ঢাকা ০১:৪০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভূমিধস ও ভারি বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত সিকিম, ১৪ হাজার পর্যটক আটকা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০২:৪৭:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫
  • / ৩৩ বার পড়া হয়েছে

ভারি বৃষ্টিতে নাকাল ভারতের সিকিম। তীব্র বর্ষণের ফলে ভূমিধস, নদীর পানি বৃদ্ধি ও রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে।  এই পরিস্থিতিতে রাজ্যটি প্রায় ১৪ হাজার পর্যটক আটকা পড়েছেন।

এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, উত্তর সিকিমে ভারি বর্ষণের ফলে ভূমিধস, নদীর পানি বৃদ্ধি ও রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় লাচেন ও লাচুং উপত্যকায় আটকা পড়েছেন অন্তত ১২৭৬ জন দেশি পর্যটক ও দুইজন বিদেশি নাগরিক। এই এলাকাগুলো মাঙ্গান জেলার অন্তর্গত এবং পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়। মূলত গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির কারণে সিকিমের পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। তিস্তা নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় এবং নতুন করে ধস নামায় রোববার সেখানে নির্ধারিত উদ্ধার অভিযানও চালানো যায়নি।

এর আগে গত ২৯ মে মুনশিথাং এলাকায় একটি গাড়ি তিস্তা নদীতে পড়ে গেলে নিখোঁজ হন আটজন পর্যটক। এখনও পর্যন্ত তাদের খোঁজ মেলেনি। ২০২৩ সালের গ্লেসিয়াল লেক আউটবার্স্ট ফ্লাডের পর ফিদাং এলাকায় নবনির্মিত বেইলি ব্রিজটি ফের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উত্তর সিকিমের ডজংগু এলাকার এই সেতুটি স্থানীয়দের জন্য একমাত্র সংযোগ পথ হিসেবে কাজ করত। পানির স্রোতের চাপের কারণে সেতুর পিলার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ফলে এখন শুধু পায়ে হেঁটে চলাচল সম্ভব।

এছাড়া সিকিমের বিভিন্ন স্থানে রাস্তাঘাট বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে এবং এতে যোগাযোগ ব্যবস্থাও ভেঙে পড়ার পথে। গত শুক্রবার রাতে ডজংগুর শিপগিয়ের এলাকায় নতুন করে ধস নামে, ফলে রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। মাঙ্গান জেলার জেলা পঞ্চায়েতের উপাধ্যক্ষ সোনাম কিপা ভুটিয়া বলেন, ‘উত্তর সিকিমের রাস্তাগুলোর অবস্থা খুবই খারাপ। পাহাড়ি উঁচু অঞ্চলে এখনও ৭০০ থেকে ৮০০ জন পর্যটক আটকা পড়ে থাকতে পারেন। ফিদাং ব্রিজই ছিল আমাদের ভরসা, সেটাও এখন ঝুঁকিতে।’

প্রলয়/তাসনিম তুবা 

নিউজটি শেয়ার করুন

ই-পেপার

ভূমিধস ও ভারি বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত সিকিম, ১৪ হাজার পর্যটক আটকা

আপডেট সময় : ০২:৪৭:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫

ভারি বৃষ্টিতে নাকাল ভারতের সিকিম। তীব্র বর্ষণের ফলে ভূমিধস, নদীর পানি বৃদ্ধি ও রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে।  এই পরিস্থিতিতে রাজ্যটি প্রায় ১৪ হাজার পর্যটক আটকা পড়েছেন।

এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, উত্তর সিকিমে ভারি বর্ষণের ফলে ভূমিধস, নদীর পানি বৃদ্ধি ও রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় লাচেন ও লাচুং উপত্যকায় আটকা পড়েছেন অন্তত ১২৭৬ জন দেশি পর্যটক ও দুইজন বিদেশি নাগরিক। এই এলাকাগুলো মাঙ্গান জেলার অন্তর্গত এবং পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়। মূলত গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির কারণে সিকিমের পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। তিস্তা নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় এবং নতুন করে ধস নামায় রোববার সেখানে নির্ধারিত উদ্ধার অভিযানও চালানো যায়নি।

এর আগে গত ২৯ মে মুনশিথাং এলাকায় একটি গাড়ি তিস্তা নদীতে পড়ে গেলে নিখোঁজ হন আটজন পর্যটক। এখনও পর্যন্ত তাদের খোঁজ মেলেনি। ২০২৩ সালের গ্লেসিয়াল লেক আউটবার্স্ট ফ্লাডের পর ফিদাং এলাকায় নবনির্মিত বেইলি ব্রিজটি ফের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উত্তর সিকিমের ডজংগু এলাকার এই সেতুটি স্থানীয়দের জন্য একমাত্র সংযোগ পথ হিসেবে কাজ করত। পানির স্রোতের চাপের কারণে সেতুর পিলার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ফলে এখন শুধু পায়ে হেঁটে চলাচল সম্ভব।

এছাড়া সিকিমের বিভিন্ন স্থানে রাস্তাঘাট বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে এবং এতে যোগাযোগ ব্যবস্থাও ভেঙে পড়ার পথে। গত শুক্রবার রাতে ডজংগুর শিপগিয়ের এলাকায় নতুন করে ধস নামে, ফলে রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। মাঙ্গান জেলার জেলা পঞ্চায়েতের উপাধ্যক্ষ সোনাম কিপা ভুটিয়া বলেন, ‘উত্তর সিকিমের রাস্তাগুলোর অবস্থা খুবই খারাপ। পাহাড়ি উঁচু অঞ্চলে এখনও ৭০০ থেকে ৮০০ জন পর্যটক আটকা পড়ে থাকতে পারেন। ফিদাং ব্রিজই ছিল আমাদের ভরসা, সেটাও এখন ঝুঁকিতে।’

প্রলয়/তাসনিম তুবা