ঢাকা ০৫:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
চট্টগ্রামে পিকআপ-কাভার্ডভ্যানের সংঘর্ষে ৫ মাছ ব্যবসায়ী নিহত ময়মনসিংহে বর্ণাঢ্য আয়োজনে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদ্বোধন ১৮ বছর আগে বরখাস্ত ৩২৮ জনকে চাকরিতে পুনর্বহালের নির্দেশ সাবেক এমপি শফিকুল ইসলাম অপু গ্রেপ্তার ভাষাসৈনিক আহমদ রফিক গুরুতর অসুস্থ সাবেক ডিবি প্রধান হারুনসহ ১৮ পুলিশ কর্মকর্তা বরখাস্ত ডাকসু নির্বাচনে শিবিরের চূড়ান্ত প্যানেলে অন্য যারা আছেন মাছ রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য সমন্বিতভাবে উদ্যোগ নিতে হবে: ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস’র ত্রিশালে মনোনীত প্রার্থী আব্দুল কুদ্দুস সিকদার শহীদ জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের গুণগত পরিবর্তনের কারিগর: মাহফুজ আলম

‘অন্তর্বর্তী সরকারকে টিকিয়ে রাখা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব’

প্রলয় ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৩:১১:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৬৯ বার পড়া হয়েছে

ছবি অনলাইন সংগৃহীত

প্রলয় ডেস্ক

কবি ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ফরহাদ মজহার বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে টিকিয়ে রাখা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ হলে প্রফেসর কে আলী ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘নতুন বাংলাদেশ: বৈষম্যহীন কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ফরহাদ মজহার বলেন, ‘আগামী দিনে দুইটা নির্বাচন লাগবে। একটা হলো গণপরিষদ নির্বাচন, যেখানে আমরা নতুন রাষ্ট্র গঠন করতে পারি। আরেকটা হলো সরকার নির্বাচন। রাষ্ট্র গঠনের নির্বাচন আগে, তারপর আসবে সরকার নির্বাচন। এই রোডম্যাপ জনগণের পক্ষ থেকে দেওয়া হলো। এই রোডম্যাপ যদি না মানা হয় তাহলে ভয়ানক বিপদে পড়বো।’

ফরহাদ মজহার আরও বলেন, ‘যখনই আমরা রাষ্ট্র গঠনের কথা চিন্তা করি, তখন রাজনৈতিক দলের কথাও চিন্তা করি। রাজনৈতিক দল আমাদের দরকার। রাজনৈতিক দল ছাড়া আমাদের চলবে না। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলো চায়, সে ক্ষমতায় যাবে ১৫ বছর ধরে লুটপাট করবে। এটা রাজনৈতিক দলের কাজ নয়। আগামী দিনে আমরা বাংলাদেশকে সুন্দর করে গঠন করবো; এমন একটি গঠনমূলক প্রস্তাবনা রাজনৈতিক দলগুলোর দেওয়া দরকার। কিন্তু তারা কোনও প্রস্তাবনা দিচ্ছে না।’

সংবিধান পরিবর্তন এবং রাষ্ট্রপতির বিষয়ে ফরহাদ মজহার বলেন, ‘আজ এত বড় একটি অভ্যুত্থান হয়ে গেছে, আমরা এত রক্ত দিলাম– কিন্তু দিন শেষে শেখ হাসিনারই সংবিধান পেলাম। কীকরে এই সংবিধান এখনও থাকে! যাদের উপদেষ্টা হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে, তারা মূলত রাষ্ট্রপতির উপদেষ্টা। আর এই রাষ্ট্রপতিকে শেখ হাসিনা নিয়োগ করে গেছেন। উপদেষ্টারা শপথ গ্রহণের সময় বলেছেন, আমরা সংবিধান সংরক্ষণ করবো। কিন্তু এই সংবিধান শেখ হাসিনার সংবিধান।’

এ সময় সেনাবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা মেজর আহমেদ ফেরদৌস বলেন, ‘ড. মুহাম্মদ ইউনূস রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে শপথ গ্রহণ করেছেন, এ কারণে আমি একটু ব্যথিত। ড. ইউনুস যদি রাজু ভাস্কর্য অথবা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে উপদেষ্টারাসহ ছাত্র-জনতার সামনে নিজেকে সরকার ডিগলার করতেন তাহলে খুব ভালো হতো।’

উপ-সচিব ড. আবুল হোসেন বলেন, ‘আমাদের আইন আছে, বিচার বিভাগসহ সবকিছু আছে। কিন্তু ক্ষমতায় যাওয়ার পর মানুষ আবার খারাপ কাজ করে। আমার মনে হয়, মানুষের ভেতরে সমস্যা রয়েছে, মানুষকে ভালো করতে হবে। বৈষম্যহীন সমাজ গড়ে তুলতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকার বর্তমানে ছয়টা কমিশন গঠন করেছেন। সে জন্য সরকারকে আমাদের সাহায্য করা প্রয়োজন।’

