ঢাকা ০৮:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সংগ্রামী সাংবাদিক ও ক্রীড়াবিদ মোহাম্মদ সাদেকুর রহমান সাদেক এর বিরুদ্ধে অপপ্রচার বন্ধ হোক

প্রলয় ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১১:৩১:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫
  • / ১৩৭ বার পড়া হয়েছে

সুমন ভট্টাচার্য , ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান

ময়মনসিংহের রাজনৈতিক ও ক্রীড়াঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা সংগ্রামী মানুষ মোহাম্মদ সাদেকুর রহমান সাদেক। তিনি একাধারে সাংবাদিক, ক্রীড়াবিদ এবং রাজনৈতিক নেতা। দীর্ঘদিন ধরে তিনি সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়িয়ে কাজ করে আসছেন। তবে তার এই সংগ্রামী পথচলা সহজ ছিল না। বিভিন্ন সময় তাকে হয়রানি, ষড়যন্ত্র ও প্রতিহিংসার শিকার হতে হয়েছে।

মোহাম্মদ সাদেকুর রহমান সাদেক ময়মনসিংহের মুকুল নিকেতন স্কুলের ১৯৯৩ ব্যাচের ছাত্র ছিলেন। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি ক্রীড়াঙ্গনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। লীলা দেবী শিল্ডকাপসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে নিজেকে প্রমাণ করেছেন। তিনি ময়মনসিংহ জেলা ক্রিকেট দলে খেলেছেন এবং জাতীয় পর্যায়ে ক্রিকেটে প্রতিনিধিত্ব করেছেন।

তার ক্রীড়া নৈপুণ্যের জন্য ময়মনসিংহের ক্রীড়াঙ্গনে তার বিশেষ অবদান রয়েছে। রাজনীতির প্রতি আগ্রহ থেকেই তিনি ১৯৯৯ সালে ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রদলে যোগ দেন। তৎকালীন জেলা ছাত্রদল সভাপতি রতন আকন্দ ও সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক টুটুর নেতৃত্বে তিনি সক্রিয় রাজনীতিতে অংশ নেন। ১৯৯৫-৯৬ সালে ময়মনসিংহ জজ কমার্শিয়াল কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ছাত্রদলের প্রার্থী হিসেবে জেনারেল সেক্রেটারি (জি.এস.) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। পরবর্তীতে তিনি ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রদলের সহ-ক্রিড়া সম্পাদক হিসেবে ২০০৩ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।

রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণে তাকে একাধিকবার নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। একবার তাকে গুলি করা হয়েছিল, যার চিহ্ন আজও তার শরীরে রয়েছে। গত ১৭ বছরে বাংলাদেশে রাজনৈতিক বাস্তবতা বদলে যাওয়ায় সাদেকুর রহমান সাদেক নানাভাবে হয়রানির শিকার হয়েছেন। অভিযোগ রয়েছে, ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আমিনুল হক শামীম ও ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ইকরামুল হক টিটুর অনুসারীদের দ্বারা তার ১১ শতাংশ জমিসহ মোট ৯৯% সম্পত্তি দখল করা হয়েছে। সম্প্রতি গন্ধপা এলাকার রাশেদুজ্জামান নোমান নামে এক ব্যক্তি তার ১৮ শতাংশ জমি বিক্রি করেছেন, যা বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা কিনেছেন।

এই ঘটনার মাধ্যমে প্রমাণ হয়, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার মাধ্যমে তাকে সর্বস্বান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বর্তমানে সাদেকুর রহমান সাদেক দৈনিক সময়ের কাগজের ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। একইসঙ্গে তিনি বাংলাদেশ লিগাল অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস সার্ভিস ফাউন্ডেশনের ময়মনসিংহ মহানগর সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি সবসময় বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার পক্ষে ছিলেন এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা রেখেছেন। তবে সত্য প্রকাশ করায় তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছেন।

অভিযোগ রয়েছে, ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার অনিয়ম তুলে ধরার কারণে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। কিছু অসাধু সাংবাদিককে ব্যবহার করে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ ছড়ানো হচ্ছে। সাংবাদিক সমাজের একাংশসহ সচেতন নাগরিকরা এই ষড়যন্ত্রের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। সাংবাদিক মোঃ শামসুল আলম খান বলেন, “সাদেকুর রহমান সাদেকের মতো সাহসী সাংবাদিক ও নেতাকে হয়রানি করা মানে সত্যকে দমন করার চেষ্টা করা। আমরা চাই, তিনি যেন নির্ভয়ে সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে কাজ চালিয়ে যেতে পারেন।” এমন প্রতিহিংসামূলক ষড়যন্ত্র বন্ধ না হলে সাংবাদিক সমাজ ও সাধারণ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তার সমর্থকরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

সংগ্রামী সাংবাদিক ও ক্রীড়াবিদ মোহাম্মদ সাদেকুর রহমান সাদেক এর বিরুদ্ধে অপপ্রচার বন্ধ হোক

আপডেট সময় : ১১:৩১:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫

সুমন ভট্টাচার্য , ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান

ময়মনসিংহের রাজনৈতিক ও ক্রীড়াঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা সংগ্রামী মানুষ মোহাম্মদ সাদেকুর রহমান সাদেক। তিনি একাধারে সাংবাদিক, ক্রীড়াবিদ এবং রাজনৈতিক নেতা। দীর্ঘদিন ধরে তিনি সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়িয়ে কাজ করে আসছেন। তবে তার এই সংগ্রামী পথচলা সহজ ছিল না। বিভিন্ন সময় তাকে হয়রানি, ষড়যন্ত্র ও প্রতিহিংসার শিকার হতে হয়েছে।

মোহাম্মদ সাদেকুর রহমান সাদেক ময়মনসিংহের মুকুল নিকেতন স্কুলের ১৯৯৩ ব্যাচের ছাত্র ছিলেন। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি ক্রীড়াঙ্গনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। লীলা দেবী শিল্ডকাপসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে নিজেকে প্রমাণ করেছেন। তিনি ময়মনসিংহ জেলা ক্রিকেট দলে খেলেছেন এবং জাতীয় পর্যায়ে ক্রিকেটে প্রতিনিধিত্ব করেছেন।

তার ক্রীড়া নৈপুণ্যের জন্য ময়মনসিংহের ক্রীড়াঙ্গনে তার বিশেষ অবদান রয়েছে। রাজনীতির প্রতি আগ্রহ থেকেই তিনি ১৯৯৯ সালে ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রদলে যোগ দেন। তৎকালীন জেলা ছাত্রদল সভাপতি রতন আকন্দ ও সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক টুটুর নেতৃত্বে তিনি সক্রিয় রাজনীতিতে অংশ নেন। ১৯৯৫-৯৬ সালে ময়মনসিংহ জজ কমার্শিয়াল কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ছাত্রদলের প্রার্থী হিসেবে জেনারেল সেক্রেটারি (জি.এস.) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। পরবর্তীতে তিনি ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রদলের সহ-ক্রিড়া সম্পাদক হিসেবে ২০০৩ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।

রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণে তাকে একাধিকবার নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। একবার তাকে গুলি করা হয়েছিল, যার চিহ্ন আজও তার শরীরে রয়েছে। গত ১৭ বছরে বাংলাদেশে রাজনৈতিক বাস্তবতা বদলে যাওয়ায় সাদেকুর রহমান সাদেক নানাভাবে হয়রানির শিকার হয়েছেন। অভিযোগ রয়েছে, ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আমিনুল হক শামীম ও ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ইকরামুল হক টিটুর অনুসারীদের দ্বারা তার ১১ শতাংশ জমিসহ মোট ৯৯% সম্পত্তি দখল করা হয়েছে। সম্প্রতি গন্ধপা এলাকার রাশেদুজ্জামান নোমান নামে এক ব্যক্তি তার ১৮ শতাংশ জমি বিক্রি করেছেন, যা বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা কিনেছেন।

এই ঘটনার মাধ্যমে প্রমাণ হয়, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার মাধ্যমে তাকে সর্বস্বান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বর্তমানে সাদেকুর রহমান সাদেক দৈনিক সময়ের কাগজের ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। একইসঙ্গে তিনি বাংলাদেশ লিগাল অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস সার্ভিস ফাউন্ডেশনের ময়মনসিংহ মহানগর সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি সবসময় বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার পক্ষে ছিলেন এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা রেখেছেন। তবে সত্য প্রকাশ করায় তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছেন।

অভিযোগ রয়েছে, ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার অনিয়ম তুলে ধরার কারণে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। কিছু অসাধু সাংবাদিককে ব্যবহার করে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ ছড়ানো হচ্ছে। সাংবাদিক সমাজের একাংশসহ সচেতন নাগরিকরা এই ষড়যন্ত্রের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। সাংবাদিক মোঃ শামসুল আলম খান বলেন, “সাদেকুর রহমান সাদেকের মতো সাহসী সাংবাদিক ও নেতাকে হয়রানি করা মানে সত্যকে দমন করার চেষ্টা করা। আমরা চাই, তিনি যেন নির্ভয়ে সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে কাজ চালিয়ে যেতে পারেন।” এমন প্রতিহিংসামূলক ষড়যন্ত্র বন্ধ না হলে সাংবাদিক সমাজ ও সাধারণ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তার সমর্থকরা।