ঢাকা ০৫:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
চট্টগ্রামে পিকআপ-কাভার্ডভ্যানের সংঘর্ষে ৫ মাছ ব্যবসায়ী নিহত ময়মনসিংহে বর্ণাঢ্য আয়োজনে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদ্বোধন ১৮ বছর আগে বরখাস্ত ৩২৮ জনকে চাকরিতে পুনর্বহালের নির্দেশ সাবেক এমপি শফিকুল ইসলাম অপু গ্রেপ্তার ভাষাসৈনিক আহমদ রফিক গুরুতর অসুস্থ সাবেক ডিবি প্রধান হারুনসহ ১৮ পুলিশ কর্মকর্তা বরখাস্ত ডাকসু নির্বাচনে শিবিরের চূড়ান্ত প্যানেলে অন্য যারা আছেন মাছ রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য সমন্বিতভাবে উদ্যোগ নিতে হবে: ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস’র ত্রিশালে মনোনীত প্রার্থী আব্দুল কুদ্দুস সিকদার শহীদ জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের গুণগত পরিবর্তনের কারিগর: মাহফুজ আলম

ফরিদপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিবের ফেসবুক পোস্টে তোলপাড়

প্রলয় ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৫:৩২:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫
  • / ৬৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব সংবাদদাতা, ফরিদপুর

ফরিদপুর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব সোহেল রানার ফেসবুক আইডিতে শিক্ষা উপদেষ্টা ও ডিসিকে নিয়ে স্ট্যাটাসে তেলপাড়।

অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার। শিক্ষা উপদেষ্টার প্রতি ক্ষোভ জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ট্যাটাস দেন ফরিদপুর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রথম ভাগের নেতা মো. সাহেল রানা। তিনি ফরিদপুর জেলার বৈষম্যবিরোধী আন্দলোনের জেলার সদস্যসচিব।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টা ১৯ মিনিটে সোহেল তার ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে শিক্ষা উপদেষ্টা ও ফরিদপুর জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান মোল্যাকে উদ্দেশ করে তিনি এক স্ট্যাটাস দেন। বিষটি নিয়ে ফরিদপুর প্রতিবেদককে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র নেতার সাথে কথা বললে তিনি বলেন জেলা প্রশাসক সাহেব এই দায় এড়াতে পারেন না। আমরা কষ্ট পেয়েছি, অসম্মানিত হয়েছি।

সোহেল রানা তার স্ট্যাটাসে তিনি উল্লেখ করেন, ‘ফরিদপুরে মাননীয় শিক্ষা উপদেষ্টা এসেছিলেন ভাল কথা। বিভিন্ন মহলের সঙ্গে তার একটা মিটিং হয়েছে ডিসি অফিসে। কিন্তু যে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তিনি উপদেষ্টা হয়েছেন, সেই আন্দোলনের প্লাটফর্মের কাউকে দাওয়াত দেওয়া হয় নাই। তাহলে তিনি কাদের সঙ্গে মিটিং করলেন? এই নাকি দেশের অবস্থা?’

স্ট্যাটাসের শেষে সোহেল বলেন, ‘না করলেন ১০ জন আহতদের সঙ্গে সাক্ষাৎ, না করলেন একজন নিহতের কবর জিয়ারত! বাহ রে বিপ্লব, বাহ! জবাবটা দয়া করে ফরিদপুরের মাননীয় জেলা প্রশাসক দেবেন?

শিক্ষা উপদেষ্টার একান্ত সচিব আ. কুদ্দুস স্বাক্ষরিত সফর সূচি থেকে জানা যায়, শিক্ষা উপদেষ্টা ফরিদপুর সদরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন, ফরিদপুর জেলার অন্যান্য প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন, ফরিদপুর মুসলিম মিশন পরিদর্শন, ফরিদপুর সার্কিট হাউজে অবস্থান করবেন। পরে ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করে সন্ধ্যা ৬টায় ফরিদপুর ত্যাগ করবেন।

জানা গেছে, সরকারি এ সফর সূচিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ৭ জনের কবর জিয়ারত ও পরিবারের স্বজনদের খোঁজ নেওয়া এবং আহত ১৪৭ জনের কারোর সঙ্গে সাক্ষাতের সময়সূচি না রাখায় এ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সোহেল রানা।

এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা সোহেল রানা “দৈনিক প্রলয়কে” বলেন, একজন উপদেষ্টা আসবেন, আসতেই পারেন। এটা তো আমাদের জন্য একটা ভাল খবর।কিন্তু এটা জেলা প্রশাসক জানেন না, বিষয়টি কি হাস্যকর নয়?

একজন উপদেষ্টা তো মন্ত্রী পদমর্যাদার। শিক্ষা উপদেষ্টা তো আমাদেরই উপদেষ্টা, তিনি আসবেন আমরা জানবো না, এটা কেমন কথা?

তিনি আরো বলেন, শিক্ষা উপদেষ্টা ফরিদপুরে এসে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন। পরবর্তীতে তিনি একজন শহীদের কবর কি জিয়ারত করতে পারতেন না?

