নিজস্ব সংবাদদাতা
ময়মনসিংহের ত্রিশালে নির্যাতন করে শিশু সন্তানসহ বাড়ি থেকে গৃহবধূকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির আরো কয়েকজনের বিরুদ্ধে।
বিষয়টি নিয়ে নির্যাতিত গৃহবধূ মোছা. নাছিমা আক্তার (৩৫) উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি অভিযোগ জমা দেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ সূত্র ও নির্যাতিত গৃহবধূ নাছিমা আক্তার গণমাধ্যমকে জানান- ৬নং ত্রিশাল ইউনিয়নের বাগান এলাকার মৃত আক্তার উদ্দিনের ছেলে বিবাহ পাগল সাইফুল ইসলাম (৫৫)’র ৫ম স্ত্রী হিসেবে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পরথেকে স্বামীসহ, দেবর নজরুল ইসলাম (৫২), দেবরের স্ত্রী মিনারা বেগম (৪৫), দেবরের বখাটে ছেলে মুবিন মিয়া (৩০), মৃত আক্কাস আলীর ছেলে দুলাল ওরফে মাসুম বিল্লাহ (৪০), জয়নাল আবেদীন (৬০) ও আমার স্বামীর পূর্বের স্ত্রীর ২ মেয়ে বিয়েরপর আমার পেটে সন্তান আসার পরথেকে পারিবারিক ছোটোখাটো বিভিন্ন বিষয়কে কেন্দ্রকরে সকলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে একের পর এক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আমার ওপর অন্যায়ভাবে অত্যাচার, সম্মানহানীকর, অমানবিক নির্যাতন, ক্ষতিকারক বিভিন্ন কর্মকাণ্ড, শিশু সন্তান মো. সাঈম কে চিরতরে দূনিয়া থেকে সরিয়ে দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। বিভিন্নভাবে আমার সাথে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চলমান রেখেছে শ্বশুর বাড়ির লোকজন।
তবুও আমার শিশু সন্তান মো. সাঈম (৫) এর ভবিষ্যত জীবনের কথা চিন্তা করে স্বামীর কাছথেকে ভরনপোষণ না পেয়েও আমার বাবা ও প্রবাসী দুই ভাইয়ের কাছথেকে টাকা এনে স্বামীর ভিটায় সন্তান নিয়ে ছোট্ট একটি ঘরে জীবনযাপন করে আসছিলাম। কিন্তু আমার স্বামী তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সহায়তায় (১২ মার্চ ২৪) ইং তারিখ বিকেলে স্বামীর নিজ বাড়ীতে আমাকে বেধম মারপিট করে আমাকেসহ আমার শিশু সন্তানকে বাড়ী থেকে বের করে দেয়, আমার শিশু সন্তান সাঈম ও বুকে এবং পিঠে আঘাতপ্রাপ্ত হয়।
সেইদিন থেকে আমিসহ আমার সন্তানের কোন খোজখবর রাখেনা আমার পষণ্ড স্বামী। আমি মানুষের বাড়ি বাড়ি জিয়ের কাজ করে আমার একমাত্র সন্তানকে নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করে আসছি।
পূর্বে একাধিকবার স্থানীয় গন্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ, ইউপি সদস্যগণ, ইউপি চেয়ারম্যান, থানা পুলিশ, সহকারী পুলিশ সুপার (ত্রিশাল সার্কেল) সহ গণমাধ্যমকর্মীরা যৌথভাবে দেনদরবার ও আলোচানার মাধ্যমে মিমাংসা করে দিয়ে আমার স্বামীর সাথে মিলিয়ে দিলেও বাগানস্থ স্বামীর বাড়িতে যাওয়ার পরপরই পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের কুপরামর্শে কেন বিচার দিতে গেলাম সেই সূত্র ধরে আবারো যেই সেই পূর্বের অবস্থার চেয়ে করুণ ভয়ঙ্কররুপে আমাকে নির্যাতন করে স্বামীসহ পরিবারের লোকজন।
বার বার থানা, ইউএনও অফিস, সার্কেল ও এসপি অফিস এবং আদালত, ইউনিয়ন পরিষদ সহ স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ/গণমাধ্যম কর্মীদের দ্বারে সারাবছর বিচারের আশায় ছোটাছুটি করে আজও আমি ও আমার শিশু সন্তান স্বামীর বসতভিটায় স্থায়ীভাবে বসবাস, মানসিক শান্তি, শারিরীক নির্যাতন, মোটা অঙ্কের টাকার যৌতুক ও অমানবিক নির্যাতন থেকে রেহাই পেলাম না! বরংচ যার কাছেই যাই সে ই কোন এক রহস্যময় কারণে বিচারের আশ্বাস দিয়েও আমাকে মামলাবাজ বলে দৃর দূর করে তাড়িয়ে দেয়।
দেশবাসী ও সংশ্লিষ্ট আদালত এর কাছে আমার একটাই অনুরোধ- আমার মাদ্রাসা পড়ুয়া শিশু সন্তানটির দিকে তাকিয়ে নানানরোগে আক্রান্ত এই আমি মারা যাওয়ার পূর্বে স্বামীর ভিটায় আমার সন্তানের একটু আশ্রয় চাই। আমার সন্তান ও আমার বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আগে অন্তর্র্বতীকালীন সরকার এর সুদৃষ্টি কামনা করছি। বিষয়টি পুরোপুরি নিষ্পত্তির জোর দাবী জানাই।
চলবে———–
অভ্যুত্থানের ঘটনায় দায়েরকৃত হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত পুলিশ অফিসারদের চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করতে লিগ্যাল নোটিশ…
পাবনা সংবাদদাতা উজান থেকে নেমে আসা ঢলে পাবনায় পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধিতে তলিয়ে গেছে তিন…
জাকির হোসেন (বাবলু), দুর্গাপুর রাজশাহীর দুর্গাপুরে বন্যার পানিতে ডুবে গেছে কৃষকের স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্নে রোপণ…
শাকুর মাহমুদ চৌধুরী, উখিয়া নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশকালে এক মিয়ানমার নাগরিক (আরাকান আর্মির…
উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সোমবার বিকেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর…
ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে ভেজালবিরোধী ও দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে আলোচনায় আসা মো. সারোয়ার আলম নতুন দায়িত্ব পেলেন সিলেটে।…
This website uses cookies.