ঢাকা ০২:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মারা গেলেন অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি ক্রিকেটার সিম্পসন গাজাবাসীদের জোরপূর্বক স্থানান্তরের প্রস্তুতি না ফেরার দেশে কারা সহকারী মহাপরিদর্শক আবু তালেব সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের জামিন শুনানি অক্টোবরে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে চার আন্তর্জাতিক সম্মেলনের ঘোষণা বাংলাদেশের সব কূটনৈতিক মিশন থেকে রাষ্ট্রপতির ছবি সরানোর নির্দেশ জিয়াউর রহমান এক দূরদর্শী নেতা ও দেশ গঠনের রূপকার: মোহাম্মদ মাসুদ ভালুকায় ইয়াবাসহ ৪ মাদক কারবারি গ্রেফতার রোহিঙ্গা ইস্যুতে চলতি বছরই ৩টি আন্তর্জাতিক সম্মেলন: প্রধান উপদেষ্টা এদেশে সবার অধিকার সমান, ধর্ম-বর্ণের ভেদাভেদ থাকবে না: সেনাপ্রধান

মনে হচ্ছে আমাকে কেউ দুর্নীতির মহাসাগরে ছেড়ে দিয়েছে: ক্রীড়া উপদেষ্টা

প্রলয় ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৯:৩১:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৭৬ বার পড়া হয়েছে

মনে হচ্ছে আমাকে কেউ দুর্নীতির মহাসাগরে ছেড়ে দিয়েছে: ক্রীড়া উপদেষ্টা। ছবি অনলাইন সংগৃহীত

প্রলয় ডেস্ক

বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে আকস্মিক পরিদর্শনে গিয়েছিলেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের দোকান থেকে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ভাড়া পায়, তা জেনে বৃহস্পতিবার তিনি নিজের ফেসবুক পেজে হতাশা ব্যক্ত করেছেন।

ক্রীড়া উপদেষ্টা লিখেছেন, ‘মনে হচ্ছে আমাকে কেউ দুর্নীতির মহাসাগরে ছেড়ে দিয়েছে। আজ এনএসসির অধীনে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের দোকান পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। ২০-২২ টাকা/বর্গফুট হিসেবে এনএসসির কাছে ভাড়া গেলেও সরেজমিনে গিয়ে জানতে পারলাম, দোকানগুলো ১৭০-২২০ টাকা/বর্গফুট করে ভাড়া দিচ্ছে। বিশাল অঙ্কের আর্থিক ক্ষতির শিকার হচ্ছে সরকার। অর্থাভাবে ফেডারেশন চলছে না, টুর্নামেন্ট হয় না, মাঠের সংস্কার হয় না। অথচ বছরের পর বছর এভাবেই হাজার হাজার কোটি টাকা চুরি গেছে।’

কয়েকদিন আগে ক্রীড়া সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেছিলেন, ‘আমি হুট করে কোনো জায়গা পরিদর্শন পছন্দ করি। তাহলে প্রকৃত অবস্থা বোঝা যায়।’ সে মোতাবেকই তিনি বৃহস্পতিবার কোনো আগামী ঘোষণা ছাড়াই গিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম চত্বরে।

এ সময় ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি হালনাগাদ ভাড়াটা দেখলাম। আমাদের সরকারি খাতায় ২৬ টাকা বর্গফুট যায়। অথচ দোকানদাররা বেশি দেন। এ টাকা কোথায় যায়, তা খতিয়ে দেখা হবে। এর সঙ্গে মন্ত্রণালয় বা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কেউ জড়িত কিনা, সেটাও দেখবো। একটা ধারণা পাওয়ার জন্য এসেছিলাম। এখানে হাজারের ওপরে দোকান আছে। অন্যান্য ভেন্যুতেও দোকান আছে। ২২ টাকা স্কয়ার ফিট মান্দাতা আমলের ভাড়া। একটি সমীক্ষা করে আমরা দেখবো। আমাদের প্রাথমিক চিন্তা হলো এখনকার ভাড়ার স্ট্যান্ডার্ড কেমন, এরা কি দিচ্ছে তার পর নতুন করে নতুন করে পুনরায় ভাড়া দেবো। এটা কিভাবে বাস্তবায়ন করা যায়, সেটা দেখবো।’

নিউজটি শেয়ার করুন

মনে হচ্ছে আমাকে কেউ দুর্নীতির মহাসাগরে ছেড়ে দিয়েছে: ক্রীড়া উপদেষ্টা

আপডেট সময় : ০৯:৩১:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

প্রলয় ডেস্ক

বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে আকস্মিক পরিদর্শনে গিয়েছিলেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের দোকান থেকে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ভাড়া পায়, তা জেনে বৃহস্পতিবার তিনি নিজের ফেসবুক পেজে হতাশা ব্যক্ত করেছেন।

ক্রীড়া উপদেষ্টা লিখেছেন, ‘মনে হচ্ছে আমাকে কেউ দুর্নীতির মহাসাগরে ছেড়ে দিয়েছে। আজ এনএসসির অধীনে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের দোকান পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। ২০-২২ টাকা/বর্গফুট হিসেবে এনএসসির কাছে ভাড়া গেলেও সরেজমিনে গিয়ে জানতে পারলাম, দোকানগুলো ১৭০-২২০ টাকা/বর্গফুট করে ভাড়া দিচ্ছে। বিশাল অঙ্কের আর্থিক ক্ষতির শিকার হচ্ছে সরকার। অর্থাভাবে ফেডারেশন চলছে না, টুর্নামেন্ট হয় না, মাঠের সংস্কার হয় না। অথচ বছরের পর বছর এভাবেই হাজার হাজার কোটি টাকা চুরি গেছে।’

কয়েকদিন আগে ক্রীড়া সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেছিলেন, ‘আমি হুট করে কোনো জায়গা পরিদর্শন পছন্দ করি। তাহলে প্রকৃত অবস্থা বোঝা যায়।’ সে মোতাবেকই তিনি বৃহস্পতিবার কোনো আগামী ঘোষণা ছাড়াই গিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম চত্বরে।

এ সময় ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি হালনাগাদ ভাড়াটা দেখলাম। আমাদের সরকারি খাতায় ২৬ টাকা বর্গফুট যায়। অথচ দোকানদাররা বেশি দেন। এ টাকা কোথায় যায়, তা খতিয়ে দেখা হবে। এর সঙ্গে মন্ত্রণালয় বা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কেউ জড়িত কিনা, সেটাও দেখবো। একটা ধারণা পাওয়ার জন্য এসেছিলাম। এখানে হাজারের ওপরে দোকান আছে। অন্যান্য ভেন্যুতেও দোকান আছে। ২২ টাকা স্কয়ার ফিট মান্দাতা আমলের ভাড়া। একটি সমীক্ষা করে আমরা দেখবো। আমাদের প্রাথমিক চিন্তা হলো এখনকার ভাড়ার স্ট্যান্ডার্ড কেমন, এরা কি দিচ্ছে তার পর নতুন করে নতুন করে পুনরায় ভাড়া দেবো। এটা কিভাবে বাস্তবায়ন করা যায়, সেটা দেখবো।’