ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় বিমান প্রশিক্ষণ রহস্যজনক ও অগ্রহণযোগ্য: রিজভী

- আপডেট সময় : ০৫:০৯:৩৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫
- / ১০৬ বার পড়া হয়েছে
বিমান দুর্ঘটনার পর রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে—ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় কেন প্রশিক্ষণ বিমান চালানো হয়? বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, এ ধরনের জনবহুল এলাকায় প্রশিক্ষণ কার্যক্রম ‘রহস্যজনক ও অগ্রহণযোগ্য’।
রোববার (২১ জুলাই) দুপুর ১টা ৬ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবনে বিধ্বস্ত হয়। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, এ দুর্ঘটনায় ১৯ জন নিহত ও ১৬৪ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে অনেকে উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বিকেল ৫টার দিকে ওই হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে রিজভী বলেন, ‘ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাজুড়ে যেভাবে ঘরবাড়ি ও জনবসতি গড়ে উঠেছে, তার মাঝে একটি প্রশিক্ষণ বিমান চালানো আমার কাছে রহস্যজনক মনে হয়। এটি যশোর, কক্সবাজারের মতো বিস্তীর্ণ ও কমবসতিপূর্ণ এলাকায় হতে পারত।’
রিজভী অভিযোগ করেন, বিমানবন্দরের পাশে লোকালয় গড়ে তোলার ব্যাপারে সরকারের কোনো সুপরিকল্পনা নেই। তাঁর মতে, “বিমানবন্দরের আশপাশে জনবসতি গড়ে তোলার আগে পরিকল্পনা থাকা উচিত ছিল। এখনকার অবস্থা দেখে মনে হয়, তা হয়নি।”
তিনি আরও বলেন, “নেভিগেশন বা টেকনিক্যাল দিকগুলো আমি না জানলেও, সাধারণ দৃষ্টিতে মনে হয়েছে এমন জনবহুল এলাকায় বিমান প্রশিক্ষণ ঝুঁকিপূর্ণ। প্রশাসনের উচিত ছিল আগে থেকেই সতর্ক থাকা।”
এই দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, ‘এটা দুর্ঘটনা, হতেই পারে। কিন্তু আমরা যদি আগেভাগে পরিকল্পনা করে ব্যবস্থা নিতাম, তাহলে হয়তো এত প্রাণহানি হতো না। প্রশাসনের দায়িত্বশীল আচরণ এখন সবচেয়ে জরুরি।’
তিনি কারো বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ না তুললেও বলেন, “দায়িত্বে অবহেলা করলে প্রতিনিয়ত মানুষের জীবন বিপন্ন হবে। এই মুহূর্তে দোষারোপ নয়, বরং সবাই যার যার দায়িত্ব পালন করলে অকালে কারও মৃত্যু হতো না।”
দলের পক্ষ থেকে সহায়তার কথাও জানান রিজভী। তিনি বলেন, “বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশে আহতদের সর্বোচ্চ চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে নেতাকর্মীরা বিভিন্ন হাসপাতালে উপস্থিত হয়ে রক্তদানসহ প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করছেন। এমনকি কিছু কর্মসূচিও স্থগিত করা হয়েছে।”
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিসহ অন্য নেতারা।