ঢাকা ০২:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মারা গেলেন অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি ক্রিকেটার সিম্পসন গাজাবাসীদের জোরপূর্বক স্থানান্তরের প্রস্তুতি না ফেরার দেশে কারা সহকারী মহাপরিদর্শক আবু তালেব সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের জামিন শুনানি অক্টোবরে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে চার আন্তর্জাতিক সম্মেলনের ঘোষণা বাংলাদেশের সব কূটনৈতিক মিশন থেকে রাষ্ট্রপতির ছবি সরানোর নির্দেশ জিয়াউর রহমান এক দূরদর্শী নেতা ও দেশ গঠনের রূপকার: মোহাম্মদ মাসুদ ভালুকায় ইয়াবাসহ ৪ মাদক কারবারি গ্রেফতার রোহিঙ্গা ইস্যুতে চলতি বছরই ৩টি আন্তর্জাতিক সম্মেলন: প্রধান উপদেষ্টা এদেশে সবার অধিকার সমান, ধর্ম-বর্ণের ভেদাভেদ থাকবে না: সেনাপ্রধান

উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে বুটেক্স শিক্ষকদের একাংশের অবস্থান কর্মসূচি

প্রলয় ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৩:৩০:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ১৫৪ বার পড়া হয়েছে

বুটেক্স প্রতিনিধি

উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহ আলিমুজ্জামানের পদত্যাগ চান বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) একাংশ শিক্ষক। তাঁরা বিভিন্ন অভিযোগ তুলে উপাচার্যের পদত্যাগ চাচ্ছেন। এরই প্রেক্ষিতে আজ (১ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষকরা।

শিক্ষকরা আজ কাগজে বিভিন্ন লেখা ছাপিয়ে তা হাতে নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। সেসবে লেখা ছিলো, ‘বৈষম্যহীন স্বাধীন বুটেক্স চাই’, ‘দলবাজ,দুর্নীতিবাজ উপাচার্যের পদত্যাগ চাই’, ‘ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক বিনষ্টকারী উপাচার্যের পদত্যাগ চাই’, ‘আওয়ামী স্বৈরাচারের দোসর উপাচার্যের পদত্যাগ চাই’ ইত্যাদি।

গণিত ও পরিসংখ্যান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. কাওসারুল ইসলাম বলেন, আমরা এখানে কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে দাঁড়াই নি। আমরা দাঁড়িয়েছি বৈষম্যের বিরুদ্ধে। আমরা চাচ্ছি বুটেক্সের সিস্টেমকে পরিবর্তন করতে। আমরা আশা করি, নতুন ভিসি যেই ই আসুক তিনি বিশ্ববিদ্যালয়কে সুশৃঙ্খলার দিকে নিয়ে যাবেন।

পদত্যাগের বিষয়ে ২৫ আগস্ট প্রথমবারের মতো সরব হন শিক্ষকরা। এরপর ২৭ আগস্ট প্রেস কনফারেন্স আয়োজন করেন তাঁরা। সেখানে তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সমস্যা ও অসংগতির অভিযোগ উল্লেখ করে উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করেন। পরবর্তীতে ৩০ আগস্ট শিক্ষকদের একাংশের পক্ষ হতে উপাচার্যের পদত‌্যা‌গ চাওয়া নিয়ে স‌ম্মি‌লিত বিবৃ‌তি প্রদান করেন। শিক্ষকদের সম্মিলিত বিবৃতিতে উপাচার্যের অনিয়ম, দুর্নীতি, দলীয়করণ, স্বৈরাচারিতা ও নানা‌বিধ অপতৎপরতার অভিযোগ তু‌লে ধরেন।

যেসব শিক্ষক উপাচার্যের পদত্যাগ চান তাঁরা হলেন ওয়েট প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. জুলহাস উদ্দিন, একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শেখ মো. মামুন কবীর, টেক্সটাইল মেশিন ডিজাইন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. মমিনুল আলম (ডালিম), ফ্যাশন ডিজাইন অ্যান্ড অ্যাপারেল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান খাঁন, টেক্সটাইল ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মাসুম, ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলী, গণিত ও পরিসংখ্যান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. কাওসারুল ইসলাম প্রমুখ।

