ঢাকা ১১:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফরিদপুরে আইনের চোঁখকে ফাঁকি দিয়ে মারামারি ও চাঁদাবাজি মামলায় জামিন নেওয়ার অভিযোগ

প্রলয় ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৭:০৩:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫
  • / ৮৪৯ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার

ফরিদপুরে আইনের চোঁখকে ফাঁকি দিয়ে মারামারি ও চাঁদাবাজি মামলায় জামিন নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে চুন্নু মিয়া (৫৫) নামের এক আসামির বিরুদ্ধে।

এই বিষয়ে   বিচারবিভাগীয় তদন্তেরও দাবি উঠছে।  ঘটনার একটু দেরি হলেও এমন ঘটনা ফরিদপুরে  এই প্রথম বলে নর্থচ্যানেল ইউনিয়নবাসী দাবি করেন। 

আইনের চোখ ফাঁকি দিয়েও যে মামলার জামিন নেয়া যায়  এমন কথা রয়েছে  এলাকাবাসীর মুখে মুখে।

এমন অভিনব প্রতারনার  ঘটনা ঢাকা পড়লেও  সম্মুখে ফাঁস হয়ে গেছে। অভিযোগ উঠছে ফরিদপুর কোতোয়ালি জিআর নং ৫৬৩/২০২৪ইং সেশন নং ৪৪২/২৫( অতিরিক্ত জজ ২য় আদালত) গত ২৭ এপ্রিল ২০২৫ ইং তাং।

মামলা থেকে  জামিন নেয়ার দিন, চুন্নু মিয়া আদালতে হাজির ছিল কিনা। ঐ ওকালত নামায়   আলেপ হোসেন (৪০) পিতাঃ হাবিবুর রহমান ওকালত নামায় সই করলেন কার পক্ষে? অপর এক ব্যাক্তি অন্য একজনের পক্ষে হাজিরার প্রক্মি দিয়েছেন এমনও অভিযোগ ও উঠে আসছে। এটাও তদন্ত করে দেখার দাবি উঠছে।

মামলার নথিতে দেখাযায়,ঐ মামলায় চুন্নু মিয়া, ২ নং আসমি। তিনি ফরিদপুর সদরের নর্থচ্যানেল ইউনিয়নের দুদু মাতুব্বরের ডাঙ্গী এলাকার ইউনুছ শেখের ছেলে ও ঢাকা জেলা পরিষদের অফিসহকাী পদে  হিসেবে কর্মরত আছেন বলে জানাযায়।

এই বিষয়ে চুন্নু মিয়ার সাথে সাংবাদিকরা কথা বললে তিনি জানান, সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা ভিওিহীন,আমি নিয়ম মাফিক যথারীতি আদালতে হাজির হয়ে জামিন নিয়েছি। আমার পক্ষে ও কেই ওকালাত নামায় সই করেনি। তিনি আরো বলেন,আমার নামে আরো দুটি মামলা আছে আমি তাতেও জামিন নিয়েছি। প্রশ্ন করা হলো,আপনার বিরুদ্ধে  দ্রুতবিচার আইনের মামলা নং কোতোয়ালি দ্রুতবিচার আইনের মামলা নং ১৭ তাং ২১/৮/২০২৪ দ্রতবিচার জিআর নং ৪১/২৪ ইং এই মামলায়  আপনি জেল খাটছেন কতদিন? 

তিনি উওর দিলেন,একদিনও জেল খাটিনি,যেদিন হাজির হয়েছি সেদিনই জামিন নিয়েছি। এমনও হয়?
এঘটনায় চাঁদাবাজি  মামলার বাদী আবুল কাশেমের সাথে কথা বলে ঘটনা জানতে চাইলে তিনি  বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। তার দাবি, আদালতের চোখ ফাঁকি দিয়ে, অন্য একজন চুন্নু সাইজা  জামিন  নিছে আমি শুনছি দেখিনি। কোন দিন জামিন নিছে আমি জানিও না।আমি মাইর খাইলাম  বিচার পাইলাম না। আমরা বিচারের জন্য যাবো কোথায়?

