ঢাকা ০৮:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চীনের সাথে জোরালো আলোচনা চলছে, দ্রুত তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হবে: উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

প্রলয় ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৪:৪২:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫
  • / ১০৩ বার পড়া হয়েছে

জাফর আহমেদ, কুড়িগ্রাম সংবাদদাতা

কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলা ঘড়িয়াল ডাঙ্গা ইউনিয়নে খিতাবখাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন তিস্তা নদীর বাম তীর পূর্ব সর্তকর্তামুলক কাজের পরিদর্শনে এসে মঙ্গলবার (১৫ জুলাই)  তিনি আরো জানান তিস্তার মহাপরিকল্পনা তিস্তার নদীটার আসলেই গতি প্রকৃতিটা অনেকটাই আমাদের নির্ভর করে না।এটা নির্ভর করে উজানের দেশের উপর সরকারি পর্যায় থেকে তিস্তা মহাপরিকল্পনা ব্যাপারে কাজ করা হয়েছিল।

আপনারা জানেন যে ২০১১ সালে একটা চুক্তি করা হয়েছিল তবে সেই চুক্তি এখনো স্বাক্ষর করা হয়নি তবে সেই প্রক্রিয়া সেই কাজও এখনো চলমান রয়েছে। পাশাপাশি তিস্তা যেহেতু আমাদের দেশের নদী ভাটির দেশের জনগণ হিসেবে এই নদীর উপর তো আমাদের একদম অধিকার আছে।আমাদের জনগোষ্ঠী,জনপদ দেশের একটা অধিকার আছে সেটা আমরা কেমন করে সুরক্ষিত রাখতে পারি সেজন্য চীন সরকারের সাথে ২০১৬ সালে একটা স্মারক দেয়া হয়েছিল যার পরে একটা প্ল্যান দেয়া হয়েছিল সেই প্ল্যান আর আগায় নি। আমরা এসে জনগণের দাবি শুনেছিলাম যে তাঁরা তিস্তাকে নিয়ে একটা মহাপরিকল্পনা চায়।

আমরা এসে সেই পরিকল্পনাকে মহাপরিকল্পনায় রূপ দেওয়ার জন্য চীন সরকারের সাথে কথাবার্তা শুরু করেছি।আপনারা জানেন যে এখানে আমরা পাঁচটা গণশুনানি এখানে করেছি। যাতে এই পরিকল্পনা সরকারের পরিকল্পনা না হয়ে জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটানোর পরিকল্পনা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড এর মহাপরিচালক এনায়েত উল্লাহ, উওরাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মাহবুবর রহমান,কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানা, পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান, ঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল ইমরান, জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. আতিক মুজাহিদ প্রমুখ। এবিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, কুড়িগ্রামের রাজাহাট ও উলিপুর উপজেলার ২৪ টি পয়েন্টে ৩৬ কোটি টাকা ব্যয়ে পূর্ব সতর্কতামূলক তিস্তা নদীর বাম তীর সংরক্ষণের কাজ চলমান রয়েছে। বর্তমানে চলমান কাজের প্রায় শতকরা ৮০ ভাগের উপরে সম্পন্ন হয়েছে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে বাকী কাজ শেষ হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

চীনের সাথে জোরালো আলোচনা চলছে, দ্রুত তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হবে: উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

আপডেট সময় : ০৪:৪২:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫

জাফর আহমেদ, কুড়িগ্রাম সংবাদদাতা

কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলা ঘড়িয়াল ডাঙ্গা ইউনিয়নে খিতাবখাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন তিস্তা নদীর বাম তীর পূর্ব সর্তকর্তামুলক কাজের পরিদর্শনে এসে মঙ্গলবার (১৫ জুলাই)  তিনি আরো জানান তিস্তার মহাপরিকল্পনা তিস্তার নদীটার আসলেই গতি প্রকৃতিটা অনেকটাই আমাদের নির্ভর করে না।এটা নির্ভর করে উজানের দেশের উপর সরকারি পর্যায় থেকে তিস্তা মহাপরিকল্পনা ব্যাপারে কাজ করা হয়েছিল।

আপনারা জানেন যে ২০১১ সালে একটা চুক্তি করা হয়েছিল তবে সেই চুক্তি এখনো স্বাক্ষর করা হয়নি তবে সেই প্রক্রিয়া সেই কাজও এখনো চলমান রয়েছে। পাশাপাশি তিস্তা যেহেতু আমাদের দেশের নদী ভাটির দেশের জনগণ হিসেবে এই নদীর উপর তো আমাদের একদম অধিকার আছে।আমাদের জনগোষ্ঠী,জনপদ দেশের একটা অধিকার আছে সেটা আমরা কেমন করে সুরক্ষিত রাখতে পারি সেজন্য চীন সরকারের সাথে ২০১৬ সালে একটা স্মারক দেয়া হয়েছিল যার পরে একটা প্ল্যান দেয়া হয়েছিল সেই প্ল্যান আর আগায় নি। আমরা এসে জনগণের দাবি শুনেছিলাম যে তাঁরা তিস্তাকে নিয়ে একটা মহাপরিকল্পনা চায়।

আমরা এসে সেই পরিকল্পনাকে মহাপরিকল্পনায় রূপ দেওয়ার জন্য চীন সরকারের সাথে কথাবার্তা শুরু করেছি।আপনারা জানেন যে এখানে আমরা পাঁচটা গণশুনানি এখানে করেছি। যাতে এই পরিকল্পনা সরকারের পরিকল্পনা না হয়ে জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটানোর পরিকল্পনা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড এর মহাপরিচালক এনায়েত উল্লাহ, উওরাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মাহবুবর রহমান,কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানা, পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান, ঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল ইমরান, জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. আতিক মুজাহিদ প্রমুখ। এবিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, কুড়িগ্রামের রাজাহাট ও উলিপুর উপজেলার ২৪ টি পয়েন্টে ৩৬ কোটি টাকা ব্যয়ে পূর্ব সতর্কতামূলক তিস্তা নদীর বাম তীর সংরক্ষণের কাজ চলমান রয়েছে। বর্তমানে চলমান কাজের প্রায় শতকরা ৮০ ভাগের উপরে সম্পন্ন হয়েছে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে বাকী কাজ শেষ হবে।