অভাবের তাড়নায় কোলের সন্তানকে বিক্রি করলেন মা!

- আপডেট সময় : ০৬:৫৬:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৪
- / ১৪৪ বার পড়া হয়েছে
কুড়িগ্রাম সদর সংবাদদাতা
কুড়িগ্রামের উলিপুরে অভাবের তাড়নায় ও নিজের চিকিৎসা খরচ মেটাতে ২৫ হাজার টাকার বিনিময়ে সদ্য ভূমিষ্ট কন্যা সন্তান মোছাঃ খাদিজাতুল কোবরা বয়স(৩) দিন কে বিক্রি করে দিয়েছেন মোঃ দুলাল – শাহিমা দম্পতি।স্বামী মোঃ দুলাল মিয়া(৪৫) এর চিকিৎসা খরচ মেটাতে নিজের সন্তানকে লিখিত স্ট্যাম্পে বিক্রি করার এমন সিদ্ধান্ত নেন স্ত্রী মোছাঃ শাহিমা বেগম।
এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। তবে পরিবারটি বলছে বিক্রি নয় নিঃসন্তান এক দম্পতির কাছে লিখিত স্টাম্পের মাধ্যমে দত্তক রেখেছি। জানা গেছে, কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার উলিপুর উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নের দড়িকিশোরপুর গ্রামের হত দরিদ্র খিজির উদ্দিনের ছেলে দীর্ঘদিন ধরে পক্ষাঘাতে ভুগছেন।৬ সন্তানের সংসার খরচ ও নিজেদের চিকিৎসা খরচ মেটাতে গিয়ে ঋন গ্রস্থ হন পরিবারটি।স্থানীয়ভাবে সাহায্য সহযোগিতা পাওয়ার পরেও যখন অর্থের অভাবে চিকিৎসা বন্ধ হবার উপক্রম তখন এমন সিদ্ধান্ত নেন ওই দম্পতি। শিশুটির মা শাহিমা বেগম জানান,আমি ইচ্ছে করে এমন সিদ্ধান্ত নেই নাই।সংসারে একমাত্র উপার্জনকারী স্বামী।
সে যদি অসুস্থ থাকে তাহলে ৬ জন সন্তানের ভরণ পোষণ কে করবে? তাই নিজের দুঃখ কষ্ট বুকে চাপা রেখে গর্ভের সন্তানকে বাকরের হাট নিজাই খামার এলাকায় এক নিঃসন্তান দম্পতির কাছে লিখিত স্ট্যাম্পের মাধ্যমে তুলে দিয়েছি। স্থানীয় বাসিন্দা আফজাল হোসেন বলেন, দুলাল মিয়ার চিকিৎসার জন্য এলাকাবাসী চাঁদা উঠিয়ে কিছু টাকা সহযোগিতা করা হয়েছে। আরও টাকার প্রয়োজন হলে পরিবারটি তিন দিনের বাচ্চা মেয়েকে দত্তক হিসাবে দেন। এর বিনিময়ে পরিবারটি ২৫ হাজার টাকা পেয়েছেন বলে জানান তিনি। স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ আবু সিদ্দিক বলেন,দুলাল মিয়া চা দোকানের কাজ করতো আর শাহিমা অন্যের বাড়িতে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করে সংসার চালাতো।
দুলাল মিয়া দাঁতের মারির রোগে অসুস্থ হলে ওর পিছনে অনেক টাকা ঋনগ্রস্থ হয়।একদিকে ঋনের চাপ অন্যদিকে সংসার খরচ মেটাতে হিমশিম খেয়ে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানান তিনি। উলিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ আতাউড় রহমান বলেন,উপজেলা প্রশাসন থেকে লোকজন পাঠানো হয়েছিল।পরিবারটি লিখিত স্ট্যাম্পে মাধ্যমে সন্তানটিকে বাখেরহাটে দত্তক দিয়েছেন।এর পরেও আইনগত কোন সহযোগিতার প্রয়োজন হলে উপজেলা প্রশাসন পরিবারটির পাশে থাকবেন বলে জানান তিনি।