ঢাকা ১১:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভাঙ্গায় বসতঘর থেকে আখের রস বিক্রেতার মরদেহ উদ্ধার

প্রলয় ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:০০:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫
  • / ২৬৩ বার পড়া হয়েছে

ওয়াহিদুজ জামান, ক্রাইম রিপোর্টার ফরিদপুর

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় রনি মিয়া (৩৫) নামের এক আখের রস বিক্রেতার মরদেহ উদ্ধার করেছে ভাঙ্গা থানা পুলিশ। রবিবার (১৩ জুলাই ) সকাল সাড়ে ১০টার সময় উপজেলার নাসিরাবাদ ইউনিয়নের কোষাভাঙ্গা গ্রামের তার বসত ঘর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। সে ঐ গ্রামের আবদুল খালেক মিয়ার পুত্র। পরে তার লাস উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মর্গে প্রেরন করেছে।

এ বিষয় নিহত রনির স্ত্রী ইমা আক্তার জানান, রনির সাথে তার ১০ বছর আগে বিবাহ হয়। বিবাহের পর থেকে স্বামীকে নিয়ে বাবার দেওয়া বাড়িতে আমরা একত্রে বসবাস করে আসছি। আমাদের ঘরে তিন বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। ঘটনার রাতে আমরা একত্রে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। সকালে ঘুম থেকে উঠে পাশের রুমে ঘরের আড়ার সাথে স্বামী রনির লাশ ঝুলতে দেখে চিৎকার দেই এবং পরে পুলিশকে খবর দেই। খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে ঝুলন্ত মরদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে ভাঙ্গা থানা উপ-পরিদর্শক মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে রনি মিয়ার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে, রনি মিয়া আখের রস বিক্রি করে সংসার চালাতেন। রস বিক্রি করে অভাবের সংসার চালাতে হিমসিম খেত। এ নিয়ে স্বামী- স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হতে পারে। তবে মৃত্যুর প্রকৃত কারন ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ভাঙ্গায় বসতঘর থেকে আখের রস বিক্রেতার মরদেহ উদ্ধার

আপডেট সময় : ১২:০০:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫

ওয়াহিদুজ জামান, ক্রাইম রিপোর্টার ফরিদপুর

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় রনি মিয়া (৩৫) নামের এক আখের রস বিক্রেতার মরদেহ উদ্ধার করেছে ভাঙ্গা থানা পুলিশ। রবিবার (১৩ জুলাই ) সকাল সাড়ে ১০টার সময় উপজেলার নাসিরাবাদ ইউনিয়নের কোষাভাঙ্গা গ্রামের তার বসত ঘর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। সে ঐ গ্রামের আবদুল খালেক মিয়ার পুত্র। পরে তার লাস উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মর্গে প্রেরন করেছে।

এ বিষয় নিহত রনির স্ত্রী ইমা আক্তার জানান, রনির সাথে তার ১০ বছর আগে বিবাহ হয়। বিবাহের পর থেকে স্বামীকে নিয়ে বাবার দেওয়া বাড়িতে আমরা একত্রে বসবাস করে আসছি। আমাদের ঘরে তিন বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। ঘটনার রাতে আমরা একত্রে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। সকালে ঘুম থেকে উঠে পাশের রুমে ঘরের আড়ার সাথে স্বামী রনির লাশ ঝুলতে দেখে চিৎকার দেই এবং পরে পুলিশকে খবর দেই। খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে ঝুলন্ত মরদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে ভাঙ্গা থানা উপ-পরিদর্শক মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে রনি মিয়ার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে, রনি মিয়া আখের রস বিক্রি করে সংসার চালাতেন। রস বিক্রি করে অভাবের সংসার চালাতে হিমসিম খেত। এ নিয়ে স্বামী- স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হতে পারে। তবে মৃত্যুর প্রকৃত কারন ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।