আ.লীগের দোসর মামুনুর রশীদ এখন গাছা থানা জাসাসের আহ্বায়ক

- আপডেট সময় : ০৮:৩৬:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫
- / ২৪৫ বার পড়া হয়েছে
ফ্যাসিস্ট হাসিনার শাসনামলে ছিলেন আওয়ামী লীগ মামুনুর রশীদ একজন সক্রিয় কর্মী। কিন্তু ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর এবার জাসাসের ব্যানারে রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার সুযোগ খুঁজে পেলেন মামুন নামের এক আওয়ামী লীগের দোসর। রাজনীতিতে শুধু নিজেকে সক্রিয়ই নয় বরং মামুন এরই মধ্যে হয়েছেন গাছা থানা জাসাসের আহ্বায়ক। সম্প্রতি আওয়ামীলীগের দোসর মামুনুর রশীদ মামুনকে অনুপ্রবেশের সুযোগ করে দেয়ার একাধিক ছবি ও তথ্য-প্রমাণ এসেছে প্রতিবেদকের হাতে। ছাত্র ও জনতার আন্দোলনে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনা সরকার তার দলীয় নেতাকর্মী, দোসর ও সান্ডা-পান্ডাসহ দেশের মানুষের ভোটাধিকার, বাক-স্বাধীনতা, নিরাপত্তা, মানবাধিকার হরণ করে জবর-দখল ক্ষমতা কুক্ষিগত করে লুটপাট, দুর্নীতি, দুঃশাসন চালিয়েছিল। শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও তার দলীয় নেতাকর্মী, দোসর ও সান্ডা-পান্ডারা ঘাপটি মেরে আছে। গাছা থানা জাসাসের আহ্বায়ক মামুনুর রশীদ মামুন তাদেরই একজন। অভিযোগ রয়েছে, একাধিক হত্যা মামলার আসামী আওয়ামীলীগের দোসর সাবেক আইনমন্ত্রী, আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে দেখা গেছে তাকে। এছাড়া ছাত্র হত্যায় গাছা মামলার অন্যতম আসামী হাজী মনিরুজ্জামানের ছিল গভীর সখ্যতা। এসব সম্পৃক্ততার একাধিক প্রমাণও রয়েছে এ প্রতিবেদকের হাতে। গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ভোল পাল্টে তিনি হয়ে গেছেন গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানা জাসাসের আহ্বায়ক। গাছার বিএনপির একাধিক নেতাকর্মীরা জানান, সে আওয়ামী লীগের লোক। মামুনকে কোনদিন বিএনপির কোনো কর্মসূচীতে দেখা যায়নি। এতদিন তাকে আওয়ামী লীগের সাথেই দেখা গেছে। এখন শুনি হঠাৎ পরিচয় দেন জাসাসের আহ্বায়ক হিসেবে। এমন সুবিধাবাদী লোক জাসাসে আসলে বিএনপির বদনাম হবে। এবিষয়ে জাসাসের গাজীপুর মহানগরের সভাপতি সৈয়দ হাসান জুননুরাইন বলেন, মহানগর (জাসাসের) কোন থানা কমিটিতে আওয়ামীলীগের ফ্যাসিস্টদের ঠাই হবেনা। যদি এমন কেউ জাসাসের কমিটিতে আসে অবশ্যই তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এসব বিষয়ে জানতে চাইলে মামুনুর রশীদ মামুনের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
প্রলয়/তাসনিম তুবা