এবার শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মামলা

প্রলয় ডেস্ক

জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার বিষয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে তদন্তের আবেদন করা হয়েছে।

ছাত্রজনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপরই আওয়ামী লীগ সভাপতিসহ তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে আনা হয় একের পর এক মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার অভিযোগ।

এবার, শেখ হাসিনা ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যসহ ৭০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি)। আইসিসির রোম স্ট্যাটিউটের ১৫ অনুচ্ছেদের অধীনে মামলাটি দাখিল করেছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত ব্রিটিশ ব্যারিস্টার মো. আশরাফুল আরেফিন। তার সঙ্গে রয়েছেন ব্যারিস্টার সারাহ ফোরে ও ব্যারিস্টার এমিল লিক্সান্দ্রু নামের দুইজন ব্রিটিশ আইনজীবী।

আরও পড়ুন: বিশ্ব গণমাধ্যমে শেখ হাসিনার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

শুক্রবার (১ নভেম্বর) লন্ডন-বাংলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন মামলার বাদী ব্যারিস্টার মো. আশরাফুল আরেফিন।

ব্যারিস্টার মো. আশরাফুল আরেফিন বলেন, গত ২৮ অক্টোবর আমি এই মামলাটি দায়ের করেছি। মালায় শেখ হাসিনা, তার মন্ত্রিসভার সদস্য ও জড়িত বিভিন্ন সংস্থার ৭০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

গণহত্যা, বিচারবহির্ভূত হত্যার পাশাপাশি নির্যাতন ও গুমের অভিযোগ আনা হয় বিগত সরকারের বিরুদ্ধে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দুই ব্রিটিশ আইনজীবি ব্যারিস্টার সারাহ ফোরে ও ব্যারিস্টার এমিল লিক্সান্দ্রুও।

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরো দুই হত্যা মামলা

শেখ হাসিনার পিয়ন সেই জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরুর সিদ্ধান্ত সিআইডি’র

শেখ হাসিনাকে ফেরাতে নতুন কৌশল জানালো সরকার

শেখ হাসিনার কণ্ঠসদৃশ ফোনালাপ ভাইরাল, যা বলছে অন্তর্বর্তী সরকার

মামলার বিষয়ে ব্যারিস্টার মো. আশরাফুল আরেফিন বলেন, শিক্ষার্থীরা কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছিল। তাদেরকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। আবু সাঈদকে কীভাবে পুলিশ গুলি করেছে সেটি সারাবিশ্ব দেখেছে। আমরা এসব মানবতাবিরোধী অপরাধের বিষয়গুলো তুলে ধরছি।

এ সময় নিয়মিত ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে জানানো হবে বলে জানান আইনজীবী আশরাফুল আরেফিন।

এই আবেদন দায়ের করেছেন ৩ বোল্ট কোর্ট চেম্বার্স’র ব্যারিস্টার মো. আশরাফুল আরেফিন (যিনি ব্যারিস্টার এম এ আরেফিন আশরাফ নামেও পরিচিত)। এই আবেদনের অগ্রগতি নিয়মিত জানানো হবে উল্লেখ করে বলা হয়, এর মাধ্যমে শেখ হাসিনা, তার মন্ত্রিসভা এবং সরকারের অন্যান্য প্রভাবশালী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগে একটি স্বাধীন তদন্তের আহ্বান জানানো হয়েছে। আবেদনে উল্লিখিত বিভিন্ন অপরাধের মধ্যে রয়েছে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড, গোপন বন্দিশালায় নির্যাতন, চলাচল ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর নিষেধাজ্ঞা এবং গণহত্যার মতো গুরুতর অপরাধ।