উল্লেখ্য, এর আগে ২৫ আগস্ট উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহ আলিমুজ্জামানের পদত্যাগ করাতে যারা ষড়যন্ত্র করছেন তাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এরপর উপাচার্যের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২৮ আগস্ট সমসাময়িক পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থী-শিক্ষকের মাঝে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে উক্ত মতবিনিময় সভায় উপাচার্যের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ খন্ডন করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে বুটেক্স শিক্ষকদের একাংশের অবস্থান কর্মসূচি

আপডেট সময় : ০৩:৩০:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বুটেক্স প্রতিনিধি

উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহ আলিমুজ্জামানের পদত্যাগ চান বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) একাংশ শিক্ষক। তাঁরা বিভিন্ন অভিযোগ তুলে উপাচার্যের পদত্যাগ চাচ্ছেন। এরই প্রেক্ষিতে আজ (১ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষকরা।

শিক্ষকরা আজ কাগজে বিভিন্ন লেখা ছাপিয়ে তা হাতে নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। সেসবে লেখা ছিলো, ‘বৈষম্যহীন স্বাধীন বুটেক্স চাই’, ‘দলবাজ,দুর্নীতিবাজ উপাচার্যের পদত্যাগ চাই’, ‘ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক বিনষ্টকারী উপাচার্যের পদত্যাগ চাই’, ‘আওয়ামী স্বৈরাচারের দোসর উপাচার্যের পদত্যাগ চাই’ ইত্যাদি।

গণিত ও পরিসংখ্যান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. কাওসারুল ইসলাম বলেন, আমরা এখানে কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে দাঁড়াই নি। আমরা দাঁড়িয়েছি বৈষম্যের বিরুদ্ধে। আমরা চাচ্ছি বুটেক্সের সিস্টেমকে পরিবর্তন করতে। আমরা আশা করি, নতুন ভিসি যেই ই আসুক তিনি বিশ্ববিদ্যালয়কে সুশৃঙ্খলার দিকে নিয়ে যাবেন।

পদত্যাগের বিষয়ে ২৫ আগস্ট প্রথমবারের মতো সরব হন শিক্ষকরা। এরপর ২৭ আগস্ট প্রেস কনফারেন্স আয়োজন করেন তাঁরা। সেখানে তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সমস্যা ও অসংগতির অভিযোগ উল্লেখ করে উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করেন। পরবর্তীতে ৩০ আগস্ট শিক্ষকদের একাংশের পক্ষ হতে উপাচার্যের পদত‌্যা‌গ চাওয়া নিয়ে স‌ম্মি‌লিত বিবৃ‌তি প্রদান করেন। শিক্ষকদের সম্মিলিত বিবৃতিতে উপাচার্যের অনিয়ম, দুর্নীতি, দলীয়করণ, স্বৈরাচারিতা ও নানা‌বিধ অপতৎপরতার অভিযোগ তু‌লে ধরেন।

যেসব শিক্ষক উপাচার্যের পদত্যাগ চান তাঁরা হলেন ওয়েট প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. জুলহাস উদ্দিন, একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শেখ মো. মামুন কবীর, টেক্সটাইল মেশিন ডিজাইন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. মমিনুল আলম (ডালিম), ফ্যাশন ডিজাইন অ্যান্ড অ্যাপারেল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান খাঁন, টেক্সটাইল ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মাসুম, ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলী, গণিত ও পরিসংখ্যান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. কাওসারুল ইসলাম প্রমুখ।

উল্লেখ্য, এর আগে ২৫ আগস্ট উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহ আলিমুজ্জামানের পদত্যাগ করাতে যারা ষড়যন্ত্র করছেন তাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এরপর উপাচার্যের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২৮ আগস্ট সমসাময়িক পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থী-শিক্ষকের মাঝে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে উক্ত মতবিনিময় সভায় উপাচার্যের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ খন্ডন করা হয়।