ঢাকা ০২:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মারা গেলেন অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি ক্রিকেটার সিম্পসন গাজাবাসীদের জোরপূর্বক স্থানান্তরের প্রস্তুতি না ফেরার দেশে কারা সহকারী মহাপরিদর্শক আবু তালেব সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের জামিন শুনানি অক্টোবরে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে চার আন্তর্জাতিক সম্মেলনের ঘোষণা বাংলাদেশের সব কূটনৈতিক মিশন থেকে রাষ্ট্রপতির ছবি সরানোর নির্দেশ জিয়াউর রহমান এক দূরদর্শী নেতা ও দেশ গঠনের রূপকার: মোহাম্মদ মাসুদ ভালুকায় ইয়াবাসহ ৪ মাদক কারবারি গ্রেফতার রোহিঙ্গা ইস্যুতে চলতি বছরই ৩টি আন্তর্জাতিক সম্মেলন: প্রধান উপদেষ্টা এদেশে সবার অধিকার সমান, ধর্ম-বর্ণের ভেদাভেদ থাকবে না: সেনাপ্রধান

ভারতের দুই কোম্পানিকে নিষেধাজ্ঞা দিল যুক্তরাষ্ট্র, জব্দ হবে সম্পদ

প্রলয় ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৭:৩৩:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৭৯ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

রাশিয়ার প্রকল্পে জড়িত থাকার কথা জানিয়ে ভারতের দুটি শিপিং কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সেই সঙ্গে ওই কোম্পানিগুলোর সম্পদ জব্দ করার কথাও জানানো হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, রাশিয়া থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) রপ্তানি সীমিত করার বৃহত্তর প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের বিবৃতিতে ‘আর্কটিক এলএনজি-২’ নামক প্রকল্পে জড়িত থাকার কথা জানিয়ে ‘গোটিক শিপিং কো’ এবং ‘প্লিও এনার্জি কার্গো শিপিং’ নামের দুই ভারতীয় প্রতিষ্ঠানকে নিষেধাজ্ঞার কথা উল্লেখ করা হয়।

সেই সঙ্গে আমেরিকান নাগরিক বা এই কোম্পানিগুলোর সাথে কোনো ব্যবসায়িক লেনদেনের ওপরেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

২০২৩ সালের নভেম্বরে ওয়াশিংটন সরাসরি ‘আর্কটিক এলএনজি-২’ প্রকল্পের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এরপর একই বছরের ডিসেম্বরে এলএনজি সরঞ্জাম উৎপাদনে জড়িত বেশ কয়েকটি রুশ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।

একই সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নও তাদের বন্দর দিয়ে রুশ এলএনজি পরিবহনে বিধিনিষেধ আরোপের পরিকল্পনা করছে।

নিষেধাজ্ঞার কারণে ভারতীয় জাহাজ কোম্পানিগুলোর কার্যক্রমে নানা প্রভাব পড়তে পারে। বিশেষত রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের শক্তিশালী অর্থনৈতিক সম্পর্কে প্রভাবের আশঙ্কা রয়েছে।

নয়াদিল্লি বহু বছর ধরে মস্কোর সঙ্গে সক্রিয় সহযোগিতা বজায় রেখেছে, বিশেষ করে জ্বালানি খাতে। মার্কিন নিষেধাজ্ঞাগুলো রাশিয়ান পণ্য সরবরাহের জন্য লজিস্টিক চেইনের সাথে জড়িত ভারতীয় সংস্থাগুলোকে বিপদে ফেলতে পারে। এর ফলে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্কের গতিশীলতা কমতে পারে।

বিশ্বব্যাপী রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে ভারত সরকার একটি কঠিন সিদ্ধান্তের মুখোমুখি হতে পারে। রাশিয়ার সাথে সহযোগিতা চালিয়ে যাওয়া অথবা পশ্চিমের সাথে সম্পর্কের অবনতির সম্ভাব্য পরিণতিগুলি বিবেচনা করা।

তথ্যসূত্র: নিউজ ডট এজেড, দ্য প্রিন্ট

নিউজটি শেয়ার করুন

ভারতের দুই কোম্পানিকে নিষেধাজ্ঞা দিল যুক্তরাষ্ট্র, জব্দ হবে সম্পদ

আপডেট সময় : ০৭:৩৩:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

রাশিয়ার প্রকল্পে জড়িত থাকার কথা জানিয়ে ভারতের দুটি শিপিং কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সেই সঙ্গে ওই কোম্পানিগুলোর সম্পদ জব্দ করার কথাও জানানো হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, রাশিয়া থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) রপ্তানি সীমিত করার বৃহত্তর প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের বিবৃতিতে ‘আর্কটিক এলএনজি-২’ নামক প্রকল্পে জড়িত থাকার কথা জানিয়ে ‘গোটিক শিপিং কো’ এবং ‘প্লিও এনার্জি কার্গো শিপিং’ নামের দুই ভারতীয় প্রতিষ্ঠানকে নিষেধাজ্ঞার কথা উল্লেখ করা হয়।

সেই সঙ্গে আমেরিকান নাগরিক বা এই কোম্পানিগুলোর সাথে কোনো ব্যবসায়িক লেনদেনের ওপরেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

২০২৩ সালের নভেম্বরে ওয়াশিংটন সরাসরি ‘আর্কটিক এলএনজি-২’ প্রকল্পের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এরপর একই বছরের ডিসেম্বরে এলএনজি সরঞ্জাম উৎপাদনে জড়িত বেশ কয়েকটি রুশ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।

একই সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নও তাদের বন্দর দিয়ে রুশ এলএনজি পরিবহনে বিধিনিষেধ আরোপের পরিকল্পনা করছে।

নিষেধাজ্ঞার কারণে ভারতীয় জাহাজ কোম্পানিগুলোর কার্যক্রমে নানা প্রভাব পড়তে পারে। বিশেষত রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের শক্তিশালী অর্থনৈতিক সম্পর্কে প্রভাবের আশঙ্কা রয়েছে।

নয়াদিল্লি বহু বছর ধরে মস্কোর সঙ্গে সক্রিয় সহযোগিতা বজায় রেখেছে, বিশেষ করে জ্বালানি খাতে। মার্কিন নিষেধাজ্ঞাগুলো রাশিয়ান পণ্য সরবরাহের জন্য লজিস্টিক চেইনের সাথে জড়িত ভারতীয় সংস্থাগুলোকে বিপদে ফেলতে পারে। এর ফলে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্কের গতিশীলতা কমতে পারে।

বিশ্বব্যাপী রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে ভারত সরকার একটি কঠিন সিদ্ধান্তের মুখোমুখি হতে পারে। রাশিয়ার সাথে সহযোগিতা চালিয়ে যাওয়া অথবা পশ্চিমের সাথে সম্পর্কের অবনতির সম্ভাব্য পরিণতিগুলি বিবেচনা করা।

তথ্যসূত্র: নিউজ ডট এজেড, দ্য প্রিন্ট