারিখে ভারতের বিভিন্ন বিমান ঘাঁটি থেকে জেট উড়ে এসে পাকিস্তানি শিশুদের লক্ষ্যবস্তু করে— আমরা সেই বিমান ঘাঁটিগুলো ধ্বংস করে জবাব দিয়েছি’।
প্রলয়/তাসনিম তুবা
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন প্রণীত ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’-এর চূড়ান্ত খসড়া পর্যালোচনা করে আগামী ২০ আগস্টের…
জমিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক টেস্ট অধিনায়ক এবং প্রথম পূর্ণকালীন কোচ বব সিম্পসন। ৮৯ বছর বয়সে সিডনিতে…
ইসরায়েল গাজার উত্তরাঞ্চল থেকে অধিবাসীদের দক্ষিণে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। শনিবার (১৬ আগস্ট) ইসরায়েলি…
অধিদপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) মো. আবু তালেব আর নেই। রোববার (১৭ আগস্ট) ভোরে হঠাৎ অসুস্থ…
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় যুবদলকর্মী আবদুল কাইয়ুম আহাদ হত্যা মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি এ…
মনোযোগ ফেরাতে বিদেশি কূটনীতিক ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগীদের ব্রিফ করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। রোববার (১৭ আগস্ট)…
This website uses cookies.