ঢাকা ০৮:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কক্সবাজার ত্যাগ করেছেন এনসিপি’র শীর্ষ নেতারা

প্রলয় ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৪:০৭:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ অগাস্ট ২০২৫
  • / ৪১ বার পড়া হয়েছে
কক্সবাজার অফিস
কক্সবাজারে অবস্থানকারী জাতীয় নাগরিক পার্টি- এনসিপির পাঁচ শীর্ষ নেতা কক্সবাজার ত্যাগ করেছেন। বুধবার (৬ আগস্ট) বেলা দেড়টার দিকে একটি ভিআইপি সাদা রঙের গাড়িতে করে তাঁরা হোটেল ত্যাগ করেছেন।  নির্ভরযোগ্য সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। এনসিপি’র শীর্ষ নেতাদের মধ্যে রয়েছেন- দলটির মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, সারজিস আলম, নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী, ডা. তাসনিম জারা ও খালেদ সাইফুল্লাহ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকাল দশটার দিকে আচমকা কক্সবাজারে আসেন এনসিপি’র শীর্ষ ওই পাঁচ নেতা। তাঁদের আগমনকে ঘিরে কক্সবাজারসহ সারা দেশজুড়ে নানান গুঞ্জন তৈরি হয়। এমনকি তাদের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের বৈঠকের গুঞ্জনও ছড়িয়ে পড়ে। তবে হোটেল কর্তৃপক্ষ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সূত্র জানিয়েছে, বিষয়টি সত্য নয়।
কক্সবাজার জেলা পুলিশের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, এনসিপির নেতারা মঙ্গলবার বেলা ১১টা ২৫ মিনিটে বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে কক্সবাজার আসেন। পরে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের ইনানীর সি পার্ল বিচ রিসোর্টের (রয়েল টিউলিপ) ৫০০১, ৫০০২ ও ৫০০৩ নম্বর কক্ষে অবস্থান নেন।
ওই কর্মকর্তা আরও জানান, এনসিপির পাঁচ নেতার মধ্যে রয়েছেন- হাসনাত আবদুল্লাহ, সারজিস আলম, ডা. তাসমিন জারা, নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী ও খালেদ সাইফুল্লাহ। কক্সবাজারে পৌঁছে বিমানবন্দরে তাঁরা ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহার না করে সাধারণ যাত্রীদের গেট দিয়ে বের হয়ে যান। তবে অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, তাঁদের সাথে সফরসঙ্গী হিসেবে সার্জিস আলমের সদ্য বিবাহিত স্ত্রীও রয়েছেন।
কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে এনসিপি নেতাদের বহনকারী গাড়িচালক নুরুল আমিন জানান, তার গাড়িতে করে হাসনাত আবদুল্লাহ, সারজিস আলম ও নাসিরুদ্দীন পাটোয়ারীসহ দু’জন নারী (একজন সারজিস আলমের স্ত্রী এবং অপরজন সমন্বয়ক তাসনিম জারা) রয়েল টিউলিপে যান। তার গাড়িটি পূর্ব নির্ধারিত ভাড়া করা নয়। বিমান থেকে নেমে ওই গাড়ি করে সরাসরি হোটেলে চলে যান।
বুধবার দুপুর দেড়টায় কক্সবাজার বলেন বিমানবন্দরে দায়িত্বরত এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এনসিপির শীর্ষ পাঁচ নেতার নামে কোনো বুকিং নেই।
এদিকে অন্য একটি সূত্র বলছে, তারা সড়ক পথে মহেশখালীর মাতারবাড়িও যেতে পারেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

কক্সবাজার ত্যাগ করেছেন এনসিপি’র শীর্ষ নেতারা

আপডেট সময় : ০৪:০৭:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ অগাস্ট ২০২৫
কক্সবাজার অফিস
কক্সবাজারে অবস্থানকারী জাতীয় নাগরিক পার্টি- এনসিপির পাঁচ শীর্ষ নেতা কক্সবাজার ত্যাগ করেছেন। বুধবার (৬ আগস্ট) বেলা দেড়টার দিকে একটি ভিআইপি সাদা রঙের গাড়িতে করে তাঁরা হোটেল ত্যাগ করেছেন।  নির্ভরযোগ্য সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। এনসিপি’র শীর্ষ নেতাদের মধ্যে রয়েছেন- দলটির মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, সারজিস আলম, নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী, ডা. তাসনিম জারা ও খালেদ সাইফুল্লাহ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকাল দশটার দিকে আচমকা কক্সবাজারে আসেন এনসিপি’র শীর্ষ ওই পাঁচ নেতা। তাঁদের আগমনকে ঘিরে কক্সবাজারসহ সারা দেশজুড়ে নানান গুঞ্জন তৈরি হয়। এমনকি তাদের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের বৈঠকের গুঞ্জনও ছড়িয়ে পড়ে। তবে হোটেল কর্তৃপক্ষ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সূত্র জানিয়েছে, বিষয়টি সত্য নয়।
কক্সবাজার জেলা পুলিশের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, এনসিপির নেতারা মঙ্গলবার বেলা ১১টা ২৫ মিনিটে বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে কক্সবাজার আসেন। পরে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের ইনানীর সি পার্ল বিচ রিসোর্টের (রয়েল টিউলিপ) ৫০০১, ৫০০২ ও ৫০০৩ নম্বর কক্ষে অবস্থান নেন।
ওই কর্মকর্তা আরও জানান, এনসিপির পাঁচ নেতার মধ্যে রয়েছেন- হাসনাত আবদুল্লাহ, সারজিস আলম, ডা. তাসমিন জারা, নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী ও খালেদ সাইফুল্লাহ। কক্সবাজারে পৌঁছে বিমানবন্দরে তাঁরা ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহার না করে সাধারণ যাত্রীদের গেট দিয়ে বের হয়ে যান। তবে অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, তাঁদের সাথে সফরসঙ্গী হিসেবে সার্জিস আলমের সদ্য বিবাহিত স্ত্রীও রয়েছেন।
কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে এনসিপি নেতাদের বহনকারী গাড়িচালক নুরুল আমিন জানান, তার গাড়িতে করে হাসনাত আবদুল্লাহ, সারজিস আলম ও নাসিরুদ্দীন পাটোয়ারীসহ দু’জন নারী (একজন সারজিস আলমের স্ত্রী এবং অপরজন সমন্বয়ক তাসনিম জারা) রয়েল টিউলিপে যান। তার গাড়িটি পূর্ব নির্ধারিত ভাড়া করা নয়। বিমান থেকে নেমে ওই গাড়ি করে সরাসরি হোটেলে চলে যান।
বুধবার দুপুর দেড়টায় কক্সবাজার বলেন বিমানবন্দরে দায়িত্বরত এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এনসিপির শীর্ষ পাঁচ নেতার নামে কোনো বুকিং নেই।
এদিকে অন্য একটি সূত্র বলছে, তারা সড়ক পথে মহেশখালীর মাতারবাড়িও যেতে পারেন।