আমি  শুনছি   চুন্নু  কোর্টে হাজির হয়নি, তার সইও করছে আরেকজন এমনও শুনছি,  কিন্ত তার জামিন হইছে তাও শুনছি। কেমনে কি হইছি বুঝিও না জানিও না। আরও একজন ঐ দিন হাজির হয়নি তার পক্ষে প্রক্মি দিছে আরেক জন। কেমন কি হইলো বুঝবারই পারলাম না।
তিনি আরো বলেন,, মামলার ১৪ নং আসামি পিতা মোঃ ইদ্রিস পিতাঃ মনোর উদ্দীন সাং খলিল মেল্যার ডাঙী ওয়ার্ড নং ৩, তিনিও ঐ দিন কোর্টে হাজির
  হয়েছিল কিনা এই বিষয়ও বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি উঠছে।
তিনিও কি আইনের চোখ ফাঁকি দিয়েছেন কিনা এই বিষয়টিও তদন্তের আওতায় এনে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা বাড়ানো জরুরি।

মামলার বাদী অভিযোগ করে বললেন, আলেফ   হোসেন নামে এক ব্যক্তি ঐ দিন অন্য একজনের পক্ষে ওকালত নামায় সই করেন সেই ব্যাক্তিটি কে? পাশাপাশি অপর একজনের পক্ষে হাজিরার প্রক্মি ও দেন আরেক জন সেই ব্যাক্তিই বা কে?  এই বিষয় আলেপের সাথে কথা বললে তিনি জানান,সবাই সই করতে বললো তাই সই করলাম। সই করলে কি হয় তাও তো জানি না। এলাকাবাসী বলছেন একমাত্র আলেপই বলতে পারবে কার পক্ষে কেই সই করছে, কে হাজিরার প্রক্মি দিয়েছে।
উল্লেখ্য,
মামলার বাদী মোঃ হাসেম মিয়া জানান, ফরিদপুর সদরের নর্থচ্যানেল ইউনিয়নের ইউসুফ আলী (৬৫)মাতুব্বরের ডাঙ্গীর মোঃ ইউসুফ আলী মাতুব্বরের সন্তান। গ্রামঃ  নর্থচ্যানেল ৫ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা বলে জানান। তিনি আরো জানান, এলাকায় ২০২৪ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর, একটি মারামারি ও চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটে।
পরে এ ঘটনায় কোতয়ালী থানায় মারামারি ও চাঁদাবাজির অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করি।

   মামলা নং: (জিআর- ৫৬৩/২০২৪)। সেশন- ৪৪২/২৫। মামলাটি বিচারাধীন। গত রোববার (২৭ এপ্রিল) মামলার তারিখ ছিল আসামিরাও ঐ দিন জামিন নিছে কিন্তু আমি কিছুই জানি না।

মামলার বাদী হাসেম মাতুব্বর বলেন আইনের  চোখ ফাঁকি দিয়ে  আদালতে হাজির হন আলেপ হোসেন কার পক্ষে হাজির হইছে তা জানি না। আলেপ হোসেন ফরিদপুর সদরের খলিল মন্ডলের ডাঙ্গী এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে। এ ঘটনায় আদালত প্রাঙ্গনে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলেও ঘটনাটি চাপা পড়ে গেছে।

প্রশ্ন উঠছে, ঐ দিন একই মামলার ৬ নম্বর আসামি ইয়াকুব মৃধা সই করছেন কার পক্ষে?  এই বিষয়টিও বিচার বিভাগীয় তদন্তের আওতায় আনা জরুরী। আইনের চোখ ফাঁকি দিয়ে এতো বড় প্রতারণার সাথে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করছে মামলার কাশেম মিয়া এবং এলাকার বিজ্ঞ জন।

জানা যায়, এই মামলার ২ নং আসামি মোঃ  চুন্নু মিয়ার বিরুদ্ধে ফরিদপুর সদরের দ্রুত বিচার আইনের জি,আর নং- ৪১/২০২৪ এবং সদর কোর্ট সিআর নং-৫০৭/২০২৪ মামলায় বিচারাধীন রয়েছে। সেই মামলায়ও তিনি একদিনও জেল না খাটায়ও এলাকাবাসী হতবাক হয়েছেন।

