শেখ হাসিনার পতনের ১ মাস : পরিস্থিতি এখন কোথায়

- আপডেট সময় : ০৪:৪২:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- / ৭০ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক
ছাত্রদের নেতৃত্বাধীন আন্দোলনের মুখে পদত্যাগে বাধ্য হয়ে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে গেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঠিক এক মাস আগে ৫ আগস্ট ব্যাপক প্রাণহানির মধ্যে দেশকে বিশৃঙ্খলার দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিয়ে দেশ ছাড়েন তিনি। আজ ছাত্র-জনতার নতুন বাংলাদেশের ১ মাস পূর্ণ হলো।
উচ্চ আদালতের রায়কে কেন্দ্র করে কোটা সংস্কারে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে নেমেছিল শিক্ষার্থীরা। আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও ছাত্র সংগঠন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হামলায় সেই আন্দোলন এক পর্যায়ে রূপ নেয় সরকার পতনের আন্দোলনে। সারা দেশের বিভিন্ন পেশার মানুষ ছাত্রদের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে।
কোটা সংস্কারে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে নেমেছিল শিক্ষার্থীরা
দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়া আন্দোলনকে দমাতে ছাত্র-জনতার উপর নির্বিচারে গুলি চালায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। প্রাণ হারায় শিক্ষার্থীসহ বিপুল সংখ্যক মানুষ। কিন্তু তারপরও দমানো যায়নি ছাত্র-জনতাকে। এরপর শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে ডাক আসে ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচির। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই কর্মসূচি ঠেকাতে রাতেই জারি করা কারফিউ। মোতায়েন করা হয় সেনাবাহিনী।
ছাত্র-জনতার উপর নির্বিচারে গুলি-হত্যাযজ্ঞ চালালে দাবি যায় এক দফায়
এরপর বেলা দুইটার সময় গণমাধ্যমে খবর আসে, পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন শেখ হাসিনা। ঢাকার রাজপথসহ সারাদেশে লক্ষ লক্ষ ছাত্র-জনতা একে অপরকে ধরে বিজয় উল্লাস করতে থাকেন। নানা স্লোগানে প্রকম্পিত হয় রাজপথ। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনের দিকে যাত্রা এবং গণভবনের পাশাপাশি জাতীয় সংসদ ভবনেও অবস্থান নেন ছাত্র-জনতা।
হাসিনার পতনের পরে পরিস্থিতি এখন কোথায়:
শেখ হাসিনার পতনের পর নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শপথ নেয়। শপথ নেওয়ার পর থেকেই প্রফেসর ইউনূস ঘোষণা করেন, তার প্রধান কাজ হবে শান্তি ও আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই এবং নতুন নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া।
বিক্ষোভে নেতৃত্বদানকারী ছাত্রনেতার সমন্বয়ে গঠিত উপদেষ্টা পরিষদ আদালত ও পুলিশ থেকে শুরু করে নির্বাচন কমিশন পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঢেলে সাজানো ও সংস্কারের দিকে নজর দিয়েছে। এ জন্য জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) সহায়তাও চাওয়া হয়েছে। শেখ হাসিনার ক্রমবর্ধমান স্বৈরতান্ত্রিক শাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় এইসব সংস্কার মূল অগ্রাধিকার হয়ে উঠেছে।
ইউনূসে প্রয়োজন সময়:
সম্প্রতি ড. ইউনূস জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে সবাইকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন। শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর যে সহিংসতা ও অরাজকতা শুরু হয়েছে- তা দমনে অন্তর্বর্তী সরকার কঠোর পরিশ্রম করেছে। ইউনূস বলেন, আমি সবাইকে ধৈর্য ধরার অনুরোধ করছি। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনা আমাদের অন্যতম লক্ষ্য।