কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
কুড়িগ্রাম ধরলা সেতুের টোল আদায়ে ইজারাদার পেতে ৩২ লাখ টাকা রফাদফার গুঞ্জন উঠেছে জেলা বিএনপির কিছু নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে।এছাড়া বিএনপির কিছু নেতাকর্মীদের ম্যানেজ করে ও পছন্দের ইজারাদারকে টোল পাইয়ে দিতে ৩ বছরে প্রায় দের কোটি টাকা লোকাসানের মুখে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কুড়িগ্রাম সড়ক ও জনপদ (সওজ) এর নির্বাহী প্রকৌশলী নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
তবে বিষয়টি অস্বীকার করে নির্বাহী প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম বলেন ধরলা সেতুর দরপত্র শেষ পর্যন্ত ১৩ বার দাখিল করে কোন সাড়া না পাওয়ায় সর্বশেষ ও সর্বোচ্চ দরদাতা মোঃ লুৎফর রহমান বকসীকে সুপারিশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
শুধু তাই নয় সাবেক ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর আওয়ামী লীগের সাবেক সহ সভাপতি ও জেলা মটর শ্রমিকের সাধারণ সম্পাদক মোঃ লুৎফর রহমান বকসীর সাথে লিয়োজে করে জেলা বিএনপি কিছু নেতাকর্মী ৩২ লাখ টাকার বিনিময়ে ধরলা ব্রিজের ইজারাদারে জন্য দফারফা করার অভিযোগ উঠেছে। লুৎফর রহমান বকসী ২০১৩ সাল থেকে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ছিলেন বলে জানা গেছে।
সওজ সূত্রে জানা গেছে, প্রতি তিন অর্থবছরের জন্য ধরলা সেতুর ইজারা আহ্বান করে কুড়িগ্রাম সওজ কর্তৃপক্ষ। ২০২১-২০২২, ২০২২-২০২৩ এবং ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে নির্বাচিত ইজারা মূল্য ছিল আট কোটি ৫৪ লাখ ৯৭ হাজার ২৪০ টাকা। ২০২৪ সালের ৩০ জুন আগের ইজারাদারের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়। পরবর্তী ২০২৪-২০২৫, ২০২৫-২০২৬ এবং ২০২৬-২০২৭ তিন অর্থবছরের জন্য ২০২৩ সালের ২ অক্টোবর ইজারা দরপত্র আহ্বান করা হয়। সওজ কর্তৃপক্ষের দাবি, একে একে ১৩ বার দরপত্র আহ্বান করলেও তেমন সাড়া মেলেনি।ফলে দেড় কোটি টাকা সরকারি লোকসান নিশ্চিত জেনে পছন্দসই ইজারাদারকে কৌশলে ধরলা সেতুর টোলের ভার দেন নির্বাহী প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম।
জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য ও সাবেক পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাইয়েদ আহমেদ বাবু বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে শত শত ছাত্র,শ্রমিকের তাজা প্রান দিতে হয়েছে। অথচ সেই ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর আওয়ামী লীগের সাবেক সহ সভাপতি মোঃ লুৎফর রহমান বকসীকে আমাদের দলের নেতাকর্মীদের সাথে টাকা রফাদফা করে ইজাদার পাইয়ে দেয়। এটা খুবই দুঃখজনক।আমি মনে করি শুধু দলের ভাবমূর্তি নষ্ট নয় এটা পুরো বাংলাদেশের মানুষের সাথে প্রতারনা করা হয়েছে। অবিলম্বে ইজারাদার বাতিল করে স্বচ্ছ নিয়মে ইজারাদার নির্বাচন করা হোক।
ইজারাদার লুৎফর রহমান বকসী বলেন,পার্শ্ববর্তি ফুলবাড়ি উপজেলা দ্বিতীয় ধরলা সেতুর টোল ফ্রি হওয়ার কারনে আমি গতবার প্রায় দেড় কোটি টাকা লোকসানের মুখে পড়েছিলাম। এ বছর ১৩ বার দরপত্র আহ্বানের পর সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে মনোনীত হই।আমি আওয়ামী লীগের কোন পদে ছিলাম না বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন
কাউনিয়া দারুল উলুম কওমী মাদ্রাসা কমিটি গঠন
কেন্দ্রীয় নের্তৃবৃন্দদের সঙ্গে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের মতবিনিময়
এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাইফুর রহমান রানা বলেন,এ বিষয়ে আমি অবগত নই।যদি কোন অনিয়ম হয়ে থাকে তাহলে সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার প্রয়োজন বলে মনে করি।
কুড়িগ্রাম সড়ক ও জনপদ (সওজ) এর নির্বাহী প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম বলেন, ধরলা সেতু ইজারাদার পেতে ১৩ বার দরপত্র দেয়ার পর সর্বোচ্চ দরদাতা মোঃ লুৎফর রহমান বকসীর জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। এখানে কোন অনিয়মের ঘটনা ঘটে নাই।
রেজাউল মোস্তফা, চট্টগ্রাম চট্টগ্রামে পিকআপ ও কাভার্ডভ্যানের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৫ জন নিহত হয়েছেন…
সুমন ভট্টাচার্য, ময়মনসিংহ ‘অভয়াশ্রম গড়ে তুলি, দেশি মাছে দেশ ভরি’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ময়মনসিংহে জাতীয়…
কর্মকর্তাকে চাকরিতে পুনর্বহাল করার নির্দেশ দিয়ে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেছে। এই রায় আপিল বিভাগের ১৭…
রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে ঝিনাইদহ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুল…
আন্দোলনের অন্যতম সৈনিক, কবি ও রবীন্দ্রবিশেষজ্ঞ আহমদ রফিক গুরুতর অসুস্থ হয়ে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি…
মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদসহ ১৮ পুলিশ কর্মকর্তাকে বিনা…
This website uses cookies.