শাকুর মাহমুদ চৌধুরী, উখিয়া
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে রোহিঙ্গাদের সহায়তায় দীর্ঘ ৮ বছর ধরে কাজ করে আসা আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এবং তাদের সহযোগী দেশীয় প্রতিষ্ঠান এনরুট ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের দেড় শতাধিক কর্মী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন। কর্মীরা দাবি করেছেন, তাদের চাকরিতে পুনরায় বহাল করা হোক এবং কর্মক্ষেত্রে অবিচার ও বৈষম্য দূর করার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) বেলা ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত উখিয়া কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে আইওএম এবং এনরুটের ছাঁটাই হওয়া কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী কর্মীরা জানান, দীর্ঘ ৮ বছর ধরে তারা রোহিঙ্গাদের সেবা প্রদান করছেন, কিন্তু তাদের কাজের পরিবেশ ক্রমাগত কঠিন হয়ে উঠছে। অথচ, তাদের বেতন বা সুবিধায় কোনো উন্নতি হয়নি, এবং তাদের কাজের পরিধি বাড়ানোর পরও একদিন সাপ্তাহিক ছুটির বাইরে কোনো পরিবর্তন ঘটেনি।
কর্মীরা অভিযোগ করেন, গত এক সপ্তাহ ধরে তারা কর্মবিরতি পালন করছেন এবং তাদের মধ্যে বেশিরভাগই উখিয়া ও টেকনাফের ১৭টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত মানবাধিকার ও উন্নয়ন কর্মী। তাদের এই কর্মবিরতির কারণে রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তা কার্যক্রমে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। এনরুট ও আইওএম কর্তৃপক্ষের কাছে কর্মীরা জানিয়েছিলেন তাদের দাবি ও অভিযোগ ই-মেইলের মাধ্যমে এবং শান্তিপূর্ণ কর্মবিরতির মাধ্যমে। কিন্তু কোনো প্রতিকার না পেয়ে, গত রবিবার রাতেই ২০০ জন কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়, যার মধ্যে দেড় শতাধিক স্থানীয় কর্মী ছিলেন। মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা তাদের চার দফা দাবি তুলে ধরেন: ১. ছাঁটাই হওয়া কর্মীদের পুনঃস্থাপন; ২. বৈষম্য দূরীকরণ; ৩. উন্নয়ন কার্যক্রমে সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি; ৪. কর্মীদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করা। এছাড়া, তারা রোহিঙ্গাদের সহায়তা কার্যক্রমে কোনো ধরনের ব্যাঘাত সৃষ্টি না করতে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। আন্দোলনকারীরা মনে করেন যে, ড. মুহম্মদ ইউনূসের মতো রাষ্ট্রীয় নেতৃত্বের হস্তক্ষেপ এই সংকট সমাধানে সাহায্য করতে পারে।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা: প্রতিবাদকারীরা সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন এবং দাবি করেছেন যে, তাদের কাজের পরিবেশ আরও সুষ্ঠু ও ন্যায়সঙ্গত হওয়া উচিত। তারা মনে করেন, বৈষম্যমুক্ত পরিবেশে কাজ করার সুযোগ নিশ্চিত করা হলে রোহিঙ্গাদের সহায়তা কার্যক্রমে কোনো বাধা আসবে না। এদিকে, এই আন্দোলন গত এক সপ্তাহ ধরে চলমান রয়েছে, এবং শুরুর পর থেকেই আন্দোলনকারীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে দুই শতাধিক কর্মী এই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করছেন এবং তাদের উদ্দেশ্য হলো একটি সুষ্ঠু ও ন্যায়সঙ্গত পরিবেশে পুনরায় কাজ করার সুযোগ পাওয়া। এছাড়া, আন্দোলনকারীরা জানান, তারা আশা করছেন যে, কর্তৃপক্ষ দ্রুত তাদের সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হবে, যাতে রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তার কার্যক্রমে কোনো ধরনের বিঘ্ন না ঘটে। এ অবস্থায়, উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা শিবিরে কাজ করা বিভিন্ন সংস্থা ও কর্মীদের মধ্যে এক ধরনের অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে, এবং তাদের দাবি, সুষ্ঠু পরিবেশে তাদের কাজের সুযোগ ফিরে পাওয়ার।
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল) আসনে চুড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছেন…
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের গুণগত পরিবর্তনের কারিগর বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা…
গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গীতে ১৫ রাউন্ড তাজা গুলিসহ একটি বিদেশী রিভলবার উদ্ধার করেছে টঙ্গী পূর্ব থানা…
নিজস্ব সংবাদদাতা ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের বীরমপুর ভাটিপাড়া এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সূয্যত…
এফ এম সিফাত হাসান, শেরপুর হাসপাতালে অসুস্থ মানুষ যায় ভালো চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ হওয়ার জন্য।…
নুর মোহাম্মদ (রোকন), ভ্রাম্যমাণ এই দৃশ্য কোনো কল্পনা নয়, একেবারেই বাস্তব। কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার থানাহাট…
This website uses cookies.