মামলার বাদী মো. আবুল কাশেম অভিযোগ করে আরো বলেন,আসলে আমি মাইর খেয়েছি।লজ্জাও পেয়েছি। মামলার করার পর কয়েকজন মিলে আমারে সিএন্ডবি ঘাটে নিয়ে গেল। একটা কাগজে সই নিলো। সই করতে বাধ্য হইছি। এরপর সবই নাটক।  আসামি আর  মাতুব্বরা আপোষ নামা বানাইছে।
এব্যাপারে, আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাড. উৎপল চন্দ্র নাগ বলেন, আমার জানামতে জামিনে কোন অনিয়ম হয়নি। আসামি তো বহুজন  তবে চুন্নুকে আমি চিনি না।কতজন কে মনে রাখা যায়।
এই মামলার আসামি পক্ষের অপর একজন বিজ্ঞ আইনজীবী এডঃ শফিকুর রহমানের সাথে কথা বললে তিনি বললেন,এই মামলায় একাধিক আইনজীবী আছেন।আমি চুন্নুর পক্ষের আইনজীবী নই।

এব্যাপারে, ফরিদপুরের অতিরিক্ত দায়রা জজ ২য় আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাড. গোলাম রব্বানী রতন বলেন,আমার জানামতে কোন অনিয়ম হয়নি, কতজন তো কত কিছুই বলে।

সবশেষে, উল্লেখিতি বিষয়ে এলাকাবাসী বলতে চান,আমরা এই বিষয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত চাই। সাবেক আওয়ামী লীগের দোসর, সাবেক মন্ত্রী এবং শেখ হাসিনার বেয়াই মোশাররফ মিয়ার ছোট ভাই, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান খন্দকার বাবর মিয়ার ধর্ম জামাই মোঃ চুন্নু মিয়াসহ অন্যান্যদের  জামিন নেয়ায় কোন অনিয়ম হয়েছ

নিউজটি শেয়ার করুন

ফরিদপুরে আইনের চোঁখকে ফাঁকি দিয়ে মারামারি ও চাঁদাবাজি মামলায় জামিন নেওয়ার অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৭:০৩:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার

ফরিদপুরে আইনের চোঁখকে ফাঁকি দিয়ে মারামারি ও চাঁদাবাজি মামলায় জামিন নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে চুন্নু মিয়া (৫৫) নামের এক আসামির বিরুদ্ধে।

এই বিষয়ে   বিচারবিভাগীয় তদন্তেরও দাবি উঠছে।  ঘটনার একটু দেরি হলেও এমন ঘটনা ফরিদপুরে  এই প্রথম বলে নর্থচ্যানেল ইউনিয়নবাসী দাবি করেন। 

আইনের চোখ ফাঁকি দিয়েও যে মামলার জামিন নেয়া যায়  এমন কথা রয়েছে  এলাকাবাসীর মুখে মুখে।

এমন অভিনব প্রতারনার  ঘটনা ঢাকা পড়লেও  সম্মুখে ফাঁস হয়ে গেছে। অভিযোগ উঠছে ফরিদপুর কোতোয়ালি জিআর নং ৫৬৩/২০২৪ইং সেশন নং ৪৪২/২৫( অতিরিক্ত জজ ২য় আদালত) গত ২৭ এপ্রিল ২০২৫ ইং তাং।

মামলা থেকে  জামিন নেয়ার দিন, চুন্নু মিয়া আদালতে হাজির ছিল কিনা। ঐ ওকালত নামায়   আলেপ হোসেন (৪০) পিতাঃ হাবিবুর রহমান ওকালত নামায় সই করলেন কার পক্ষে? অপর এক ব্যাক্তি অন্য একজনের পক্ষে হাজিরার প্রক্মি দিয়েছেন এমনও অভিযোগ ও উঠে আসছে। এটাও তদন্ত করে দেখার দাবি উঠছে।