তাদের পরিবারের খবর তিনি নেননি এবং কারো সঙ্গেই কোনো সাক্ষাৎ করেননি, বিষয়টা দুঃখজনক।

শিক্ষা উপদেষ্টার ফরিদপুর সফর উপলক্ষে জেলার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের আমন্ত্রণ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান মোল্যা গণমাধ্যম কে বলেন,ঐ প্রোগ্রামটি ছিল না। এটা ছিল সাহিত্য পরিষদের। আমাদের নয়। ডিসি অফিসের হল রুম ছিল মিটিংয়ের ভ্যানু। আমি ছিলাম সাহিত্য পরিষদের আমন্ত্রিত বিশেষ অথিতি। আমার প্রোগ্রাম হলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা দাওয়াত পেতো। সমস্ত অনুষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্ব ছিল সাহিত্য পরিষদের। অতএব বিষয়টিও তাদের।

নিউজটি শেয়ার করুন

ফরিদপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিবের ফেসবুক পোস্টে তোলপাড়

আপডেট সময় : ০৫:৩২:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫

নিজস্ব সংবাদদাতা, ফরিদপুর

ফরিদপুর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব সোহেল রানার ফেসবুক আইডিতে শিক্ষা উপদেষ্টা ও ডিসিকে নিয়ে স্ট্যাটাসে তেলপাড়।

অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার। শিক্ষা উপদেষ্টার প্রতি ক্ষোভ জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ট্যাটাস দেন ফরিদপুর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রথম ভাগের নেতা মো. সাহেল রানা। তিনি ফরিদপুর জেলার বৈষম্যবিরোধী আন্দলোনের জেলার সদস্যসচিব।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টা ১৯ মিনিটে সোহেল তার ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে শিক্ষা উপদেষ্টা ও ফরিদপুর জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান মোল্যাকে উদ্দেশ করে তিনি এক স্ট্যাটাস দেন। বিষটি নিয়ে ফরিদপুর প্রতিবেদককে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র নেতার সাথে কথা বললে তিনি বলেন জেলা প্রশাসক সাহেব এই দায় এড়াতে পারেন না। আমরা কষ্ট পেয়েছি, অসম্মানিত হয়েছি।

সোহেল রানা তার স্ট্যাটাসে তিনি উল্লেখ করেন, ‘ফরিদপুরে মাননীয় শিক্ষা উপদেষ্টা এসেছিলেন ভাল কথা। বিভিন্ন মহলের সঙ্গে তার একটা মিটিং হয়েছে ডিসি অফিসে। কিন্তু যে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তিনি উপদেষ্টা হয়েছেন, সেই আন্দোলনের প্লাটফর্মের কাউকে দাওয়াত দেওয়া হয় নাই। তাহলে তিনি কাদের সঙ্গে মিটিং করলেন? এই নাকি দেশের অবস্থা?’

স্ট্যাটাসের শেষে সোহেল বলেন, ‘না করলেন ১০ জন আহতদের সঙ্গে সাক্ষাৎ, না করলেন একজন নিহতের কবর জিয়ারত! বাহ রে বিপ্লব, বাহ! জবাবটা দয়া করে ফরিদপুরের মাননীয় জেলা প্রশাসক দেবেন?

শিক্ষা উপদেষ্টার একান্ত সচিব আ. কুদ্দুস স্বাক্ষরিত সফর সূচি থেকে জানা যায়, শিক্ষা উপদেষ্টা ফরিদপুর সদরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন, ফরিদপুর জেলার অন্যান্য প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন, ফরিদপুর মুসলিম মিশন পরিদর্শন, ফরিদপুর সার্কিট হাউজে অবস্থান করবেন। পরে ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করে সন্ধ্যা ৬টায় ফরিদপুর ত্যাগ করবেন।

জানা গেছে, সরকারি এ সফর সূচিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ৭ জনের কবর জিয়ারত ও পরিবারের স্বজনদের খোঁজ নেওয়া এবং আহত ১৪৭ জনের কারোর সঙ্গে সাক্ষাতের সময়সূচি না রাখায় এ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সোহেল রানা।

এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা সোহেল রানা “দৈনিক প্রলয়কে” বলেন, একজন উপদেষ্টা আসবেন, আসতেই পারেন। এটা তো আমাদের জন্য একটা ভাল খবর।কিন্তু এটা জেলা প্রশাসক জানেন না, বিষয়টি কি হাস্যকর নয়?

একজন উপদেষ্টা তো মন্ত্রী পদমর্যাদার। শিক্ষা উপদেষ্টা তো আমাদেরই উপদেষ্টা, তিনি আসবেন আমরা জানবো না, এটা কেমন কথা?

তিনি আরো বলেন, শিক্ষা উপদেষ্টা ফরিদপুরে এসে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন। পরবর্তীতে তিনি একজন শহীদের কবর কি জিয়ারত করতে পারতেন না?

তাদের পরিবারের খবর তিনি নেননি এবং কারো সঙ্গেই কোনো সাক্ষাৎ করেননি, বিষয়টা দুঃখজনক।

শিক্ষা উপদেষ্টার ফরিদপুর সফর উপলক্ষে জেলার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের আমন্ত্রণ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান মোল্যা গণমাধ্যম কে বলেন,ঐ প্রোগ্রামটি ছিল না। এটা ছিল সাহিত্য পরিষদের। আমাদের নয়। ডিসি অফিসের হল রুম ছিল মিটিংয়ের ভ্যানু। আমি ছিলাম সাহিত্য পরিষদের আমন্ত্রিত বিশেষ অথিতি। আমার প্রোগ্রাম হলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা দাওয়াত পেতো। সমস্ত অনুষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্ব ছিল সাহিত্য পরিষদের। অতএব বিষয়টিও তাদের।