চিলমারীতে ১৭ দিন ধরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন তিন গ্রামের গ্রাহক

জেলা প্রতিনিধি কুড়িগ্রাম

কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার চিলমারী সদর ইউনিয়নে ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনের কবলে পড়ে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ওই ইউনিয়নের তিন গ্রামের প্রায় সাড়ে ৩০০ গ্রাহক। স্থানীয়রা বিদ্যুতের সংযোগ খুঁটি ও তার নিরাপদ স্থানে সরিয়ে পুনরায় সংযোগ স্থাপনের জন্য দূরত্ব মেনে আবারও খুঁটি বসিয়েছেন। তবে বিদ্যুৎ বিভাগের সদিচ্ছার অভাবে এখনো সেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ গ্রাহকদের।

এদিকে বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, তাদের না জানিয়ে খুঁটি সরানোয় লাইনের সংযোগ আটকে রাখা হয়েছে।

উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের চর শাখাহাতী, গয়নার পটল ও শহিদুল মিস্ত্রি গ্রামে ১৭ দিন থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন আছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সাবমেরিন ক্যাবল ব্যবহার করে উপজেলার জোড়গাছ ঘাট থেকে ব্রহ্মপুত্রের তলদেশ দিয়ে চর শাখাহাতীতে বিদ্যুৎ লাইন দেওয়া হয়েছিল। এতে ব্যয় হয়েছিল কোটি টাকার বেশি। কিন্তু চার মাস ধরে অব্যাহত ভাঙনের কবলে পড়ে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে ওই এলাকাগুলোর প্রায় সাড়ে ৩০০ গ্রাহকের।

সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, চরটিতে তীব্র ভাঙনের কারণে ঘরবাড়ি ও আবাদি জমি বিলীন হয়েছে৷ এমনকি ভাঙনে বিদ্যুৎ সংযোগের খুঁটিও নদীর সন্নিকটে পড়ে গেছে। পরে স্থানীয়রা নিজ উদ্যোগে পাঁচটি খুঁটি সরিয়ে নিরাপদ স্থানে বসিয়েছেন। বিদ্যুৎ বিভাগ সহযোগিতা না করায় ১৭ দিন ধরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ওই চরের প্রায় ৩৫০ গ্রাহক।

স্থানীয়রা জানান, নদীতে ভাঙনের মুখে পড়ায় এলাকার লোকজন একত্র হয়ে বিদ্যুতের খুঁটি সরিয়েছেন। এখন পর্যন্ত বিদ্যুৎ অফিসের কোনো লোক সেখানের অবস্থা দেখতে যাননি।

স্থানীয় শহিদুল ইসলাম, নুর বক্ত ও জাকির হোসেন বলেন, বিদ্যুৎ সংযোগ হওয়ার পর থেকে সোলারের ব্যবহার কমে গেছে। হঠাৎ করে ভাঙনের কারণে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় ১৭ দিনেও সংযোগ পাইনি। এতে অনেক সমস্যা হয়েছে। বিদ্যুৎ অফিস একটু সহযোগিতা করলে আমরা সংযোগ পেতাম।

চিলমারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বলেন, বিদ্যুৎ অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। ডিজিএম, এজিএম সবাইকে বলেছি। কিন্তু তারা খালি বলছে দেখি দেখি। ইঞ্জিনিয়ারও ফোন ধরে না।

চিলমারী জোনাল অফিসের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার (এজিএম) মো. আলামিন বলেন, তারা নিজে নিজে লাইন নতুন করে নির্মাণ করেছেন। তাই নতুন পাওয়ার প্ল্যান করে বিদ্যুৎ নিয়ে নেক! এটা তো আমাদের রুলস ও রেজুলেশনে পড়ে না। এখন কোনোভাবে লাইন দেওয়ার সুযোগ নেই। তারা বিষয়টি আগে আমাদের জানালে এবং এখান থেকে স্টিমিং শিট ঢাকার মধ্যে আমাদের অফিসে পাঠালে ওখান থেকে পাশ হয়ে আসত। তারপর লাইনটা করত তাহলে সঙ্গে সঙ্গে লাইন দিয়ে দিতে সমস্যা ছিল না। এখন এই জন্যে এটা আটকে রাখা হয়েছে।

এ বিষয়ে চিলমারী জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) প্রকৌশলী মোস্তফা কামালকে একাধিকবার ফোন করা হলেও যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।

প্রলয় ডেস্ক

Recent Posts

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস’র ত্রিশালে মনোনীত প্রার্থী আব্দুল কুদ্দুস সিকদার

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল) আসনে চুড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছেন…

30 minutes ago

শহীদ জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের গুণগত পরিবর্তনের কারিগর: মাহফুজ আলম

শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের গুণগত পরিবর্তনের কারিগর বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা…

2 hours ago

টঙ্গীতে ১৫ রাউন্ড গুলিসহ বিদেশী রিভলবার উদ্ধার

গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গীতে ১৫ রাউন্ড তাজা গুলিসহ একটি বিদেশী রিভলবার উদ্ধার করেছে টঙ্গী পূর্ব থানা…

11 hours ago

ত্রিশালে অসহায় পরিবারের কাকরুল গাছের বাগান কেটে দেওয়ার অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের বীরমপুর ভাটিপাড়া এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সূয্যত…

17 hours ago

আইসিইউতে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতাল, দেখার কেউ নেই

এফ এম সিফাত হাসান, শেরপুর হাসপাতালে অসুস্থ মানুষ যায় ভালো চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ হওয়ার জন্য।…

17 hours ago

চিলমারীর অসহায় রফিকুল পরিবারের পাশে চার সাংবাদিক

নুর মোহাম্মদ (রোকন), ভ্রাম্যমাণ এই দৃশ্য কোনো কল্পনা নয়, একেবারেই বাস্তব। কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার থানাহাট…

17 hours ago

This website uses cookies.