মামলার নথিতে দেখাযায়,ঐ মামলায় চুন্নু মিয়া, ২ নং আসমি। তিনি ফরিদপুর সদরের নর্থচ্যানেল ইউনিয়নের দুদু মাতুব্বরের ডাঙ্গী এলাকার ইউনুছ শেখের ছেলে ও ঢাকা জেলা পরিষদের অফিসহকাী পদে  হিসেবে কর্মরত আছেন বলে জানাযায়।

এই বিষয়ে চুন্নু মিয়ার সাথে সাংবাদিকরা কথা বললে তিনি জানান, সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা ভিওিহীন,আমি নিয়ম মাফিক যথারীতি আদালতে হাজির হয়ে জামিন নিয়েছি। আমার পক্ষে ও কেই ওকালাত নামায় সই করেনি। তিনি আরো বলেন,আমার নামে আরো দুটি মামলা আছে আমি তাতেও জামিন নিয়েছি। প্রশ্ন করা হলো,আপনার বিরুদ্ধে  দ্রুতবিচার আইনের মামলা নং কোতোয়ালি দ্রুতবিচার আইনের মামলা নং ১৭ তাং ২১/৮/২০২৪ দ্রতবিচার জিআর নং ৪১/২৪ ইং এই মামলায়  আপনি জেল খাটছেন কতদিন? 

তিনি উওর দিলেন,একদিনও জেল খাটিনি,যেদিন হাজির হয়েছি সেদিনই জামিন নিয়েছি। এমনও হয়?
এঘটনায় চাঁদাবাজি  মামলার বাদী আবুল কাশেমের সাথে কথা বলে ঘটনা জানতে চাইলে তিনি  বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। তার দাবি, আদালতের চোখ ফাঁকি দিয়ে, অন্য একজন চুন্নু সাইজা  জামিন  নিছে আমি শুনছি দেখিনি। কোন দিন জামিন নিছে আমি জানিও না।আমি মাইর খাইলাম  বিচার পাইলাম না। আমরা বিচারের জন্য যাবো কোথায়?

আমি  শুনছি   চুন্নু  কোর্টে হাজির হয়নি, তার সইও করছে আরেকজন এমনও শুনছি,  কিন্ত তার জামিন হইছে তাও শুনছি। কেমনে কি হইছি বুঝিও না জানিও না। আরও একজন ঐ দিন হাজির হয়নি তার পক্ষে প্রক্মি দিছে আরেক জন। কেমন কি হইলো বুঝবারই পারলাম না।
তিনি আরো বলেন,, মামলার ১৪ নং আসামি পিতা মোঃ ইদ্রিস পিতাঃ মনোর উদ্দীন সাং খলিল মেল্যার ডাঙী ওয়ার্ড নং ৩, তিনিও ঐ দিন কোর্টে হাজির
  হয়েছিল কিনা এই বিষয়ও বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি উঠছে।
তিনিও কি আইনের চোখ ফাঁকি দিয়েছেন কিনা এই বিষয়টিও তদন্তের আওতায় এনে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা বাড়ানো জরুরি।

মামলার বাদী অভিযোগ করে বললেন, আলেফ   হোসেন নামে এক ব্যক্তি ঐ দিন অন্য একজনের পক্ষে ওকালত নামায় সই করেন সেই ব্যাক্তিটি কে? পাশাপাশি অপর একজনের পক্ষে হাজিরার প্রক্মি ও দেন আরেক জন সেই ব্যাক্তিই বা কে?  এই বিষয় আলেপের সাথে কথা বললে তিনি জানান,সবাই সই করতে বললো তাই সই করলাম। সই করলে কি হয় তাও তো জানি না। এলাকাবাসী বলছেন একমাত্র আলেপই বলতে পারবে কার পক্ষে কেই সই করছে, কে হাজিরার প্রক্মি দিয়েছে।
উল্লেখ্য,
মামলার বাদী মোঃ হাসেম মিয়া জানান, ফরিদপুর সদরের নর্থচ্যানেল ইউনিয়নের ইউসুফ আলী (৬৫)মাতুব্বরের ডাঙ্গীর মোঃ ইউসুফ আলী মাতুব্বরের সন্তান। গ্রামঃ  নর্থচ্যানেল ৫ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা বলে জানান। তিনি আরো জানান, এলাকায় ২০২৪ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর, একটি মারামারি ও চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটে।
পরে এ ঘটনায় কোতয়ালী থানায় মারামারি ও চাঁদাবাজির অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করি।

   মামলা নং: (জিআর- ৫৬৩/২০২৪)। সেশন- ৪৪২/২৫। মামলাটি বিচারাধীন। গত রোববার (২৭ এপ্রিল) মামলার তারিখ ছিল আসামিরাও ঐ দিন জামিন নিছে কিন্তু আমি কিছুই জানি না।

মামলার বাদী হাসেম মাতুব্বর বলেন আইনের  চোখ ফাঁকি দিয়ে  আদালতে হাজির হন আলেপ হোসেন কার পক্ষে হাজির হইছে তা জানি না। আলেপ হোসেন ফরিদপুর সদরের খলিল মন্ডলের ডাঙ্গী এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে। এ ঘটনায় আদালত প্রাঙ্গনে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলেও ঘটনাটি চাপা পড়ে গেছে।

প্রশ্ন উঠছে, ঐ দিন একই মামলার ৬ নম্বর আসামি ইয়াকুব মৃধা সই করছেন কার পক্ষে?  এই বিষয়টিও বিচার বিভাগীয় তদন্তের আওতায় আনা জরুরী। আইনের চোখ ফাঁকি দিয়ে এতো বড় প্রতারণার সাথে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করছে মামলার কাশেম মিয়া এবং এলাকার বিজ্ঞ জন।

জানা যায়, এই মামলার ২ নং আসামি মোঃ  চুন্নু মিয়ার বিরুদ্ধে ফরিদপুর সদরের দ্রুত বিচার আইনের জি,আর নং- ৪১/২০২৪ এবং সদর কোর্ট সিআর নং-৫০৭/২০২৪ মামলায় বিচারাধীন রয়েছে। সেই মামলায়ও তিনি একদিনও জেল না খাটায়ও এলাকাবাসী হতবাক হয়েছেন।

মামলার বাদী মো. আবুল কাশেম অভিযোগ করে আরো বলেন,আসলে আমি মাইর খেয়েছি।লজ্জাও পেয়েছি। মামলার করার পর কয়েকজন মিলে আমারে সিএন্ডবি ঘাটে নিয়ে গেল। একটা কাগজে সই নিলো। সই করতে বাধ্য হইছি। এরপর সবই নাটক।  আসামি আর  মাতুব্বরা আপোষ নামা বানাইছে।
এব্যাপারে, আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাড. উৎপল চন্দ্র নাগ বলেন, আমার জানামতে জামিনে কোন অনিয়ম হয়নি। আসামি তো বহুজন  তবে চুন্নুকে আমি চিনি না।কতজন কে মনে রাখা যায়।
এই মামলার আসামি পক্ষের অপর একজন বিজ্ঞ আইনজীবী এডঃ শফিকুর রহমানের সাথে কথা বললে তিনি বললেন,এই মামলায় একাধিক আইনজীবী আছেন।আমি চুন্নুর পক্ষের আইনজীবী নই।

এব্যাপারে, ফরিদপুরের অতিরিক্ত দায়রা জজ ২য় আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাড. গোলাম রব্বানী রতন বলেন,আমার জানামতে কোন অনিয়ম হয়নি, কতজন তো কত কিছুই বলে।

সবশেষে, উল্লেখিতি বিষয়ে এলাকাবাসী বলতে চান,আমরা এই বিষয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত চাই। সাবেক আওয়ামী লীগের দোসর, সাবেক মন্ত্রী এবং শেখ হাসিনার বেয়াই মোশাররফ মিয়ার ছোট ভাই, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান খন্দকার বাবর মিয়ার ধর্ম জামাই মোঃ চুন্নু মিয়াসহ অন্যান্যদের  জামিন নেয়ায় কোন অনিয়ম হয়েছ