সাবেক অতিরিক্ত সচিব শেখ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এখন আমাদের একটা সোনালি সময় এসেছে। আমাদের একটা কল্যাণ রাষ্ট্র তৈরি করতে হবে। আমাদের সংবিধানে অনেক কাটাছেঁড়া করা হয়েছে। এখন আমাদের সামনে যে সময় রয়েছে, সংবিধান সংস্কার করা প্রয়োজন। ক্ষমতার দ্বিকেন্দ্রীকরণে সংস্কার করতে হবে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

‘অন্তর্বর্তী সরকারকে টিকিয়ে রাখা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব’

আপডেট সময় : ০৩:১১:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

প্রলয় ডেস্ক

কবি ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ফরহাদ মজহার বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে টিকিয়ে রাখা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ হলে প্রফেসর কে আলী ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘নতুন বাংলাদেশ: বৈষম্যহীন কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ফরহাদ মজহার বলেন, ‘আগামী দিনে দুইটা নির্বাচন লাগবে। একটা হলো গণপরিষদ নির্বাচন, যেখানে আমরা নতুন রাষ্ট্র গঠন করতে পারি। আরেকটা হলো সরকার নির্বাচন। রাষ্ট্র গঠনের নির্বাচন আগে, তারপর আসবে সরকার নির্বাচন। এই রোডম্যাপ জনগণের পক্ষ থেকে দেওয়া হলো। এই রোডম্যাপ যদি না মানা হয় তাহলে ভয়ানক বিপদে পড়বো।’

ফরহাদ মজহার আরও বলেন, ‘যখনই আমরা রাষ্ট্র গঠনের কথা চিন্তা করি, তখন রাজনৈতিক দলের কথাও চিন্তা করি। রাজনৈতিক দল আমাদের দরকার। রাজনৈতিক দল ছাড়া আমাদের চলবে না। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলো চায়, সে ক্ষমতায় যাবে ১৫ বছর ধরে লুটপাট করবে। এটা রাজনৈতিক দলের কাজ নয়। আগামী দিনে আমরা বাংলাদেশকে সুন্দর করে গঠন করবো; এমন একটি গঠনমূলক প্রস্তাবনা রাজনৈতিক দলগুলোর দেওয়া দরকার। কিন্তু তারা কোনও প্রস্তাবনা দিচ্ছে না।’

সংবিধান পরিবর্তন এবং রাষ্ট্রপতির বিষয়ে ফরহাদ মজহার বলেন, ‘আজ এত বড় একটি অভ্যুত্থান হয়ে গেছে, আমরা এত রক্ত দিলাম– কিন্তু দিন শেষে শেখ হাসিনারই সংবিধান পেলাম। কীকরে এই সংবিধান এখনও থাকে! যাদের উপদেষ্টা হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে, তারা মূলত রাষ্ট্রপতির উপদেষ্টা। আর এই রাষ্ট্রপতিকে শেখ হাসিনা নিয়োগ করে গেছেন। উপদেষ্টারা শপথ গ্রহণের সময় বলেছেন, আমরা সংবিধান সংরক্ষণ করবো। কিন্তু এই সংবিধান শেখ হাসিনার সংবিধান।’

এ সময় সেনাবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা মেজর আহমেদ ফেরদৌস বলেন, ‘ড. মুহাম্মদ ইউনূস রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে শপথ গ্রহণ করেছেন, এ কারণে আমি একটু ব্যথিত। ড. ইউনুস যদি রাজু ভাস্কর্য অথবা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে উপদেষ্টারাসহ ছাত্র-জনতার সামনে নিজেকে সরকার ডিগলার করতেন তাহলে খুব ভালো হতো।’

উপ-সচিব ড. আবুল হোসেন বলেন, ‘আমাদের আইন আছে, বিচার বিভাগসহ সবকিছু আছে। কিন্তু ক্ষমতায় যাওয়ার পর মানুষ আবার খারাপ কাজ করে। আমার মনে হয়, মানুষের ভেতরে সমস্যা রয়েছে, মানুষকে ভালো করতে হবে। বৈষম্যহীন সমাজ গড়ে তুলতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকার বর্তমানে ছয়টা কমিশন গঠন করেছেন। সে জন্য সরকারকে আমাদের সাহায্য করা প্রয়োজন।’

সাবেক অতিরিক্ত সচিব শেখ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এখন আমাদের একটা সোনালি সময় এসেছে। আমাদের একটা কল্যাণ রাষ্ট্র তৈরি করতে হবে। আমাদের সংবিধানে অনেক কাটাছেঁড়া করা হয়েছে। এখন আমাদের সামনে যে সময় রয়েছে, সংবিধান সংস্কার করা প্রয়োজন। ক্ষমতার দ্বিকেন্দ্রীকরণে সংস্কার করতে হবে।’