মীর সবুর আহম্মেদ, মুক্তাগাছা
মুক্তাগাছায় ৯ বছর যাবত পাওনা টাকার জন্য দপ্তর থেকে দপ্তরে ঘুরছেন ইউসিসিএ কর্মকর্তারা, বকেয়া বেতন না পেয়ে মানবেতর দিনাতিপাত করছেন তারা। স্বাধীনতা উওর বাংলাদেশের ভঙ্গুর অর্থনীতি অনুন্নত জীবন-মান বেহাল অবস্থা ঠিক তখন সরকারের একমাত্র আর্থিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পল্লি উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি) দেশের অবকাঠামো উন্নয়ন, আর্থসামাজিক উন্নয়ন, বিশেষ করে গ্রামীণ ও কৃষি উন্নয়ন খাতে কৃষক সমবায় সমিতি গঠনের মাধ্যমে মানবিক ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ক্রমান্বয়ে এই অর্থায়নে কৃষক সমবায় সমিতি লিমিটেড এর মাধ্যমে নাতিশীতোষ্ণ বাংলাদেশের উর্ভর ভূমিতে সেচপ্রকল্পের মাধ্যমে ধান,পাটসহ অন্যান্য ফসলাদির ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়।
ফলে ক্ষুধামুক্ত খাদ্য নিরাপত্তা বেষ্টনী জীবনমান উন্নয়নসহ পাঁচটি মৌলিক চাহিদা পূরণ হওয়ার অগ্রগতি ত্বরান্বিত হয়। এলাকাভিওিক গভীর নলকূপ স্হাপন ও কৃষক সমবায় সমিতি গঠনের মাধ্যমে তৃণমূলে কৃষকদের মাঝে সরকারী অর্থায়ন ও লভ্যাংশ সুবিধা প্রদান করে উৎপাদনশীলতার আগ্রহ ও কৃষি প্রযুক্তিগত ধারণার ব্যাপক উন্নতি সাধিত হয়। যার ফলশ্রুতিতে কৃষি নির্ভর বাংলাদেশ বর্তমানে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতাসহ সার্বিক জীবনমান বিশ্বের যেকোন উন্নত রাষ্ট্রের সাথে তুলনা করার স্বক্ষমতা রাখে । কিন্তু বৈশ্বিক জলবায়ু বিপর্যয়, রাজনৈতিক ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে ক্রমবর্ধমান সার্বিক উন্নয়ন ও কৃষি উৎপাদনে কৃষকদের আগ্রহ হ্রাস পাচ্ছে।
সারাদেশের সাথে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার বিআরডিবি”র আওতাধীন কৃষক সমবায় সমিতি লিমিটেড এর দীর্ঘদিনের সঞ্চয়কৃত লভ্যাংশ যথাসময়ে না পাওয়ার কারণে সমিতির মধ্যস্বও্বভোগীরা কালাতিপাত করছে। ফলে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, চিকিৎসা, বাসস্থানসহ মৌলিক চাহিদা মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। সরেজমিন তদন্ত ও ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা তাদের সঞ্চয়কৃত সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উপরমহল থেকে উপজেলা পর্যন্ত কর্মকর্তাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোনরকম সুরাহা না পাওয়ায় ভুক্তভোগীরা হতাশার পাশাপাশি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
আরো পড়ুন–
ভুক্তভোগীদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, অবসরপ্রাপ্ত ইউসিসিএ কর্মচারী আসাদুজ্জামান খান (সিআই), জালাল উদ্দিন (সিআই) , শামছুল হক(পরিদর্শক),মকবুল হোসেন(পরিদর্শক) আবু তাহের (পরিদর্শক), আব্দুস সালাম আকন্দ (পরিদর্শক), মোজাম্মেল হক(পরিদর্শক), আমজাদ মাষ্টার, বিমল চন্দ্র বিশ্বাস (অফিস সহকারী),ফজলুল হক (হিসাব সহকারী), আবুল হোসেন (অফিস সহায়ক) কামাল হোসেন (নৈশ প্রহরী) প্রমুখ। উল্লেখিত ব্যক্তিবর্গ বুধবার অফিস চলাকালীন সময়ে মুক্তাগাছা উপজেলা বিআরডিবি কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন এর সাথে বিষয়টি নিয়ে দেখা করতে আসলেও উক্ত কর্মকর্তার দেখা মিলেনি। এ নিয়ে চাপা গুঞ্জন বিরাজমান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন বলেন, বিষয়টি পুরোনো, অবসরপূর্ববর্তী সময়ে সুরাহা না করায় এবং বর্তমান সময়ে দায়মুক্ত তহবিল না থাকায় তাদের বকেয়া পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ অব্যহত রেখেছি এবং ভবিষ্যতে দায়মুক্ত তহবিল গঠিত হলে বিষয়টি সুরাহা সম্ভব।
দৈনিক প্রলয়/এমএআর
নিজস্ব সংবাদদাতা ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের বীরমপুর ভাটিপাড়া এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সূয্যত…
এফ এম সিফাত হাসান, শেরপুর হাসপাতালে অসুস্থ মানুষ যায় ভালো চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ হওয়ার জন্য।…
নুর মোহাম্মদ (রোকন), ভ্রাম্যমাণ এই দৃশ্য কোনো কল্পনা নয়, একেবারেই বাস্তব। কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার থানাহাট…
সুমন ভট্টাচার্য, ময়মনসিংহ যানজট নিরসনে ফুটপাত দখলমুক্ত করতে দেড়শ দোকান উচ্ছেদ। ময়মনসিংহ নগরীর স্টেশন রোডে…
রাজবাড়ী সংবাদদাতা অচল খাল সচল করে জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে রাজবাড়ীতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ কৃষক…
সুমন ভট্টাচার্য, ময়মনসিংহ ময়মনসিংহ জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (১৭ আগস্ট)…
This website uses cookies.