ঢাকা ১২:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আবারো শীতের চাদরে কুড়িগ্রাম : বিপাকে কৃষকসহ সর্বস্তরের মানুষ

প্রলয় ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৫:৩৬:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ১২৩ বার পড়া হয়েছে

শাহিনুল ইসলাম লিটন, সংবাদদাতা

মাঘের প্রথম শপ্তাহে শীতে কাবু হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রাম। জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র শৈত্য প্রবাহ। কনকনে ঠান্ডা ও শীতের দাপটে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়ে পড়েছে। ঘন কুয়াশায় চাদরে ডেকে গেছে গোটা জনপদ। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া লোকজন ঘরের বাইরে যাচ্ছেন না। অন্য দিকে বােরো ধান রোপনের জন্য প্রস্তুতির কাজও থেমে নেই। আজ বুধবার (২২ জানুয়ারি ২০২৫) সকাল ৮টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস। গতকাল মঙ্গলবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা নিম্নগামী হওয়ায় শীতে কাবু হয়ে পড়েছে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমরসহ ১৬টি নদ-নদী তীরবর্তী চরাঞ্চলের নিম্ন আয়ের মানুষজন।

ঘন-কুয়াশার সাথে কিছুটা হিমেল হাওয়া দিচ্ছে শীতের তীব্রতা। তীব্র ঠান্ডায় মানুষজন খড়কুটোতে আগুন জ্বালিয়ে উষ্ণতা নিচ্ছে। জেলার হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট,সর্দি কাশিসহ শীত জনিত রোগীর সংখ্যা।

জেলার মানুষজন বলেন দুইদিন থেকে যে হারে শীত পরেছে ঘরের বাইরে যাওয়াই যাচ্ছে না। বিভিন্ন এলাকার কৃষকেরা বলেন যে ঠান্ডা’কেমন করি বোরো ধান রোপন করমো সেই চিন্তায় পরছি ঠান্ডায় জমিতে যাওয়া যাচ্ছে না।, আমরা যারা কৃষক তাদের কঠিন সমস্যা হইছে। সকালে যখন বোরো ধানের বীজতলার কাজ করি, তখন হাত পা বরফ হয়ে যায়। কয়েক দিন থাকি ঠান্ডা নাই হঠাৎ করি দুইদিন থাকি ঠান্ডার অবস্থা খুবই খারাপ। কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, জানুয়ারি মাস জুড়ে তাপমাত্রা এরকম থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এ মাসের পর তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আবারো শীতের চাদরে কুড়িগ্রাম : বিপাকে কৃষকসহ সর্বস্তরের মানুষ

আপডেট সময় : ০৫:৩৬:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫

শাহিনুল ইসলাম লিটন, সংবাদদাতা

মাঘের প্রথম শপ্তাহে শীতে কাবু হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রাম। জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র শৈত্য প্রবাহ। কনকনে ঠান্ডা ও শীতের দাপটে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়ে পড়েছে। ঘন কুয়াশায় চাদরে ডেকে গেছে গোটা জনপদ। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া লোকজন ঘরের বাইরে যাচ্ছেন না। অন্য দিকে বােরো ধান রোপনের জন্য প্রস্তুতির কাজও থেমে নেই। আজ বুধবার (২২ জানুয়ারি ২০২৫) সকাল ৮টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস। গতকাল মঙ্গলবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা নিম্নগামী হওয়ায় শীতে কাবু হয়ে পড়েছে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমরসহ ১৬টি নদ-নদী তীরবর্তী চরাঞ্চলের নিম্ন আয়ের মানুষজন।

ঘন-কুয়াশার সাথে কিছুটা হিমেল হাওয়া দিচ্ছে শীতের তীব্রতা। তীব্র ঠান্ডায় মানুষজন খড়কুটোতে আগুন জ্বালিয়ে উষ্ণতা নিচ্ছে। জেলার হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট,সর্দি কাশিসহ শীত জনিত রোগীর সংখ্যা।

জেলার মানুষজন বলেন দুইদিন থেকে যে হারে শীত পরেছে ঘরের বাইরে যাওয়াই যাচ্ছে না। বিভিন্ন এলাকার কৃষকেরা বলেন যে ঠান্ডা’কেমন করি বোরো ধান রোপন করমো সেই চিন্তায় পরছি ঠান্ডায় জমিতে যাওয়া যাচ্ছে না।, আমরা যারা কৃষক তাদের কঠিন সমস্যা হইছে। সকালে যখন বোরো ধানের বীজতলার কাজ করি, তখন হাত পা বরফ হয়ে যায়। কয়েক দিন থাকি ঠান্ডা নাই হঠাৎ করি দুইদিন থাকি ঠান্ডার অবস্থা খুবই খারাপ। কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, জানুয়ারি মাস জুড়ে তাপমাত্রা এরকম থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এ মাসের পর তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে।