নিজস্ব প্রতিবেদক
নির্বাচন কমিশনের ডেটা সেন্টারের (এনআইডি) ১১ কোটিরও বেশি নাগরিকের ৪৬ ধরনের ব্যক্তিগত তথ্যের মিরর কপি তৈরি করে দেশি-বিদেশি ও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে হস্তান্তরের অভিযোগ উঠেছে। চুরির এ ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি হচ্ছেন ডাটা সেন্টারের সাবেক পরিচালক তারেক এম বরকতউল্লাহ।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ডাটা সেন্টারে সংরক্ষিত ১১ কোটির বেশি বাংলাদেশি নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য চুরির ঘটনা ঘটেছে। আর এ ঘটনায় ২০ হাজার কোটি টাকার লেনদেনে প্রাথমিক তথ্য পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ডাটা সেন্টারের সাবেক পরিচালক তারেক এম বরকতউল্লাহকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রীর যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ও সাবেক তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ ১৯ জনের নাম রয়েছে।
বুধবার বিকেলে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
এদিকে এনআইডির তথ্য বিক্রির অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ও সাবেক তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ আরও ১৯ জনের মঙ্গলবার রাতে কাফরুল থানায় মামলা করেছেন এনামুল হক নামের এক ব্যক্তি।
বুধবার বিকালে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ডিএমপির উপকমিশনার (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
তালেবুর রহমান বলেন, ২০২২ সালের ৪ অক্টোবর এনআইডি যাচাই সেবা গ্রহণ বিষয়ে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ও আইসিটি মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের মধ্যে চুক্তি হয়। ওই চুক্তি অনুসারে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল নির্বাচন কমিশনের তথ্যউপাত্ত অন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি বা হস্তান্তর করতে পারবে না।
চুক্তি অনুযায়ী ১১ কোটিরও বেশি নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্যের মিরর কপি করে ২০১৯ সালের এপ্রিলে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলকে প্রদান করা হয়। কিন্তু চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্যের মিরর কপি ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে ডিজিকন গ্লোবাল সার্ভিস লিমিটেড নামক একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানটিকে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের জন্য প্রদান করে।
ডিজিকন গ্লোবাল সার্ভিস লিমিটেড প্রতিষ্ঠানটি নাগরিকদের ব্যক্তিগত এই তথ্যসমূহ ‘পরিচয়’ নামে একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ১৮০ টিরও বেশি দেশি-বিদেশি, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত অর্থের বিনিময়ে বিক্রি করে আসছে।
তিনি বলেন, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে সংরক্ষিত ১১ কোটিরও বেশি নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য সংবলিত ডাটা সেন্টারটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো হিসাবে প্রজ্ঞাপন দ্বারা স্বীকৃত। চক্রটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোতে বেআইনিভাবে প্রবেশ করে উপাত্ত ভান্ডারের (ডাটাব্যাজের) অনুলিপি সংগ্রহ করে স্থানান্তর করে এবং ডিজিটাল ও ইলেকট্রনিক প্রতারণা করে।
কাফরুল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা বলেন, মামলায় জয়, পলকসহ ১৯ জনের নাম উল্লেখ করা হযেছে। এছাড়া অজ্ঞাতপরিচয়ের আরও ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন প্রণীত ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’-এর চূড়ান্ত খসড়া পর্যালোচনা করে আগামী ২০ আগস্টের…
জমিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক টেস্ট অধিনায়ক এবং প্রথম পূর্ণকালীন কোচ বব সিম্পসন। ৮৯ বছর বয়সে সিডনিতে…
ইসরায়েল গাজার উত্তরাঞ্চল থেকে অধিবাসীদের দক্ষিণে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। শনিবার (১৬ আগস্ট) ইসরায়েলি…
অধিদপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) মো. আবু তালেব আর নেই। রোববার (১৭ আগস্ট) ভোরে হঠাৎ অসুস্থ…
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় যুবদলকর্মী আবদুল কাইয়ুম আহাদ হত্যা মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি এ…
মনোযোগ ফেরাতে বিদেশি কূটনীতিক ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগীদের ব্রিফ করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। রোববার (১৭ আগস্ট)…
This website uses cookies.