দুর্গাপুরে পুলিশের সামনেই বিএনপির দু’পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৬

দুর্গাপুর সংবাদদাতা

কমিউনিটি পুলিশিং কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে রাজশাহী দুর্গাপুর উপজেলা পানানগর ইউনিয়নের তেবিলা হাই স্কুল মাঠে গত রবিবার (২০ অক্টোবর) বিএনপি’র দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে । এতে দুই গ্রুপের ছয় জন আহত হয়। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে দুর্গাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।’’

দুর্গাপুর উপজেলার ৩ নং পানানগর ইউনিয়ন ৫ নং ওয়াডের তেবিলা গ্রামের কমিউনিটি পুলিশিং ওয়ার্ড কমিটি গঠন করার জন্য দূর্গাপুর থানার এস আই মোঃ ইব্রাহিম একটি তালিকা চায়। পরে ৩ নং পানানগর ইউনিয়নের বিএনপির আহবায়ক সাবেক মেম্বার মোঃ আলী হোসেন একটি তালিকা দেয় এবং জামাত নেতা মোঃ সাইফুল ইসলামও একটি তালিকা তৈরি করে এস আই ইব্রাহিম কে দেয়।’’

এই তালিকা দেয়া নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষে রূপ নেয়। সংঘর্ষে দুই পক্ষের লোকজন আহত হয়। আহতরা দূর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসে। কয়েক জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাসায় চলে যায় এবং গুরুতর আহত হওযায় ৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়।

আহতরা হলেন, ওই গ্রামের আবু হানিফের ছেলে আব্দুল হালিম (৩৭), আইয়ুব আলীর ছেলে আব্দুল লতিফ (৪৫), আব্দুল জব্বারের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৪৪), রিয়াদ উদ্দিনের ছেলে আজহার আলী (৪৮), খইরুদ্দিন থান্দারের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৪৮), আব্দুর রশিদের ছেলে রফিকুল ইসলাম (৪০)।

সাইফুল ইসলামের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয় বিএনপির আহবায়ক মোঃ আলী হোসেনের নেতৃত্বে তেবিলা বাজারের সোনার বাংলা পানের আড়ৎ থেকে ৩ লক্ষ টাকা চাঁদা নিয়েছেন মোঃ আলী হোসেন (৭০) এর ছেলে মো: মুরশিদুল ইসলাম (৪০) মো: মাহাতাব আলী (৩২)। চাঁদা নেওয়ার বিষয়ে সোনার বাংলা পানের আড়ৎ এর মালিক মোঃ লতিফ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি কাউকে কোন চাঁদা দেই নি কেউ আমার কাছ থেকে চাঁদা চায়নি। তেবিলা পানের আড়ৎ এর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে চাঁদা নেওয়ার বিষয়টি জানতে চাইলে তারাও বলেন অভিযোগটি মিথ্যা।’’