ঢাকা ০৮:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফুলবাড়িয়া মুক্ত দিবস আজ

প্রলয় ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৩:৫৮:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৪৯ বার পড়া হয়েছে

সেলিম মিয়া ,ফুলবাড়িয়া

আজ  ঐতিহাসিক ৮ ডিসেম্বর ফুলবাড়ীয়া হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এইদিনে ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার আকাশে উঠে স্বাধীন সূর্য। বিজয়ের হাসি হেসে দলে দলে মুক্তিযোদ্ধারা উপজেলা সদরে প্রবেশ করেন। হাতে রাইফেল ও বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত রক্তলাল সূর্য সংবলিত সবুজ জমিনের পতাকা।

মহান মুক্তিযুদ্ধে উপজেলার রাঙ্গামাটিয়া গ্রামে পাক সেনাদের সঙ্গে বাংলা মায়ের দামাল ছেলেদের যুদ্ধ ছিল বহুল আলোচিত। টানা ৭২ ঘণ্টা হয়েছিল এ যুদ্ধ। ওই সময় পাক সেনারা ইউনিয়ন পরিষদের ছাদের উপর মেশিনগান রেখে গুলি করে অসংখ্য মানুষ হত্যা করেছিল। আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছিল ৫টি গ্রাম।

ক্যাম্পে ধরে আনা মানুষজনকে স্থানীয় বানার নদীর ব্রিজের উপর সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে গুলি করে লাশ ফেলে দিত বানার নদীতে। রক্তে লাল হয়ে যাওয়া বানার নদীর পানির প্রবাহে গুলিবিদ্ধ নিথর দেহগুলো ভেসে যেত ভাটির দিকে।

আরো পড়ুন-

৭ ডিসেম্বর রাতে ফুলবাড়িয়া সদরে পাকিস্তানিদের ক্যাম্প ঘিরে ফেলে মুক্তিযোদ্ধারা। মুক্তিযোদ্ধাদের বজ্র কঠিন গেরিলা আক্রমণে ৮ ডিসেম্বর ফুলবাড়ীয়ার মাটি ছেড়ে লেজ গুটিয়ে পালিয়ে যায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। মুক্ত হয় ফুলবাড়ীয়া।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ফুলবাড়িয়া মুক্ত দিবস আজ

আপডেট সময় : ০৩:৫৮:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৪

সেলিম মিয়া ,ফুলবাড়িয়া

আজ  ঐতিহাসিক ৮ ডিসেম্বর ফুলবাড়ীয়া হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এইদিনে ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার আকাশে উঠে স্বাধীন সূর্য। বিজয়ের হাসি হেসে দলে দলে মুক্তিযোদ্ধারা উপজেলা সদরে প্রবেশ করেন। হাতে রাইফেল ও বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত রক্তলাল সূর্য সংবলিত সবুজ জমিনের পতাকা।

মহান মুক্তিযুদ্ধে উপজেলার রাঙ্গামাটিয়া গ্রামে পাক সেনাদের সঙ্গে বাংলা মায়ের দামাল ছেলেদের যুদ্ধ ছিল বহুল আলোচিত। টানা ৭২ ঘণ্টা হয়েছিল এ যুদ্ধ। ওই সময় পাক সেনারা ইউনিয়ন পরিষদের ছাদের উপর মেশিনগান রেখে গুলি করে অসংখ্য মানুষ হত্যা করেছিল। আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছিল ৫টি গ্রাম।

ক্যাম্পে ধরে আনা মানুষজনকে স্থানীয় বানার নদীর ব্রিজের উপর সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে গুলি করে লাশ ফেলে দিত বানার নদীতে। রক্তে লাল হয়ে যাওয়া বানার নদীর পানির প্রবাহে গুলিবিদ্ধ নিথর দেহগুলো ভেসে যেত ভাটির দিকে।

আরো পড়ুন-

৭ ডিসেম্বর রাতে ফুলবাড়িয়া সদরে পাকিস্তানিদের ক্যাম্প ঘিরে ফেলে মুক্তিযোদ্ধারা। মুক্তিযোদ্ধাদের বজ্র কঠিন গেরিলা আক্রমণে ৮ ডিসেম্বর ফুলবাড়ীয়ার মাটি ছেড়ে লেজ গুটিয়ে পালিয়ে যায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। মুক্ত হয় ফুলবাড়ীয়া।